সিপিবির ৮ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী ৭ সদস্যের কন্ট্রোল কমিশন

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
একতা প্রতিবেদক : সমাজ বদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা কর এই স্লোগানকে ধারণ করে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শেষে সিপিবির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত সভায় কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীও নির্বাচিত করা হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যগণ হলেন- ১. মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ২. রফিকুজ্জামান লায়েক ৩. এস এ রশীদ ৪. রাগিব আহসান মুন্না ৫. জলি তালুকদার ৬. মো. আমিনুল ফরিদ। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে সমাপ্ত সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসে প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হয় ৪৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি। এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ১. মোহাম্মদ শাহ আলম ২. রুহিন হোসেন প্রিন্স ৩. মিহির ঘোষ ৪. শাহীন রহমান ৫. লক্ষ্মী

রফিকুজ্জামান লায়েক
চক্রবর্তী ৬. পরেশ কর ৭. অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন ৮. আনোয়ার হোসেন রেজা ৯. কাজী রুহুল আমীন ১০. সাজেদুল হক রুবেল ১১. লুনা নূর ১২. আবিদ হোসেন ১৩. ফজলুর রহমান ১৪. এম এম আকাশ ১৫. মৃণাল চৌধুরী ১৬. মন্টু ঘোষ ১৭. দিবালোক সিংহ ১৮. এমদাদুল হক মিল্লাত ১৯. মনিরা বেগম অনু ২০. মনোজ দাশ ২১. মো. কিবরিয়া ২২. আসলাম খান ২৩. নিমাই গাঙ্গুলী ২৪. লাকী আক্তার ২৫. মানবেন্দ্র দেব ২৬. সাদেকুর রহমান শামীম ২৭. এস এম শুভ ২৮. আহসান হাবিব লাবলু ২৯. মহসিন রেজা ৩০. সুব্রতা রায় ৩১. রেবেকা সরেন ৩২. সাজিদুল ইসলাম ৩৩. মঞ্জুর মঈন ৩৪. এস এম শহীদুল্লাহ সবুজ ৩৫. সুকান্ত শফি চৌধুরী। কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৭ জন এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত কন্ট্রোল কমিশনের সদস্যরা হচ্ছেন- মাহবুব আলম, কাজী সোহরাব হোসেন, সুজাত আলী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, আব্দুল কাদের ও জয়নাল খান। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে

এস এ রশীদ
শুরু হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ত্রয়োদশ কংগ্রেসের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় দিনের অধিবেশনে রাজনৈতিক প্রস্তাবের রিপোর্টে বলা হয়, রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে লেনিনীয় নীতি অনুসরণ করে পার্টিকে প্রয়োজন ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচনী সংগ্রামের জন্য সিপিবিকে দক্ষ ও উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবী ধারার শক্তিশালী গণসংগঠন গড়ে তুলতে হবে। দেশে লুটেরা বুর্জোয়া ধারার মেরুকরণের বাইরে বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শক্তির ভারসাম্য মুক্তিযুদ্ধ ও গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার অনূকূলে নিয়ে আসার ঐতিহাসিক প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শোষণ বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মানের দিকে অগ্রসর করতে হবে। রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়, লুটেরা শাসকশ্রেণিকে পরাভূত করে ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক জনগণের অনুকূলে রাষ্ট্রক্ষমতার বদল না হলে

রাগিব আহসান মুন্না
এবং অর্থনৈতিক সামাজিক নীতি দর্শনের প্রগতিমুখী মৌলিক পরিবর্তন না ঘটলে, মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে না। এর জন্য দরকার হবে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধন করা। তাই সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের কাজ ও সংগ্রামকে সব সময়ের জন্য মূল কাজ ও সংগ্রাম হিসেবে গণ্য করতে হবে। অপরাপর সব আশু ও জরুরি কাজ এবং সংগ্রামের সময়েও এই বিষয়টিকেই কেন্দ্রীয় কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, দেশবাসীর সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে গণমুখী, প্রগতিশীল, জাতীয় স্বার্থের অনুকূল, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, বিপ্লবী ধারার বিকল্প কর্মসূচি উত্থাপন করা ও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা, সশস্ত্র সম্প্রদায়িক শক্তির বিপদ, রাষ্ট্রের ফ্যাসিস্ট প্রবণতা, গণতান্ত্রিক

জলি তালুকদার
অধিকার সংকুচিত করার চেষ্টা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা প্রভৃতিকে গুরুতর বিপদ বলে বিবেচনা করে, এসব বিপদের বিরুদ্ধে সিপিবিকে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামে আপসহীন, দায়িত্বপূর্ণ ও নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করে যেতে হবে। রাজনৈতিক প্রস্তাবে তুলে ধরা হয়, কমিউনিস্ট পার্টি সব দেশপ্রেমিক জনগণকে পুঁজিবাদের নিষ্ঠুর শোষণ ও অপশাসন, গণতন্ত্রের পথে বাধা, মবতন্ত্র, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং রুটি-রুজি, ভাত-কাপড়, ভোটাধিকার-গণতন্ত্রের দাবি আদায়ের জন্য ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবস্থা বদলের জন্য বিভিন্ন দল ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে। কমিউনিস্ট ঐক্য বাম ঐক্য বৃহত্তর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির সমাবেশ গড়ে তোলাসহ সমাজবিপ্লবের দিকে অগ্রসর হতে হলে গুনে ও পরিমাণে শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কোনো

মো. আমিনুল ফরিদ
বিকল্প নেই। সেজন্য বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পিত কর্মকৌশল গ্রহণ করে অগ্রসর হতে হবে। কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির জাগরণ ও উত্থান ঘটানোর প্রচেষ্টায় সর্বতোভাবে শামিল হতে দেশবাসীর প্রতি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রস্তাবের উপর সারাদেশের ৪৫ জন প্রতিনিধি আলোচনা করেন। এরপর এই রাজনৈতিক প্রস্তাব অনুমোদিত হবে। রাজনৈতিক প্রস্তাবের পর গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়। ক্রেডেনশিয়াল রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন করা হয়। অডিট কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন, আলোচনা ও অনুমোদন, কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট উত্থাপন, আলোচনা ও অনুমোদন করা হয়। পরে সব রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদন শেষে, কন্ট্রোল কমিশন নির্বাচন, কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন, জাতীয় পরিষদের নির্বাচন, সমাপনী ভাষণ, সমবেত কণ্ঠে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ কংগ্রেসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..