বর্তমান সময় ও বামপন্থা
লুৎফর রহমান
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ চলছে এক আশা-নিরাশার দোলাচলে। দ্বান্দ্বিকভাবে চলে মানুষের জীবন। মনে রাখতে হবে একজন মানুষ যেমন দেশের নাগরিক, সেরকম সে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও অংশ। আর সব ক্ষেত্রেই আশা-নিরাশার বাস একত্রে। সারা দুনিয়াময় ইতিহাসের বড় বড় বাঁক পরিবর্তনের সময় মানুষ খুব আশাবাদী হয়ে ওঠে, এবং আশা ভেঙে পড়লে জায়গা নেয় নৈরাশ্য। বিপুল ত্যাগ, যেমন হাজারেরও উপরে মানুষের আত্মত্যাগ এবং হাজার-হাজার মানুষের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতনে মানুষের মাঝে আশা জাগা খুবই স্বাভাবিক। মানুষ স্বপ্ন দেখে এবার সমাজ ও অর্থনীতিতে শুভ পরিবর্তন আসবে। অর্থনীতিতে লুটপাট ও অনিয়ম বন্ধ হয়ে বৈষম্য হ্রাস পাবে। মানুষ ভোগ করবে গণতন্ত্রের স্বাদ, প্রয়োগ করবে স্বাধীন ভোটাধিকার। প্রতিষ্ঠা পাবে সমতাভিত্তিক সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দলসমূহ, ব্যক্তিবর্গ এবং সংগ্রামী তরুণদের সম্মতিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া তরুণরা এবং নতুন সরকার মানুষের মনে আশা জাগায়। মানুষ তাদের আস্থায় নেয়। কিন্তু বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই মানুষ দেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। যত্রতত্র ‘মব ভায়োলেন্স’ হচ্ছে। সমাজে বিশৃঙ্খলা, পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা, মৃত্যু, মানুষ দেখতে পায়। বহু কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর বের হয়। শ্রমিকরা বেকার হয়ে যায়। তারা বকেয়া বেতনের দাবি করলে তাদের ওপর গুলি চলে। সারাদেশে বেকারত্ব বেড়ে যায়। জিডিপি নেমে আসে ৩.৮১ তে। বেড়ে যায় ধর্ষণ। পাহাড়ে এক মারমা কিশোরী তিন বাঙালি যুবক দ্বারা ধর্ষিত হয়। প্রতিবাদ হলে গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারপর দুর্নীতির নতুন সব খবর আসতে থাকে এবং অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের ব্যবহার, বক্তব্য এবং কার্যক্রম মানুষকে হতাশ করতে থাকে। এজন্য দায়ী কে, সরকার না রাজনৈতিক সংস্কৃতি? এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট–অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হলেও শাসকদের চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি। বর্তমান সরকার বাস্তবে মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে স্পর্শ করতে পারেনি। সরকারপ্রধান শুরুতে বলেছিলেন, যারা সরকারে আছেন তাদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করা হবে। বছর পেরিয়ে গেলেও এর আলামত দেখা যায়নি। সরকারে আছেন এমন উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পত্রপত্রিকায় উঠে এসেছে। পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে দুর্নীতি দমন বিভাগের ভেতরে দুর্নীতি আছে। সরকারকে এই অভিযোগগুলো আমলে নিতে দেখা যাচ্ছে না। মানুষ বিশেষ কোনো দলের প্রতি সরকারের পক্ষপাত দেখছে। সুতরাং অংশগ্রহণমূলক স্বচ্ছ নির্বাচন নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহ বিরাজ করে। জনগণ দেখে জুলাইয়ের বিজয়ের সাথে পরাজয়ের লক্ষণও মিশে আছে। দেখা গেছে, রাজনীতিতে প্রভাবশালী কিছু লোক টাকার বিনিময়ে লুটপাটকারী স্বৈরাচারের দোসরদের ওপাড়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। এমনো হয়েছে অর্থ নিয়ে এদের সম্পদ রক্ষা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলের মতোই গয়রহ মামলা দিয়ে বাণিজ্য চলছে। সরকারের কাছ থেকে এসবের প্রতিকার মানুষ দেখছে না। হতাশার জন্ম এখান থেকেই। এছাড়া তরুণদের মাঝ থেকে যারা রাজনীতিতে এলেন, তাদের আচার-ব্যবহার, চালচলন এমন রূপ নিয়েছে এতে তরুণদের ওপর মানুষের আস্থার জায়গাটি ভেঙে যেতে বসেছে। এই হচ্ছে চলমান অবস্থা।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ওপর রাজনৈতিক চাপ আছে এরূপ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করছেন ক্ষমতাচ্যুতির। