একতা প্রতিবেদক : দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিনশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯২ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে ছয়টি শহরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি, অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো তথ্যে চলতি বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২৬ জন মারা গেছেন ঢাকা মহানগরে। এরপর বরিশালে ২৬ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জন, রাজশাহীতে ১৮ জন, ময়মনসিংহে ১৬ জন ও বরগুনায় ১৫ জন। চলতি বছরে মশাবাহিত এই রোগে ছড়িয়েছে ৬৩ জেলায়। একমাত্র জয়পুরহাটে এখনো কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্তও বেশি হয়েছেন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দারা। এখানে সাড়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর পরে শীর্ষে থাকা বরগুনায় ৯ হাজারের বেশি, চট্টগ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার এবং বরিশালে ও গাজীপুরে প্রায় চার হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে চলতি বছরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এদিকে চলতি বছর অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হন ২২ হাজার ৫২০ জন ডেঙ্গু রোগী, যা ছিল এ বছরের সর্বোচ্চ। কিন্তু নভেম্বর মাসের ২০ দিনেই ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিন জন, জুন মাসে ১৯ জন, জুলাই মাসে ৪১ জন, অগাস্ট মাসে ৩৯ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। মার্চ মাসে এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি। জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুন মাসে ৫৯৫১ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর। ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের।