যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল কর্মীরা বকেয়া বেতন পাচ্ছেন না
একতা বিদেশ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার কয়েক দিন ধরে শাটডাউনের (অচলাবস্থা) মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যেসব ফেডারেল কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, শাটডাউন শেষে তাঁরা এ সময়ের বকেয়া বেতন হয়তো পাবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
অনেক আইনপ্রণেতা এ ব্যবস্থাকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ছুটিতে পাঠানো কর্মীদের বকেয়া বেতন বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট অফিস (ওএমবি) থেকে পাঠানো এক স্মারকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে যে আইন করে শাটডাউন শেষে বকেয়া বেতন প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, তা ওই সব কর্মীর বেলায় প্রযোজ্য নয়, যাঁদের সাময়িকভাবে কাজে না যেতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোন কর্মীদের নিয়ে কথা বলছি, তার ওপর নির্ভর করছে কাদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। কিছু কর্মী আছেন, যাঁরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন।’
সরকারি ব্যয়সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনে পড়ে যায়। তার পর থেকে কয়েক দফায় বিল পাসের চেষ্টা করা হলেও এখনো সফলতা মেলেনি।
ফলে কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার ফেডারেল কর্মীকে বিনা বেতনে কাজ করতে হচ্ছে। শাটডাউনের সময় কিছু কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত শাটডাউন শেষ হলে ছুটিতে পাঠানো কর্মীদেরও বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু এখন ছুটিতে পাঠানো কর্মীদের বকেয়া বেতন দেওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তার সঙ্গে একমত নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস।
জেফ্রিস বলেন, আইনে একেবারে স্পষ্ট করে বলা আছে যে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো প্রত্যেক ফেডারেল কর্মী অবশ্যই বকেয়া বেতন পাওয়ার অধিকারী, এটাই শেষ কথা।
বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে ওএমবি গত সপ্তাহেই স্মারকটি তৈরি করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে গতকাল প্রথম এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।
ওএমবির স্মারকে বলা হয়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মতো যাঁদের জরুরি কর্মী ধরা হয়েছে, যাঁদের কাজে আসা বাধ্যতামূলক, শাটডাউন শেষ হলে সরকার কেবল তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।
স্মারকে আরও বলা হয়, তবে যাঁদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে সরকার বাধ্য নয়, মূলত তাঁদের বিনা বেতনে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
অথচ ২০১৯ সালে কংগ্রেসে পাস হওয়া এবং প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা একটি আইনে বলা আছে, সরকারি তহবিলের অভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অথবা ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার সরকারি কর্মীদের মধ্যে যাঁদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয় বা যাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হন, তাঁদের সবাইকে সে সময়ের বকেয়া বেতন দিতে হবে। ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে এ আইন কার্যকর হয়।
Login to comment..