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ছাত্ররাই তাঁর নিয়োগকর্তা। তো এখানে ক্ষমতাচ্যুতির প্রশ্নটা আসে কেনো? আন্দোলনে সামনের কাতারে থাকা ছাত্র-তরুণরা এনসিপি নামক দল গঠন করেছেন। এটি কি মধ্যপন্থি না ডানপন্থি বা বামপন্থি দল হবে তা এখনো পরিষ্কার হয়নি। এই দলের কোনো ইশতেহার এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে ছাত্রনেতা তথ্য উপদেষ্টার একটি বক্তব্য খুবই প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, দেশে জামাতের মতো বেশ কয়েকটি মওদুদীপন্থি রাজনৈতিক দল থাকার পর আরেকটি মওদুদীপন্থি সংগঠনের প্রয়োজন নেই। এর পরই ফেসবুকে জামাতপন্থিদের তার বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করতে দেখা গেছে। বর্তমান সময়ে এসে বিএনপিকে অনেকটা এলোমেলো অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তাদের দলীয় গাঁথুনিও শিথিল, একেক নেতা একেক ভাষায় কথা বলছেন। তাদের সাত হাজারেরও উপরে কর্মীকে চাঁদাবাজি ও সাংগঠনিক কারণে বরখাস্ত করতে হয়েছে। এদিকে জামাতকে অনেকটা সংহত দেখা যাচ্ছে, তারা প্রশাসনে, এবং অনেক জায়গায় এমনকি সরকারেও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। মাহফুজ আলমের ক্ষমতাচ্যুতির শঙ্কা এখানেই লুকোনো।
এই সময়টাতে এসে আমরা যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে নজর দিই দেখতে পাবো, এতে পরস্পরকে আক্রমণের ধরনটা বদলেছে। এখন আর এটা হুমকিধামকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বিষয়টা অরুচিকর অশ্লীলতায় ঠেকেছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত ও এনসিপি কেউ কারো চেয়ে কম যায় না। দেখা যায় এরা শক্তির সাথে মিলিয়েছে অশ্লীলতা। সমাজবিজ্ঞানীরা একে শ্রেণিচরিত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন। ক্ষমতার বদল হলেও এই বিষয়টির বদল হয়নি। দেখা যায় সরকারে যারা থাকেন তাদের ঘিরেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়। তখন তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, মেহনতি মানুষের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে বক্তব্যে ও কর্মে অশ্লীলতার প্রয়োগ ঘটান। মূলত তথ্য ও যুক্তিকে খণ্ডন করতে না পেরে তারা গালাগাল এবং ট্যাগ দেয়। এক্ষেত্রে ক্ষমতায় না গিয়ে ক্ষমতার স্বাদ নেয়া জামাত খুবই সোচ্চার। যেমন কোনো নারী যদি জামাতের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাদের মানবতাবিরুধী অপরাধের বিষয়ে সমালোচনা করেন তারা সেটা সহ্য করতে পারেন না, গাল দেন, ‘ফ্যাসিবাদের দালাল’ এমন ট্যাগ দেন। এতেও তাদের তৃপ্তি হয় না, গণধর্ষণের কথা বলেন। এই হলো তাদের বিচারবোধ। জামাতের সমালোচনা করা যাবে না, তাহলে শাস্তি গণধর্ষণ। এটা জামাতের ফ্যাসিবাদী আচরণ। এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণে তা অপরিহার্য।
এবার আসা যাক পাহাড়ে প্রাণহানির ঘটনায়। বিষয়টি মর্মান্তিক। আমরা যদি এর মূলে যাই দেখবো এই সংকটের স্রষ্টা শাসকশ্রেণি। আওয়ামী লীগের বাঙালি জাতীয়তাবাদে পাহাড়িরা পড়েন না, কারণ তারা বাঙালি নন। বিএনপির বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদেও তারা পড়েন না, কারণ এটা প্রকারান্তরে মুসলিম জাতীয়তাবাদ, তারাতো মুসলমান না। জাতীয় পার্টিও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকেই অনুসরণ করে। জামাতের ইসলামি জাতীয়তাবাদেও তারা পড়েন না, কারণ তারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী নন। শাসকরা বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে জাতীয়তার এই সংকটকে সামরিক কায়দায় সমাধানের চেষ্টা করেছে, যা অনভিপ্রেত ও অবৈজ্ঞানিক। প্রতি বছর পাহাড়ি নারীরা বাঙালিদের দ্বারা ধর্ষিত হয়, এমনকি তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এবারও একজন মারমা কিশোরীকে তিনজন বাঙালি যুবক ধর্ষণ করেছে। এটা কোনো না কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক শক্তির ছত্রছায়ায় হয়, যেজন্য সঠিক বিচার দৃশ্যমান হয় না। এতে ধর্ষকরা আস্কারা পায়। এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে না গিয়ে শাসকরা সবসময় বিদেশি ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে। তবে পাহাড়ের কোনো ক্ষুদ্র অংশ এরকম ষড়যন্ত্রে শামিল থাকতে পারে, এজন্য পাহাড়ের পুরো মানুষতো দায়ী নন। শাসকরা সবসময় তাদের বিচ্ছিন্নভাবে দেখে, অথচ পাহাড়িরা চায় অন্তর্ভুক্তি, চায় সংবিধানে তাদের স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা হোক। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে আমাদের সমস্যার মূলে যেতে হবে।
