১৯১৭-এর বিপ্লবে আবার ফেরা
বিজয় প্রসাদ
৭ নভেম্বর রাশিয়ার ১৯১৭ সালের বিপ্লবের বার্ষিকী। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে, শ্রমিক কৃষকেরা, সৈনিকদের পাশে নিয়ে জারের রাজত্বকে উৎখাত করেছিল। সেই অক্টোবরে (আমাদের এখনকার ক্যালেন্ডারের নভেম্বরে), বলশেভিক পার্টির নেতৃত্বে শ্রমিক এবং কৃষকেরা আরেকজান্ডার কেরেনস্কির নেতৃত্বাধীন বুর্জোয়াদের অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করে তাদের সমাজ বিপ্লবের কর্তব্য সম্পূর্ণ করে। নির্বাসন থেকে ফিরে আসা লেনিনের চোখে কেরেনস্কির সরকার ছিল ‘ক্ষমতায় থাকা প্রতিবিপ্লবী শিক্ষানবিশ সেনা ও সামরিক চক্র’ ও বিদেশি সাম্রাজ্যবাদীদের একটা আচ্ছাদন মাত্র। এদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে। পেট্রোগ্রাডের সোভিয়েত ঠিক এই কাজটিই করেছিল।
কিন্তু সোভিয়েত..
বিস্তারিত
শ্রীলঙ্কায় বামপন্থি দিশানায়েকের জয় থেকে শিক্ষা
ড. মঞ্জুরে খোদা
জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট) জেভিপি’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রোহানা উইজেবীরা। তিনি শ্রীলঙ্কার মার্কসবাদী-লেনিনবাদী রাজনৈতিক নেতা ও বিপ্লবী হিসেবে পরিচিত। উইজেবীরার বাবা ছিলেন ছোট ব্যবসায়ী এবং সিলন কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য। উইজেবীরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেছেন। যদিও অর্থের অভাবে তাঁর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়নে বৃত্তি পেলে সেখানে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে লেখাপড়ার পাশাপাশি, কৃষিকর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন। সেখান থেকে ফিরে এসে সংগঠনের কাজে মনোযোগ দেন এবং চীন, কোরিয়া,..
বিস্তারিত
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন কেন জরুরি
দুলাল চন্দ্র মজুমদার
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। এ সরকারের কাজ হলো আমাদের রাজনৈতিক ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে এখন সঠিকভাবে মূল লাইনে তুলে দিবে। সেজন্য প্রাথমিকভাবে যা যা করা লাগে তা তা করতে হবে। তবে সবার আগে মনে রাখতে হবে আমরা আমরা একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করলাম আবার যেন আরেকটি ফ্যাসিস্টের জন্ম না নেয়। সে কারণে ট্রেনটি সঠিকভাবে লাইনে তোলা প্রয়োজন। এই লাইনে তোলার মাধ্যম হলো নির্বাচন। সেজন্য জরুরি প্রশ্ন হলো- নির্বাচনটি..
বিস্তারিত
ব্রিক্স ২০২৪ সম্মেলন : নতুন বিশ্বের ডাক
তালাত তাহজীব
১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রেটন উডস শহরে যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তার মূল উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং একটি নতুন আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সম্মেলনে বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং এর ফলে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং বিশ্বব্যাংক। এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা, মূল্যস্ফীতি কমানো এবং মুদ্রামানের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ব্রেটন উডস ব্যবস্থা অনুযায়ী, সদস্য দেশগুলো তাদের মুদ্রার মানকে স্বর্ণের সাথে যুক্ত করতে সম্মত..
বিস্তারিত