ভূমিকম্প : গার্মেন্ট শিল্পে ধ্বংসযজ্ঞের প্রতীক্ষা
হাসিবুর রহমান রিফাত
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর, আগুন লাগে ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অবস্থিত তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডের কারখানায়। ৯তলা ভবনটিতে কাজ করতেন দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক, তারা দ্রুত তিনটি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন ভবনের মূল গেট তালাবদ্ধ। নানাভাবে চেষ্টার পরও গেট খুলতে ব্যর্থ হয়ে তারা ফের উপরে ওঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। জীবন বাঁচাতে কেউ কেউ লাফিয়ে পড়েন জানালা দিয়ে; আর অনেকেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান। সরকারি হিসাবে সেদিন দগ্ধ হয়ে ও লাফিয়ে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৭ জন পোশাকশ্রমিক।
কিন্তু ভবনের গেটটি খোলা থাকলে তাদের হয়তো প্রাণ হারাতো হতো না। এরপর কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা কথা হয়েছে, বিভিন্ন বিধিমালা হয়েছে। কিন্তু একযুগ পেরিয়েও যে শ্রমিকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি তা ফের প্রমাণ পাওয়া গেল সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে।
গত ২১ নভেম্বর ভূমিকম্প শুরু হলে দেশের অনেক কারখানায় মূল ও জরুরি বহির্গমন গেট বন্ধ ছিল। ফলে এসব কারখানার শ্রমিকরা দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে ভবনের বাহিরে বের হতে চাইলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেসব তালাবদ্ধ গেট। এতে আতঙ্কে, ধাক্কাধাক্কিতে বহু শ্রমিক আহতের ঘটনা ঘটে।
সেদিনও গেট খোলা হয়নি গাজীপুরের শ্রীপুরে ডেনিমেক নামে একটি কারখানার। ফলাফলে ব্যাপকভাবে পদদলিত হয়ে সেখানে দেড় শতাধিকের শ্রমিক আহত হন। তাদের মধ্যে শতাধিক শ্রমিক ভর্তি হন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সেই কারখানার শ্রমিক আজাহারের সাথে কথা বলে জানা যায়, বহুতল ভবনের পুরোটাই গার্মেন্ট। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা তাড়াহুড়া করে নিচে নামতে চায়। কিন্তু নিচে নেমে মূল ফটক বন্ধ পায় শ্রমিকরা। তারা তখন তালা খোলার অনুরোধ জানালেও নিরাপত্তা কর্মী অনুমতি না নিয়ে তা খুলতে রাজি হয়নি।
সেসময় সিঁড়ির উপর থেকে শ্রমিকরা নিচের দিকে নামার চাপ দিতে থাকে, ফলে চাপের মধ্যে পড়ে সেখানেই অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শ্রমিকরা একত্রে ধাক্কা দিয়ে ফটক খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে। এসময় পদদলিত হয়ে অনেকে আহত হয়।
একই ঘটনা ঘটে টঙ্গীর বিসিকে অবস্থিত ফ্যাশন পালস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায়ও। বিসিক নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এমন ঘটনা সত্যি মর্মান্তিক।
গার্মেন্ট ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের টঙ্গী আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা বাবুল হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১০ তলা ভবনের পুরোটাই গার্মেন্ট। সেখানে প্রায় ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। ভবনটিতে ৪টি সিঁড়ি থাকলেও নিচে সব সিঁড়ির গেট বন্ধ থাকে।
সেদিন শুক্রবার হলেও তাদের জেনারেল ডিউটি চালু রেখেছিল মালিকপক্ষ। কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় ভূমিকম্পে আতঙ্কগ্রস্ত শ্রমিকরা বের হতে পারেনি। সেসময় শ্রমিকরা নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার জন্য ছুটাছুটি করলে ব্যাপক আহতের ঘটনা ঘটে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তাদের প্রাথমিক চিকিসাৎ দিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে, ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতার রবিনটেক্স গার্মেন্টসের তিনটি ভবনে ফাটল দেখা দেয়। শ্রমিকদের আতঙ্কের মধ্যেই ফাটল ধরা ভবনে কাজ করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন মালিকপক্ষ। পরে কাজে যোগদান না করে প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউখাবো এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, ভূমিকম্পে রবিনটেক্স কারখানার তিনটি ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। তাতে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু নিজস্ব প্রকৌশলীদের মাধ্যমে নিরীক্ষণ ও সাময়িক সংস্কার করে শ্রমিকদের কাজে যোগদিতে বলে মালিক পক্ষ। কিন্তু ২২ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্পে গার্মেন্টসের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। শ্রমিকেরা আতঙ্ক ও ভয়ে হুড়োহুড়িতে বের হওয়ার সময় পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত হন।