বর্তমান সময়ে আলোচনা হচ্ছে, সমাজে জামাতের প্রভাব ও সমর্থন বেড়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সহযোগিতা এর পেছনে কাজ করেছে। জামাত কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে আওয়ামী লীগের দোসর হয়েছে আবার কখনো বিএনপির। জামাত নিজেদের বিকশিত করার জন্য বিগত অর্ধশতাব্দি ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। চেষ্টায় ফল হয়। তারা স্কুল করেছে, মাদ্রাসা করেছে, ব্যাংক করেছে, বিমা করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় করেছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, কলকারখানা বানিয়েছে। এসব করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আমলে আইনি সহায়তায়। এদের বিকাশের জন্য আরো একটি মৌলিক কারণ কাজ করেছে। এসময়ের মধ্যে প্রগতিশীল শক্তি বামদের বিকাশ হয়নি, ভেঙেছে। প্রগতির বিকাশ না হলে প্রতিক্রিয়ার বিকাশ হবে এটাইতো স্বাভাবিক। বুর্জোয়া দলগুলো জামাতের ইসলামের নামে ভণ্ডামির রাজনীতির সমালোচনা করে না তাদের শ্রেণিস্বার্থে, তারা ব্যস্ত থেকেছে লুটপাটে। এখানে বামপন্থিরাও তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি, তারা ব্যস্ত থেকেছে আত্মকলহে। জামাত একটি ক্যাডারভিত্তিক সুশৃঙ্খল পার্টি। সুশৃঙ্খল পার্টি হলেই যে গণতান্ত্রিক পার্টি হয় না, একথাটা জনগণকে ব্যাখ্যা করে বোঝানো হয়নি, হিটলারের পার্টিও সুশৃঙ্খল ছিলো। দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা পরস্পরের সমালোচনায় ব্যস্ত থেকেছে। সবদিক মিলিয়ে জামাত সুযোগটা নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল বিষয়টা ছিলো বৈষম্যহীন এক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে লুটপাট করেছে, গণতন্ত্র হরণ করেছে। বিএনপি, একজন মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দল হয়েও লুটপাটের বাজার অর্থনীতি চালু করেছে, যা ক্রমাগত বৈষম্য বাড়িয়েই চলছে। ফলে সমাজের মানুষ আশাহত হয়েছে। এই সুযোগটাও জামাত নিচ্ছে, তারা বুর্জোয়া দলগুলোর সমালোচনায় মুখর। এই হচ্ছে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক দৃশ্যপট।
মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলো, জীবনে আলোর দিশা দেখিয়েছিলো। মানুষ এখন হতাশায় ভুগছে, নানা প্রকার অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। এখান থেকে পরিত্রাণের পথ কী এবং কে নেবে সেই দায়িত্ব? সহজ সরল কোনো পথ নেই, পথ আঁকাবাঁকা। চুয়ান্ন বছরে বাংলাদেশে বুর্জোয়া দলগুলো ন্যূনতম বুর্জোয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের উপকারে আসে এমন কোনো নীতি গ্রহণ করতে পারেনি, লুণ্ঠন করে বিদেশে অর্থপাচার করেছে। তাদের প্রতি সাধারণ মানুষ নিরাশ। আর জামাতের মতো প্রতিক্রিয়াশীলরা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। এই পরিস্থিতিতে সাধারণভাবে দায়িত্ব এসে যায় বামদের ওপর। বামদের মধ্যে বড় দল সিপিবি, তার ওপর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি বর্তায়। সিপিবির প্রধান কাজ হচ্ছে দলকে গড়ে তোলা। সেজন্য তাকে কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের মধ্যে কাজ বাড়াতে হবে। ছাত্র-যুবক-মহিলা-সংস্কৃতিজন ও দলিত মানুষের মধ্যে কাজ বাড়াতে হবে। তাদের মধ্যে গণসংগঠন গড়ে তোলে তাদের সমস্যা নিয়ে লড়াই করে মানুষের আস্থা অর্জন করে সংগঠনকে বাড়াতে হবে, গড়ে তুলতে হবে বিকল্প ধারার বাম ঐক্য। নিজেদের সংগঠন মজবুত হলেই কেবল ত্রয়োদশ কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাম ঐক্য গড়ে উঠবে। এই ঐক্যে নিয়ে আসতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে, দেশপ্রেমিক মানুষদের, নিপীড়িত সম্প্রদায়গুলোকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষমতা দখলের সরল কোনো পথ নেই। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল ছাড়া মেহনতি মানুষের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব না। আর আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত অনুসারে ক্ষমতা দখল সম্ভব যেমন, শ্রীলঙ্কায় বামরা ক্ষমতায় যেতে পেরেছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এমনটা ঘটছে এবং ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পুঁজিবাদের ব্যর্থতাই এজন্য দায়ী। পুঁজিবাদ আর মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। আর বামপন্থিদের জন্য এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এখন এই সুযোগটুকুর সঠিক ব্যবহারের জন্য বামদের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বামদের লক্ষ্য আর একমাত্র সমাজতন্ত্রেই মানুষের মুক্তি। জয় সুনিশ্চিত।
লেখক : কলামিস্ট
Login to comment..