ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধ
ট্রাম্প আসলে কী চান?
প্রভাত পট্টনায়েক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের সত্যিই এক বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। ইউক্রেন ও গাজার প্রেক্ষাপটে তাঁর অবস্থানের মধ্যে যে স্পষ্ট বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে, তা অনেকের কাছেই বিভ্রান্তিকর। তিনি ইউক্রেন প্রসঙ্গে যুদ্ধ এড়িয়ে এক ধরনের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কথা বলছেন, অথচ গাজার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য একটি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার মতো ভয়ংকর আক্রমণাত্মক। এই বিপরীতমুখী অবস্থান দেখে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, আসলে তিনি কোন পথের পথিক? তবে এই বিভ্রান্তির মূল ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অবস্থানে নয় বরং সমস্যার শিকড় সাম্রাজ্যবাদের প্রকৃতি সম্পর্কে অপর্যাপ্ত বোঝাপড়ায়। মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা..
বিস্তারিত
শাহবাগ শাপলা বিভাজন
যাদের দায় তাদেরকেই নিরসন করতে হবে
আনোয়ারুল হক
জুলাই অভ্যুত্থানের পর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার হলে ‘জুলাই পরিসর’ শীর্ষক কয়েকটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্তর্বতীকালীন সরকারের বর্তমান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজম, প্রথিতযশা চিন্তাবিদ ও লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানসহ অনেকে তাদের বক্তব্য রাখেন। আলোচনাগুলোর অংশবিশেষ ইউটিউবে প্রচারিত হওয়ায় শোনার সুযোগ হয়। একটি আলোচনায় মাদ্রাসা উত্তীর্ণ আলেম ও লেখক মনযুরুল হক আবেগময় এক বক্তব্য রাখেন। সব বিষয়ে একমত না হলেও তাঁর বক্তব্য মন ছুঁয়ে যায়, আমি মনোযোগের সাথে শুনি। বক্তব্যের মূলকথা ছিল..
বিস্তারিত
১৫৫তম জন্মবার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
কমরেড লেনিনের দর্শন ভাবনা
কানাই দাশ

২২ এপ্রিল ২০২৫ কমরেড লেনিনের ১৫৬ তম জন্মদিবস। দুনিয়া কাঁপানো প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতা লেনিন বিশ্বজুড়ে কমবেশি পরিচিত। কিন্তু দার্শনিক লেনিন সে তুলনায় ততটা পরিচিত নন। লেনিনের দার্শনিক ভাবনা নিয়ে এই নিবন্ধটি-
প্লেটো সম্ভবত বলেছিলেন ‘কিং ফিলোসফার’ এর কথা। তাঁর মতে একজন শাসক ও রাষ্ট্রনায়ককে অবশ্যই দার্শনিক হতে হবে। বস্তুত যেকোনো রাষ্ট্রের কোনো না কোনো রাষ্ট্রনৈতিক দর্শন ভাবনা থাকে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে লেনিন ছিলেন একজন অনন্য সাধারণ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক যিনি প্রচলিত সব দর্শনের বিপরীতে নতুন এক দুনিয়া নির্মাণের রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে..
বিস্তারিত
বর্তমান সময়ের আশঙ্কাগুলি নির্মূলে কার্যকর রাজনীতি জরুরি
কল্লোল বনিক
পুঁজিবাদী সভ্যতার এক নির্মম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা, ফিলিস্তিনকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার পশ্চিমা চক্রান্ত। অথচ ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী আরব দেশসমূহ কিভাবে বিনা প্রতিবাদে এই বরবর হত্যাযজ্ঞকে মেনে নিচ্ছে? অধিকাংশ আরব দেশেই রাজতন্ত্র নয়তো স্বৈরশাসক ক্ষমতায়, বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক যে চর্চা তাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচের অধিকাংশ মানুষ ইসরাইলের এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরোধী। কিন্তু বর্তমানে মধপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের সরকার মার্কিন অনুগত। কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারার এটাই অন্যতম কারণ। ইউরোপ আমেরিকার বড় বড় শহর বিক্ষোভে..
বিস্তারিত