নির্বাচন ভবনের সামনে বাম জোটের বিক্ষোভ

আরপিও’র অগণতান্ত্রিক সংশোধনী এবং নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল কর

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

গত ২৬ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ের সামনে বাম জোটের বিক্ষোভে বাধা দেয় পুলিশ
একতা প্রতিবেদক : রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারীভাবে আরপিও সংশোধন করে নির্বাচনে জামানতের টাকা ও নির্বাচনী ব্যয়সীমা বৃদ্ধি, সব আসনে না ভোটের বিধান না রেখে শুধুমাত্র একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে না ভোট রাখাসহ বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক ধারা আরপিওতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে- বলে মন্তব্য করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। গত ২৬ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। কালোটাকা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, আঞ্চলিকতা ও প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত নির্বাচনের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করা হলেও নির্বাচন কমিশন সেগুলো নিয়ন্ত্রণে কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নির্বাচনে জামানতের টাকা বৃদ্ধি করে এবং নির্বাচনের ব্যয়সীমা বাড়িয়ে সৎ সাধারণ মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে জোটের নেতারা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনেও কালো টাকার মালিক ও লুটেরা ধনীদের দৌরাত্ম্যই বেড়ে যাবে। আবার সকল আসনে ‘না’ ভোটের বিধান না রেখে শুধুমাত্র একক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোট থাকবে এধরনের অগণতান্ত্রিক বিধান যুক্ত করে চোর বা ডাকাতের মধ্যে মন্দের ভাল বেছে নিতে বলা হচ্ছে। এতে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আইসিটি মামলায় কেউ অভিযুক্ত হলেই নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না, এগুলো কোন সভ্য দেশের নিয়ম হতে পারে না।’ সরকারের সুবিধাভোগকারী বা উপদেষ্টারা কেউ পদত্যাগের পর কমপক্ষে ৩ বছর অতিবাহিত না হলে নির্বাচন করতে পারবে না সেই বিধান যুক্ত করা দরকার- উল্লেখ করে জোটের নেতারা বলেন, ‘মানুষ একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন। এগুলো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’ বাম জোটের নেতাকর্মীরা আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করতে এগিয়ে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরবর্তীতে ভবনের সামনে সমাবেশ করে জোটের নেতাকর্মীরা। এসময় জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন। সম্প্রতি জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশকে তাদের কথায় চলতে হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তারপরেও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন রাখেন জোটের সমন্বয়ক। গণহত্যার আসামি, যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারকারীরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়েও দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে বামজোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবর ১৪ দফা দাবিনামা সম্বলিত স্মারকলিপি কমিশনের অতিরিক্ত সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবিতে ২৬ নভেম্বর সারাদেশে জেলায় জেলায় নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ পালিত হয়েছে।
প্রথম পাতা
‘রাষ্ট্রের চরিত্র বদল না হওয়ায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না’
অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করুন
‘মেহেরবানি’
দেশের সংকট-নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান
শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান
লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে
বন্দর ইজারার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে ৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে বিক্ষোভ
সংশোধনী
পীর-ফকির-বাউলদের ওপর হামলায় পুলিশকে সন্ত্রাসের পক্ষে ব্যবহার করছে সরকার
পোল্যান্ডের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..