এ যেন প্রায় ১২ বছর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের সবচেয়ে বড় কাঠামোবদ্ধ হত্যাকাণ্ড রানা প্লাজার ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সেদিন সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে ডেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে।
এ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়, আর বিশ্বের ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
ঘটনার আগেরদিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল ফাটল দেখা দিয়েছিল রানা প্লাজা নামের নয়তলা ভবনটির কয়েকটি পিলারে ও দেয়ালে। পরে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী বলেছিলেন, ভবনটি নিরাপদ নয়, যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে- তাই ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত।
সে অনুযায়ী ঐ ভবনের দোকান, ব্যাংকসহ সবগুলো প্রতিষ্ঠানই বন্ধ ছিল, কিন্ত মুনাফাখোর গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকদের জীবনের তুলনায় তাদের মুনাফাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কারখানা খোলা রেখেছিলেন। এমনকি শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করতে রাজি না হলে ভবনের মালিক রানা তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক কাজে যোগ দিতে বাধ্য করে।
এভাবেই বারবার প্রমাণিত হয়ে চলছে গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিকদের জীবন মালিকদের চোখে প্রায় মূল্যহীন। এখানে শ্রমিকের গড় আয় বা কারখানায় কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চাইতে দ্রুত উৎপাদন, বেশি অর্ডার, সময়মতো ডেলিভারি এগুলোই অগ্রাধিকার পায়। আর সেই অগ্রাধিকারের আড়ালে হারিয়ে যায় হাজার হাজার শ্রমিকের স্বপ্ন, নিরাপত্তা, ও ন্যূনতম জীবনের মর্যাদা।
বাংলাদেশ যে দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে এ তথ্য নতুন নয়। আমাদের মত জনবহুল এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের দেশের নাগরিকদের জন্য এ যেন ধ্বংসযজ্ঞের এক অনিচ্ছুক প্রতীক্ষা। এবং ভূমিকম্পে যে ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি হবে তা নিয়েও বারবার সতর্ক করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মধ্যে যখন গার্মেন্ট শিল্পের প্রসঙ্গ আসে তখন শঙ্কা বেড়ে যায় বহুগুণ। এর মূল কারণ যেমন ঘিঞ্জি-জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুর্বল অবকাঠামো এবং পুরোনো ভবনে নির্মাণ করা হাজারো কারখানা, পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের অভাব, যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি না থাকা এবং রাষ্ট্রের গাফিলতি; তেমনই আরেকটি বড়ো কারণ শ্রমিকের প্রতি মালিকের দৃষ্টিভঙ্গি। নির্মম হলেও সত্য যে আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালিক আর শ্রমিকের সম্পর্কটা আধুনিক দাস ও দাস মালিকের মতো।
এখানে কারখানার পণ্য ‘চুরি রোধের’ করার নামে কারখানার মূলফটকসহ অন্যান্য গেটের চাবি থাকে, মালিক বা নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে। নির্ধারিত ছুটির সময়ের আগে যা খুলতে লাগে ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনার অনুমতি। সেই অনুমতি কখনোই ভূমিকম্প বা অগ্নিকাণ্ডের কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিটে সম্ভব নয়।
এই নিয়ম নিরাপত্তা কর্মীদের এতটাই শক্তভাবে মানতে বাধ্য করা হয় যে, মহাবিপর্যয়ের সময়ও তারা মানবিকতা দেখিয়ে নিয়মের বাহিরে যাবার সাহস করতে পারে না।
তবে নতুন কোনো ঘটনা নয় এদেশে। এর ভয়াবহতা আমরা আগেও দেখেছি বিভিন্ন গার্মেন্টে আগুন লাগাসহ অন্যান্য ঘটনায়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে চুরি ঠেকানো নয়, বরং কাজের সময় শ্রমিকদের এমন বন্দি বাসের কঠোর নিয়মের মূলে রয়েছে তাদের কাছ থেকে জোর করে সাধ্যের অতিরিক্ত শ্রমশক্তি বের করে নেওয়া। যেটুকু সময়ের জন্য নামেমাত্র দামে শ্রমিকের শ্রমকে কেনা হয়েছে সেটুকু সময়ে শ্রমিকদের বন্দিদশার মধ্যে রেখে দেওয়া। এসময়ে শ্রমিকদের কোনো জৈবিক প্রয়োজনও মালিকদের সহ্য হয় না, অন্য প্রয়োজন তো দূরের কথা।
