প্রগতি লেখক সংঘ ও লেখকের দায়

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
দীপংকর গৌতম: প্রগতি লেখক সংঘ একটি সাহিত্য সংগঠন। আসলেই কি তাই? প্রগতি লেখক সংঘ কি শুধুমাত্র একটি সাহিত্য সংগঠন? মোটেই না। প্রগতি লেখক সংঘের ইতিহাস তা বলে না। প্রগতি লেখক সংঘ কারা করেছে সেসব বিপ্লবী লেখকদের তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে যে এ সংগঠন শুধুমাত্র কবিতা বা গল্প লিখে কাজ শেষ করার তো কোনো সংগঠন নয়। এ সংগঠনের পেছনে লেখকদের দায় আছে-দায়িত্ব আছে, আছে মতাদর্শ ও দার্শনিক চেতনা। এই দার্শনিক চেতনাটা কি? তাও বোধকরি লেখকদের তালিকা দেখে যে কারো বোঝা সম্ভব। প্রগতির লেখকরা কেউ নিছক সাহিত্য চর্চা করেন নি, তারা সাহিত্যে দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে বড় করে দেখেছেন। সাহিত্যের দর্শন যেমন আছে, তেমন দায়ও আছে। সাহিত্যের এই দায়বদ্ধতা যেসব লেখক শিল্পীদের স্পর্শ করে তারা সেভাবে সাহিত্যের দিক বলয় গড়ে তোলেন। এক্ষেত্রে প্রকাশের ভাষা ও মাধ্যম আলাদা হলেও দায়বদ্ধতার বিষয়টি একদম এক। যে কারণে আমরা দেখি সোমেন চন্দ বা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় যেমন প্রতিবাদের ভাষা রয়েছে, রয়েছে পুঁজিবাদী সমাজের চিত্র, আবার রয়েছে সমাজের শোষিত নিষ্পেষিত মানুষদের টনটনে ব্যথার সুর। এখন দেখবার বিষয় হল, পদ্মানদীর মাঝি’র কুবেরদের প্রতি আমরা কতটা দায়বদ্ধতা অনুভব করি। আবার ‘ইঁদুর’ গল্পে একটি দরিদ্র পরিবারকে ইঁদুর যেভাবে বিপন্ন করে তোলে বাস্তবিক পক্ষে সে চিত্র আমাদের পীড়া দেয়। শিল্পের দায়বদ্ধতার বিষয়টি এখানেই। শিল্পের রূপ এমনই যে আমাদেরকে পরাজয়ে হাসতে শেখায়, ‘জীবনে হয়ত কিছুই হতে পারি না তবু বেঁচে থাকতে আমাদের ভালো লাগে’। আমাদের সংগ্রামে উজ্জীবিত করে বা রাজনীতিক সংগ্রামে আমাদের লেখা বিপ্লবী শ্লোগানের পরিপূরক হয়। জীবনের এই দায়বদ্ধ লেখক শিল্পীদের সংগঠন প্রগতি লেখক সংঘ। প্রগতি লেখক সংঘ কী জন্য বা কেন গঠিত হয়েছিলো সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে প্রগতি লেখক সংঘের ঘোষণাপত্রের কথা শুনলে বোঝা যাবে তারা কারা, কী চায়? কেন চায়? সেটা স্পষ্ট হবে। প্রগতি লেখক সংঘের ঘোষণায় যে কথা বলা হয়েছে তা হলো: ‘আমাদের দেশে নানা মূর্তিতে যে প্রগতিদ্রোহ আজ মাথা তুলেছে তাকে আমরা সহ্য করব না।... রূপান্তরক্ষম করে, তাকে আমরা প্রগতিশীল বলে গ্রহণ করব।’ তার মানে প্রগতি লেখক সংঘের শুরুর কথাটা ‘প্রগতি’। এই প্রগতি তাদের মননে, চেতনায় পুরোটাই ছিলো। এবং এইসব লেখক সংঘের কর্মকাণ্ডের প্রেষণায় লেখক-শিল্পীদের মধ্যে যে চেতনার উšে§ষ ঘটেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় অসাম্প্রদায়িকবোধ, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভূমিকা, যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবতাবোধের ভিত্তিমূল পাকিস্তান আমলেও ছিন্ন হয়নি। পঞ্চাশ-ষাট দশকে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে প্রগতি লেখক সংঘের সঙ্গে যুক্ত থাকা অগ্রসর কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরা গৌরবের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা এবং তাঁদের উত্তরাধিকারেরা এখনো সক্রিয়। প্রগতি লেখক সংঘ প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি ধারাবাহিক ইতিহাস আছে। ১৯২৭-২৮ সালের দিকে বিশ্ব পরিস্থিতিতে যে অবস্থা বিরাজ করছিলো ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের আগে কমিনটার্নের বিপ্লবীরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, সাম্রাজ্যবাদ যে রূপ নিচ্ছে, তাতে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অনিবার্য হয়ে উঠবে যখন তখন। এ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়তে হলে প্রথমেই আঘাত হানতে হবে পুঁজিবাদী দেশগুলোর সামাজিক গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিরুদ্ধে (ংড়পরধষ ফবসড়পৎধপু)। এই মনোভাব তখনকার বাস্তবতায় ছিলো সামাজিক গণতন্ত্র সম্পর্কে কমিনটার্নের পূর্বেকার নীতির পরিবর্তন। এক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনকে খাটো করে দেখা হয়। পরবর্তীতে ডিমিট্রভের নেতৃত্বে মহামতি লেনিনের বিপ্লবী চিন্তার কাছে ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯৩৩ সালে। এর মাঝের বিচ্যুতি বা ভ্রান্তির আলোচনা পরে হবে। তবে ডিমিট্রভ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সাফল্য লাভ করার জন্য সোসাল ডেমোক্রেটিক এবং অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের সাথে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তার মতে, ‘কমিউনিস্টদের এখন এবং এই প্রথম সংগ্রামের এমন সব পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে যা সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে।’ কমিনটার্নের সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৫ সালে। ডিমিট্রভের নেতৃত্বে কংগ্রেস থেকে ঘোষণা করা হয়, শ্রমিকশ্রেণির ও তার রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যের ভিত্তিতেই গড়ে তুলতে হবে ফ্যাসি-বিরোধী পিপলস ফ্রন্ট। তারই ধারাবাহিতা হলো লেখক সংঘ বা প্রগতি লেখক সংঘ। মানে এ সংগঠনের রাজনীতিটা লেখকের রাজনীতি। যেটা আন্তর্জাতিক রাজনীতি থেকে পৃথক নয়। যে পথ ধরে শুরু হয়েিছলো ফ্যাসিস্ট বর্বরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। যেটা সংগঠিত করতে ফ্যাসিবাদ, সাম্রাজ্যবাদকে বিরোধী অবস্থানে দাঁড়ান বিশ্বের খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী। এবং তারা সংঘটিত করেন শিল্পী, সহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবদের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন (World Congress of Writers for the Defence of Culture)। যে বিশ্বযজ্ঞের সময়কাল ১৯৩৫ সালের ২১ জুন। প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এটি। এরই ধারাবাহিকতায় উজ্জীবিত হয় ভারতবর্ষের লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবীরা। ১৯৩৬ সালে ভারতবর্ষের প্রগতিশীল শিল্পী-সাহিত্যিকরা সমবেত হন পৃথিবীব্যাপী ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লেখকদের সংঘঠিত হওয়ার প্রয়োজন থেকে। গঠন করলেন ‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সংঘ’। ১৯৩৯ সালে ঢাকা জেলা প্রগতি লেখক সংঘের একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রণেশ দাশগুপ্ত, সোমেন চন্দ, কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত, অমৃতকৃমার দত্ত, জ্যোতির্ময় সেনগুপ্ত, সতীশচন্দ্র পাকড়াশী প্রমুখ। মূলত সৈয়দ সাজ্জাদ জহির এবং মুলক রাজ আনন্দ ১৯৩৫ সালের গোড়ার দিকে লন্ডনে ‘ভারতীয় প্রগতি লেখক সংঘ’ নামে একটি সাহিত্য সভা গঠন করেন। পরের বছর ১০ এপ্রিল সাজ্জাদ জহিরের নেতৃত্বে লক্ষ্মৌতে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সংঘ’ এবং জুলাই মাসে পৃথকভাবে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গীয় প্রগতি লেখক সংঘ’। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৩৯ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় প্রগতি লেখক সংঘ। ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রগতি লেখক সংঘ-এর ভিত্তিমূল তৈরি হয়েছিল ১৯৩২-৩৩-৩৪ সালে লন্ডনে। সেখানে মুলুকরাজ আনন্দ, সাজ্জাদ জহির, হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ভবানী ভট্টাচার্য, ইকবাল সিং, রাজা রাও, মহম্মদ আশ্রফ প্রমুখ লন্ডন-প্রবাসী ভারতীয়-ছাত্ররা উদ্যোগী হয়েছিলেন। এঁরা অনুপ্রাণিত হন রোমাঁ রোল্যাঁ, বারব্যুস, গোর্কি, ফর্স্টার, স্ট্রাচি প্রমুখ মনষীদের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী সংগ্রামের আহ্বানে এবং হ্যারল্ড ল্যাক্সি, হাবার্ট রীড, মন্টেগু শ্যাটার, রজনীপাম দত্ত প্রমুখ বিদেশি মার্কসবাদী বন্ধুদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ আলাপ আলোচনার মাধ্যমেও। কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের সপ্তম কংগ্রেসে জর্জি ডিমিট্রভ ততদিনে (১৯৩৫) ‘সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুক্তফ্রন্ট’-তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। এই আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ১৯৩৬-এর এপ্রিলে লক্ষ্মৌতে মুন্সী প্রেমচন্দ-এর সভাপতিত্বে গঠিত হলো নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সংঘ। প্রগতি লেখক সংঘ প্রতিষ্ঠায় মার্কসীয় বুদ্ধিজীবী ও কমিউনিস্টদের সক্রিয় উদ্যোগ ছিল। তৎকালে বামপন্থি রূপে পরিচিত কংগ্রেস সভাপতি জওহরলাল নেহরুরও ছিল পরোক্ষ উৎসাহ। সদ্য ইউরোপ-প্রত্যাগত সাজ্জাদ জহির, হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়রা