চাল-আটাসহ বাড়তি দাম সবজির

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : এবছর রমজানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম ছিল। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ নিতে পেরেছে ভোক্তা। তবে সম্প্রতি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। গত ১৫ এপ্রিল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়। পাবনার পেঁয়াজের দাম আরও বেশি, কেজি ৫৫-৬০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, তিন দিন আগে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। তবে ক্রেতারা বলছেন সরবরাহ নির্ভরতায় দাম উঠানামা করছে। তবে গ্রাহকের হাতের লাগালে পেঁয়াজের দাম। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, পেঁয়াজের দর ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এ কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই দাম গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তবে এখন দাম অল্প বেড়েছে। রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। সেইসঙ্গে বেড়েছে আদা, রসুনসহ কিছু সবজির দাম। রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ১৫-২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ২৫-৩০ টাকা, ঝিংগা ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা পিস, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, সজনে ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-১০০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, গোল বেগুন আগের মতোই ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০-৭০ টাকা, লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সিটি বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, অনেকেই পেঁয়াজ ঘরে সংরক্ষণ শুরু করেছেন। এ কারণে চাহিদার তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা কমায় বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০-২৬০ টাকায়। তবে কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির বাদামি এক ডজন ডিম বড় বাজারে ১২০-১২৫ টাকা এবং মহল্লার মুদিদোকানে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহে ডজনে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। সয়াবিন তেলের মতো চালের দাম অনেক দিন ধরে চড়া। নতুন করে দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে টিসিবি জানাচ্ছে, খোলা আটার সর্বনিম্ন দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। ডালের দাম আগের মতোই বেশি। নতুন করে হেরফের হয়নি। চিনির দামও আগের মতো রয়েছে, কেজি ১২০ টাকার আশপাশে। বেড়েছে সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ শেষ। এখন গ্রীষ্মের সবজির চাহিদা বেশি। নতুন সবজি আসছে। দাম চড়া। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৪টি সবজির দামের হিসাব দেয়। এক মাসে তিনটি সবজির দাম কমেছে বেগুন, বরবটি ও করলা। তিনটি সবজির আগের দামের হিসাব তারা দেয়নি। একটির দর স্থিতিশীল। সাতটির দাম বেড়েছে-কাঁচা পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, চিচিঙ্গা, দেশি টমেটো, লাউ, চালকুমড়া ও দেশি গাজর। মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ শতাংশ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, সবজি যৌক্তিক মূল্যের অনেক বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। যেমন ঢাকার খুচরা বাজারে কাঁচা পেঁপের যৌক্তিক দর হওয়া উচিত ২৩ টাকা কেজি। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..