ফিরে দেখা ’৭১, আজকের বাংলাদেশ
মোহাম্মদ শাহ আলম
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে রক্তাক্ত পথ বেয়ে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৫০ সালের তেভাগা, নানকার, টংকের কৃষক বিদ্রোহ, ’৪৮-৫২ এর ভাষা আন্দোলন; সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের রক্তে মহান একুশের জন্ম। পরবর্তীকালে ২১ দফার ভিত্তিতে হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দীর ’৫৪-তে যুক্তফ্রন্টের ধস নামানো বিজয়, মুসলিম লীগের ভারাডুবি। শুরু হয় যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও আমলাতন্ত্রের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় ৫৮’র মার্শাল ল’, জেনারেল আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখল। ৬২‘র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৪’তে আইয়ুবের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে কায়েদা আযম মোহাম্মদ..
বিস্তারিত
যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা দুই যুগেও হয়নি বিচার থামেনি হাহাকার!
অমিত রঞ্জন দে
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। এদিন যশোর টাউন হল ময়দানে উদীচীর দ্বাদশ সম্মেলন শেষে হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতা বিমোহিত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। ঘটির কাঁটায় তখন আনুমানিক রাত ১২টা ৫০ মিনিট। বিকট শব্দে আকস্মিক এক বোমা হামলায় সবাই দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লেন। এ হামলা কতখানি নৃশংস ছিল, তা এখনো যশোরবাসীর হৃদয়ে দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে। পরদিন সকালে যশোরের ফুল বিক্রেতারা বলেছিল– ‘এ শহরে ফুল বিক্রি করতে আমাদের ঘৃণা হয়’। সেদিনের সেই বোমা হামলায় সন্ধ্যা রাণী..
বিস্তারিত
কমিউনিস্ট পার্টি ও গণসংগঠন
মৃণাল চৌধুরী
[কমরেড মৃণাল চৌধুরী লিখিত পুস্তকের (‘‘কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠন-রীতি নীতি ও পদ্ধতি: পৃ: ৪৪-৪৫) নির্বাচিত অংশ প্রাসঙ্গিক বিধায় পুনঃমুদ্রিত হলো। এ বিষয়ে আরো বির্তক ও পর্যালোচনামূলক লেখা আমরা ছাপাতে আগ্রহী - সম্পাদক]
গণসংগঠন স্বাধীন হলেও গণসংগঠনে কর্মরত পার্টি সদস্যরা স্বাধীন নন। গণসংগঠনে কর্মরত পার্টি সদস্যদের নিয়ে গঠিত পার্টি শাখায় গণসংগঠন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পার্টির রাজনৈতিক লাইন অনুযায়ী কেন্দ্র বা জেলা ভিত্তিতে গঠিত সাব-কমিটিতে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী গণসংগঠন পারিচালনা করা হয়। কখনোবা জাতীয় ভিত্তিতে একই গণসংগঠনে কর্মরত সকল পার্টি সদস্যদের নিয়ে ফ্যাকশান..
বিস্তারিত
শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব প্রশ্নে
মার্কসের কী সুস্পষ্ট অবস্থান ছিল?
ডা. মনোজ দাশ
শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব প্রশ্নে মার্কসের সুস্পষ্ট ও লক্ষ্য অভিমুখী তাত্ত্বিক অবস্থান ছিল। তা সত্ত্বেও সংস্কারবাদের পক্ষ থেকে এটা বলার চেষ্টা করা হয়, শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব সম্পর্কে মার্কসের জোরালো কোনো তাত্ত্বিক অবস্থান ছিল না। মার্কস মাত্র দুবার শব্দটি ব্যবহার করেছেন মাত্র। এক্ষেত্রে এঙ্গেলসের সম্পাদনায়, বিশেষ করে ‘গোথা কর্মসূচির’ সম্পাদনায় শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব প্রশ্নে মার্কসের চিন্তার কিছু বিকৃতি সাধিত হয়েছে। এটার আর প্রাসঙ্গিকতা নেই। ইত্যাদি অনেক কথা বলা হয় সংস্কারবাদের পক্ষ থেকে। আর মতান্ধবাদ মার্কসের চিন্তাকে যান্ত্রিকভাবে দেখতে অভ্যস্ত। শ্রমিকশ্রেণির একনায়কত্ব প্রশ্নে সংক্ষেপে মার্কসের তাত্ত্বিক..
বিস্তারিত
কমিউনিস্ট পার্টি : সর্বোচ্চ শ্রেণি সংগঠন
ও জনগণের সাথে সর্বাধিক সম্পর্ক
লুৎফর রহমান
আলোচ্য বিষয় কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় মূলনীতি। সর্বোচ্চ শ্রেণি সংগঠন
ও জনগণের সাথে সর্বাধিক সম্পর্ক- এই দুটো বিষয় এখন আমরা আলোচনা করবো।
সর্বোচ্চ শ্রেণি সংগঠন:
আমরা জানি শ্রমিক শ্রেণির নানা সংগঠন ও অনেক রকমের পার্টি আছে। যেমন- ট্রেড ইউনিয়ন, সমবায়, যুব, মহিলা, ক্রীড়া এমন সব গণসংগঠন। আরো আছে সোশ্যাল ডেমোক্রেট, সোসালিস্ট ও লেবার পার্টি ধরনের রাজনৈতিক দলসমূহ। এই সংগঠনগুলো শ্রমিক শ্রেণির নানা সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করে ঠিকই কিন্তু সমাজকে আমূল বদলে দেয়া তাদের লক্ষ্যে নেই। শ্রমিক শ্রেণির সব অংশের স্বার্থকে বাস্তব রূপ দিতে..
বিস্তারিত