ছিলেন এর নেতৃত্বে। ১৯৩৫ সাল থেকেই ইউরোপে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ শুরু হয়। ইতালি ১৯৩৫-এ আবিসিনিয়া (ইথিওপিয়া) এবং জার্মানি স্পেনের ওপর হামলা শুরু করে। তখন শিল্পী পাবলো পিকাসো প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ছবি এঁকে। ১৯৩৬-এর ৩ সেপ্টেম্বর রোমা রল্যাঁর আহ্বানে ব্রাসেলস শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্বশান্তি সম্মেলন, তাতে বলা হলো : ‘পৃথিবীর সম্মুখে আজ আতঙ্কের মতো আর এক বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা সমুপস্থিত। ফ্যাসিস্ট স্বৈরতন্ত্র মাখনের বদলে কামান তৈরিতে মগ্ন। তারা সংস্কৃতির বিকাশের বদলে বিকশিত করছে সাম্রাজ্য জয়ের উš§াদ লালসা, প্রকাশ করছে নিজের হিংস্র সামরিক স্বরূপকে।’ যুদ্ধ, মন্বন্তর, সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রগতি লেখক সংঘ ছিল এই সাংস্কৃতিক জাগরণের মূল ও পথ-নির্দেশক শক্তি। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাবলিতে এই প্রথম প্রত্যক্ষভাবে ঔপনিবেশিকতা-বিরোধী উপাদানগুলি জাতীয়তাবাদকে আশ্রয় করে নতুনতর সাহিত্য-আন্দোলন গড়ে তুলতে সফল হয়েছিল, যার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল।” (সুন্নাত দাশ, প্রগতি লেখক সঙ্ঘ ফিরে দেখা ৭৫) আমরা লক্ষ্য করি, বিশের দশকে ম্যাক্সিম গোর্কির রচনাও সেই সময়ের ভারতীয় সাহিত্যিকদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। বাংলাদেশে প্রগতি লেখক সংঘ ১৯৪০ সালে গেন্ডারিয়া হাইস্কুল মাঠে প্রথম সম্মেলন করে। এতে কাজী আবদুল ওদুদ সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনে রণেশ দাশগুপ্ত সম্পাদক এবং সোমেন চন্দ সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪১ সালে জার্মান কর্তৃক সোভিয়েট রাশিয়া আক্রান্ত হলে লেখক সংঘ তার প্রতিবাদে ব্যাপ্টিস্ট মিশন হলে ‘সোভিয়েট মেলা’ নামে সপ্তাহব্যাপী এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এভাবেই এই সময় সংঘের কার্যক্রম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রগতি লেখক সংঘ দিনদিন আন্তর্জাতিক রূপ পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর রাজনীতিতে পরিবর্তন দেখা দিলে সংঘের কার্যক্রম বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়। ১৯৪৭-এ দেশভাগের পর ধীরে ধীরে প্রগতি লেখক সংঘের কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। ২০০৮ সালে দেশের কিছু প্রগতিশীল লেখকের প্রচেষ্টায় ‘বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ’ পুনরায় আত্মপ্রকাশ করে। সেসময় একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি : বদিউর রহমান (আহ্বায়ক), রতন সিদ্দিকী (যুগ্ম-আহ্বায়ক), মতলুব আলী, নিরঞ্জন অধিকারী, কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহরাব হাসান, ভীষ্মদেব চৌধুরী, বিশ্বজিৎ ঘোষ, সৈয়দ আজিজুল হক, মশিউল আলম, সৌমিত্র শেখর। ৮ আগস্ট ২০১৪ এ বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক এবং কার্যকরী সভাপতি হন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাট্যকার ড. রতন সিদ্দিকী। এই কমিটির উদ্যোগে ইতিমেধ্যে ৩০টির অধিক শাখা সংগঠনও গড়ে ওঠে। লেখক হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন প্রতিবাদী কর্মকাণ্ডসহ অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে এর অবস্থান দৃঢ় হচ্ছে। ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ তে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সভাপতি নির্বাচিত হন, কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু ও সাধারণ সম্পাদক কবি, সাংবাদিক সাখাওয়াত টিপু। ১৫ মার্চ আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্মেলন। সারাদেশে ইতিমধ্যে প্রগতি লেখক সংঘ তাদের বার্তা ছড়িয়েছে। ফলে প্রান্তিক লেখকরা এগিয়ে আসছে সামনে। পরিস্ফূটন ঘটছে গণসাহিত্যের। বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক ধারার বিরুদ্ধে সমাজের দায়বদ্ধ লেখক গোষ্ঠীর যে গণসংগ্রাম তৈরি হচ্ছে-মননশীলতার মধ্য দিয়ে এসব দেশ, মাটি, মনুষ্যত্ব বিরোধী অপশক্তি নির্মূল হবেই। লেখক : সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, প্রগতি লেখক সংঘ

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..