বাম-গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আসবে

ইলা মিত্রের জন্মশতবর্র্ষে সিপিবির নেতারা

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

কমরেড ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকীতে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখছেন পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
একতা প্রতিবেদক : তেভাগা আন্দোলন ছিলো মূলত শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। কৃষকদের তেভাগা কায়েম হলেও এখনো কৃষকের মুক্তি মেলেনি। দুঃশাসন হটিয়ে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আসবে। তেভাগা আন্দোলন ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী কমরেড ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আহ্বান জানান, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার জন্য বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অগ্রসর করার। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্টির সাবেক সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এস এম এ সবুর, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান। সভা সঞ্চালনা করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবিদ হোসেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, তেভাগা আন্দোলনের সময়কালে লড়াইটা ছিলো জমিদার ভূস্বামী জোতদারের বিরুদ্ধে। এখন কৃষকের লড়াই বহুমাত্রিক। পুঁজিবাদী সমাজ কাঠামোয় পুঁজির মালিক, কৃষি উপকরণের উৎপাদক বহুজাতিক কোম্পানি, বাজার সিন্ডিকেটের একচেটিয়া বাণিজ্য কৃষকদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে। কমরেড ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষের আলোচনা সভার শুরুতে গণসংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। কমরেড ইলা মিত্রের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, পাটির্র ঢাকা দক্ষিণ কমিটি, ঢাকা জেলা কমিটি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এছাড়াও, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইলামিত্রের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান পালিত হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..