‘রাষ্ট্রের চরিত্র বদল না হওয়ায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না’
একতা প্রতিবেদক :
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে গার্মেন্ট শ্রমিকগণ অগ্রনী ভূমিকা পালন করে, জীবন দেন। কিন্তু তাদের ভাগ্যের চাকা বদলায়নি। রাষ্ট্রপক্ষের চরিত্র বদল হয়নি তাই অভ্যুত্থানের পরেও ইচ্ছাকৃত গাফিলতি, অপরাধমূলক অবহেলার কারণে কোনো শ্রমিক হত্যাকাণ্ডেরই বিচার এখনো হচ্ছে না।
ঢাকার জুরাইন কবরস্থান ও আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে নানামুখি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাজরীন দিবস পালিত হয়েছে। তাজরীন দিবসের শ্রমিক সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ একইসাথে অবিলম্বে দ্রুত বিচার, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার দাবি জানান।
গত ২৪ নভেম্বর সকাল ৮টায় ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন গার্মেন্ট কারখানার সামনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর তাজরীন কারখানার গেটে নিহত শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সংগঠনটি। এসময় গার্মেন্ট টিইউসির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি জিয়াউল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।
একই দিনে, সকাল ৯টায় ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাজরীন গার্মেন্টের নিহত শ্রমিকদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় গার্মেন্ট টিইউসির সহ-সভাপতি দুলাল সাহা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, কেন্দ্রীয় নেতা বিমল কান্তি দাস, জহর লাল রায় প্রমুখ।
শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকরা রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশ হবার জন্য অন্দোলনে অংশ নেয়নি, তারা অংশ নিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে তাদের ন্যূনতম অধিকার ফেতর পাবার জন্য, তাদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাবার জন্য কিন্তু তা হয়নি। এখনো তাজরীন হত্যকান্ডসহ কোন শ্রমিক হত্যার বিচার হয়নি। নেতৃবৃন্দ অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, যেকোনো মূল্যে সকল শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আদায় করা হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা বিচারহীনতার নামান্তর। অবিলম্বে তাজরীন গার্মেন্ট শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে দায়ী খুনি দেলোয়ারসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতার করতে হবে। তাজরীন, রানা প্লাজা, ট্যাম্পাকো, মাল্টিফ্যাবস, সীতাকু- বিস্ফোরণ, বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিসহ, বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকারের আমলে আরএন ফ্যাশন, স্মার্ট প্রিন্টিং কারখানায় আগুন, গাজীপুরে কারখানা শ্রমিক কাউসার হোসেনসহ নীলফামারীতে শ্রমিক হত্যাসহ সকল শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে চলমান মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের কারখানাভিত্তিক রেশন, বাসস্থান, ঘোষিত মজুরি পুনর্বিবেচনা করে মজুরি বৃদ্ধি করা এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণেরও দাবি করে সংগঠনটি।
প্রথম পাতা
দেশের সংকট-নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান
পীর-ফকির-বাউলদের ওপর হামলায় পুলিশকে সন্ত্রাসের পক্ষে ব্যবহার করছে সরকার
পোল্যান্ডের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি
অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করুন
‘মেহেরবানি’
সংশোধনী
আরপিও’র অগণতান্ত্রিক সংশোধনী এবং নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল কর
শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান
লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে
বন্দর ইজারার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে ৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে বিক্ষোভ
Login to comment..








প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন