মামদানির বিজয় : বাংলাদেশের
বামপন্থিরা কী শিক্ষা নিতে পারে?
ডা. মনোজ দাশ

বিশ শতকের শেষভাগে সমাজতন্ত্রের কিছু মডেলের বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশে বাম রাজনীতি অনেকটা আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে চলে যায়। তখন আমরা প্রধানত আদর্শিক বা নৈতিক অবস্থান রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছি। এখন সময় পাল্টেছে। আমরা এখন বহুমুখী কাজ ও সংগ্রামের মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছি।
এই প্রেক্ষিতে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে জোহরান মামদানির বিজয় কেবল মার্কিন নগর রাজনীতির নয়, বরং বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে বামপন্থি রাজনীতির জন্য এক নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে। মামদানির জয় এক নতুন উদাহরণ–যা দেখায় কীভাবে একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী সমকালীন নগর পুঁজিবাদের..
বিস্তারিত
ব্যাটারি শকট ধনীদের সংকট
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
শকট শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। “শকট” শব্দের অর্থ গাড়ি বা যান। শকট-এর দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে: একটি গাড়ি বা যান এবং অপরটি দৈত্যবিশেষ। তবে ব্যাটারিচালিত শকট দৈত্যের মত না। কারণ এটা শব্দহীন ছোট আকারের, পরিবেশের ক্ষতিকারক ধোয়া নির্গত করে না। এটি বর্তমানে তিন চাকার গাড়ি। তবে “বাষ্প-শকট” বলতে রেলগাড়িকে বোঝানো হয়। ধনীদের প্রাইভেটকারগুলোও চারকার শকট। ১৯১৯ সালে বাংলাদেশে হাতে টানা রিকশার প্রচলন শুরু হয়। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার (তৎকালীন বার্মা) থেকে প্রথম চট্টগ্রাম শহরে এগুলোর আবির্ভাব ঘটে। ১৯২০-এর দশকে..
বিস্তারিত
রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে বলশেভিক নেতৃত্ব
আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন

১৮৬১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি * (গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুসারে ৪ মার্চ) জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আইন জারি করে ভূমিদাস প্রথার অবসান ঘোষণা করেন এবং নতুন ঘোষিত কর্মসূচির মাধ্যমে রাশিয়ায় পুঁজিবাদ বিকাশের সূচনা হয়।
১৮৬১ সালেই চেরনিশেভ্সকি, হেরজেন, ওগারেভ ও দবরোল্যুবভ প্রমুখ ‘জমি ও স্বাধীনতা’ নামে একটি গোপন বিপ্লবী সংস্থা গঠন করেন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল রুশ কৃষকদের নিয়ে একটি জাতীয় অভ্যুত্থান সংঘটিত করা। ১৮৭৪ সালে প্রায় এক হাজার রুশ তরুণ কৃষকের সাজে সজ্জিত হয়ে গ্রামে গ্রামে পদযাত্রা শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জারতন্ত্রের..
বিস্তারিত
শহরের চাকা থামলে, ক্ষুধার চাকা থামে
দেবব্রত রায় দিপন

সিলেটের রাস্তায় এখন আর শুধু হর্নের শব্দ নেই, আছে অসহায় দীর্ঘশ্বাস। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত যেন পুরো শহরের শ্রমজীবী মানুষের বুকের ভেতর গভীর দাগ কেটে দিল। এ শহরের সকাল যেমন রিকশার বেল শুনে জেগে ওঠতো, তেমনই রাতও নামতো ঘরের উঠোনে খাবারের আনন্দে। আজ সেই হাসি ম্লান, চোখে আতঙ্ক, হাতে শূন্যতা। কেউ কেউ বলে, রিকশাগুলো নাকি শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে। কিন্তু ক্ষুধার্ত শিশুর চোখজোড়া কি কোনোদিন শহর সাজানোর আলোকে হার মেনেছে? যে রিকশাচালকরা ভোরের কুয়াশা..
বিস্তারিত