বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সিপিবির বিক্ষোভচট্টগ্রাম সংবাদদাতা :
চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিপিবির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষ কোন বিদেশি শক্তির তাবেদারি করছে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া চলবে না। দেশীয় সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশীয় কোম্পানির দ্বারাই বন্দর পরিচালনা করতে হবে। অবিলম্বে সরকারকে এই চুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
গত ১৭ অক্টোবর সিনেমা প্যালেস চত্বরে বিকাল ৪ টায় বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতিবাদী সমাবেশ এসব কথা বলেন।
সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা ভূঁইয়া, শিক্ষক নেতা উত্তম চৌধুরী ও শ্রমিক নেতা মসিউদ্দৌলা।
সভায় বক্তারা বলেন, সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে লাভজনক টার্মিনাল নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের অন্য ২টি টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ ৩০ বছরের জন্য বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার অর্থ হলো দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা। বন্দর শ্রমিকসহ দেশের ছাত্র-জনতা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। দেশের জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দিতে চায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে করতে যাওয়া এই চুক্তি থেকে যদি সরে না আসে তবে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে সিপিবি নেতারা বলেন, আমরা বামপন্থীসহ সকল স্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবো। আমরা বন্দর রক্ষায় রোডমার্চ করেছি। প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রাম লংমার্চ, হরতাল সহ অন্যান্য কর্মসূচি করে সরকারকে আমাদের দাবি মেনে নিতে আমরা বাধ্য করবো। তবুও চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিতে দিব না।