আমাদের দেশে গার্মেন্ট শিল্পে অধিকাংশ শ্রমিক নারী এমনকি কিশোর-কিশোরী সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। তাদের জীবনের সঙ্গে এমন আচরণ এই যুগে দাস ব্যবস্থার বর্বরতাকেও অনেক সময় হার মানায়।
আমাদের দেশে বিশেষায়িত শিল্প এলাকা ছাড়া অধিকাংশ শিল্প-কারখানার ভবন কারখানা পরিচালনার জন্য তৈরি করা নয়। বিশেষত, ঢাকা শহরের পোশাক কারখানাগুলো অধিকাংশই আবাসিক ভবন ভাড়া নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এসব ভবনে সংকীর্ণ সিঁড়ি দিয়ে একসাথে বহু লোকের বের হবার কোনো ব্যবস্থা নেই।
সেই সাথে ফায়ার এক্সিট, বহির্গমন পথ অনেক কারখানায় ঠিকমতো নেই বা দীর্ঘকাল বন্ধ। ফলে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় যা এখনো পূর্ব থেকে অনুমান করা যায় না তা বড় মাত্রায় ঘটলে ভয়াবহতা হবে ব্যাপক। সেই সাথে যদি মূল ফটক বন্ধ থাকে এবং তা খুলতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দেরি হয় তবে তার ভয়াবহতা বেড়ে দাঁড়াবে বহুগুণ।
শুধু ভূমিকম্প নয়–আগুন, ভবন ধস সবক্ষেত্রেই এই সত্য অস্বীকার করার উপায় নাই। আমরা আমাদের দেশে রানা প্লাজা ও তাজরিনের ঘটনার ভয়াবহতা দেখেছি। কিন্তু আজও কোনো সমাধান হয়নি, এমনকি দোষীদের কোনো বিচার হয়নি।
এছাড়া শ্রমিকদের এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ন্যূনতম কোনো ট্রেনিং বা মহড়ার ব্যবস্থা করা হয় না। বয়স, জরুরি অনুশীলন, ফায়ার নিরাপত্তা আইন হলেও তা মানা হয় না। সরকারি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব লাইসেন্স প্রদান যেন নিয়ম রক্ষা ও দুর্নীতির জন্য।
২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) হিসেবে অন্তত ২৩% পোশাক কারখানা ভবনের কাঠামো ত্রুটিমুক্ত না হওয়ায় সেগুলো শ্রমিকদের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ নয়। তবে এটা সরকারি তথ্য, বাস্তবতায় এই সংখ্যা আরো অনেক বেশিই হবে।
শ্রমিকদের জীবন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা মালিকদের কাছে শুধু খরচ ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ হিসেবে দেখা হয়। মালিকরা গার্মেন্টস কারখানার অর্ডার, রপ্তানি, মুনাফা এসব হিসেব করতে ব্যস্ত। সেই হিসেবের ভেতর একেকজন শ্রমিকের জীবন, তার পরিবার, তার ভবিষ্যৎ হারিয়ে যায়। ভূমিকম্প বা অন্য কোনো দুর্যোগেও আমরা মানুষকে বাঁচাতে ভুলে যাই। গার্মেন্টসের কোটি টাকার অর্ডারের চাইতে বেশি মূল্যবান মানুষ ও তাদের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করছেন যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও আনসারের মতো প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত থাকলেও আমাদের এই বর্তমান সক্ষমতা একটি বৃহৎ মাত্রার ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য একেবারে পর্যাপ্ত নয়। ভূমিকম্পের সময় জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিও বিদ্যমান। সেখানে যদি মুনাফার কাছে ন্যূনতম মানবিকতাও হারিয়ে যায় তবে তার ভয়াবহতা আরও বাড়বে।
গার্মেন্টশিল্প বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় খাত। এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে এর প্রাণ শ্রমিকদের বাঁচাতে হবে। এর জন্য দরকার সঠিক শ্রম আইন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের এই শিল্পেই অল্প জায়গায় সবচেয়ে শ্রমিক কাজ করে। ভূমিকম্পের মতো ঘটনায় এই শিল্প কারখানায় একসাথে বহু মানুষের হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভূমিকম্পের সাথে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর গাফিলতি, মালিকদের দায়হীনতা মিলিয়ে ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ যেন না হয় সেই ব্যবস্থা দ্রুত নিতে হবে। অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দুর্যোগ মোকাবিলায় শ্রমিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করাসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিতের সকল দায়িত্ব নিতে হবে মালিক ও সরকারকে।
সেই সাথে শ্রমিকের প্রতি মালিকের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না করলে এই ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা আরো বাড়বে।
লেখক: শ্রমিক নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা
Login to comment..








প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন