অভিবাসন খাতে দুষ্টচক্রের থাবা

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অভিবাসন খাতে চলছে নানামুখী প্রতারণা। একদিকে দালাল চক্র, অন্যদিকে সরকারি সেবায় অব্যবস্থাপনা- সব মিলিয়ে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কাজের জন্য বিদেশ যেতে আগ্রহীরা। এমনিতেই বাংলাদেশি কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। তার ওপর আছে টাকা দেওয়ার পর দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার শঙ্কা। এখানেই শেষ নয়, ভিন দেশে পাড়ি জমানোর পরও নানা সংকটে দিন কাটান প্রবাসী কর্মীরা। এ অবস্থায় বিদেশে কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নিরাপদ অভিবাসনই এখন বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর প্রায় ২১ লাখ মানুষ নতুন করে শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু বিপুল এই জনগোষ্ঠীর জন্য সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ। নতুন শ্রমশক্তির মধ্যে মাত্র সাত লাখ দেশে কাজ করে আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আয় করতে পারছেন। বাকিরা যে কোনো উপায়ে জীবন ধারণের পথ খোঁজেন। দেশে পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় এর বড় অংশই কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। তরুণদের একটা বড় অংশের দেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তারা নানাভাবে বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন। এই লাখ লাখ মানুষ যদি দেশে থাকতেন তাহলে রাষ্ট্রকে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হতো। প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার পাশাপাশি কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা মিলে বাংলাদেশকে যে ঋণ দেয় তার ৮ থেকে ১০ গুণ টাকা প্রবাসীরা পাঠান। অথচ যাদের শ্রমে ও ঘামে এই অর্থ অর্জিত হচ্ছে, দুর্দশার দুষ্টচক্রে বন্দি হয়ে আছে তাদের জীবন। বিদেশ গমনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ভিন দেশে অবস্থান করা পর্যন্ত পদে পদে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন অভিবাসীরা। পাসপোর্ট তৈরি থেকেই হয়রানির মুখে পড়তে শুরু করেন কাজের জন্য বিদেশে যেতে আগ্রহীরা। রিক্রুটিং এজেন্সি বা এর প্রতিনিধিরা পাসপোর্ট তৈরির জন্য নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে দু-তিন গুণ আদায় করে। বিনিময়ে অনেক ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় ভুয়া পাসপোর্ট। ভিসার সঙ্গে নামের মিল রাখার কথা বলে বদলে দেওয়া হয় অনেকের মা-বাবার রাখা নাম। আর এই পাসপোর্ট নিয়ে অনেককেই বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে হয়। অন্যদিকে ব্যক্তিগতভাবে পাসপোর্ট করতে গেলে শিকার হতে হয় চরম দুর্ভোগের। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি বা দালালরা বিদেশগামী শ্রমিকের কাছ থেকে তাদের দাবিকৃত মোট অর্থের সিংহভাগ আদায় করে ফেলে। ‘কয়েক দিনের মধ্যেই ভিসা এসে যাচ্ছে, এখন টাকা না দিলে পরে আর ভিসা পাওয়া যাবে না’- এ ধরনের কথা বলে স্বল্প সময়ের মধ্যে টাকা আদায় করা হয়। বিদেশে ভালো চাকরির আশায় অনেকেই সহায়-সম্বল বিক্রি করে তাদের হাতে টাকা তুলে দেন। আর এরপর থেকেই শুরু হয় দালালদের পেছনে ধরনা দেওয়ার পালা। হাতেগোনা কিছু এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদেশে পাঠালেও বেশিরভাগ শ্রমিককেই নানা অজুহাতে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়। এতে বিদেশগামীদের অতিরিক্ত অর্থ ও শ্রম ব্যয় হয়। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্দশায় দিন কাটে তাদের। টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) গবেষণা বলছে, রিক্রুটিং এজেন্সি বা তাদের প্রতিনিধিদের কাছে টাকা দেওয়ার পরও ১৯ শতাংশ মানুষ বিদেশে যেতে পারছেন না। এতে তাদের গড়ে আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। আবার বিদেশে যেতে পারলেও ৩২ শতাংশ অভিবাসী চাকরি না পাওয়াসহ নানা হয়রানির মুখে পড়ছেন। বাকি ৪৯ শতাংশ স্বাভাবিকভাবে চাকরি করতে পারেন। বিদেশ গমনের ব্যয়ের ক্ষেত্রেই বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হন শ্রমিকরা। বিদেশে কর্মী পাঠানোর জন্য সরকার নির্ধারিত মোট ব্যয় নির্ধারিত থাকলেও কোনো রিক্রুটিং এজেন্সিই তা মেনে চলে না। প্রায় সবক্ষেত্রেই নানা অজুহাতে দুই থেকে তিনগুণ অর্থ আদায় করা হয়। ভিসা প্রসেসিং, বিমান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে যে পরিমাণ খরচ হয়, রিক্রুটিং এজেন্টগুলো তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অর্থ নিয়ে নেয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি অভিবাসীদের সৌদি আরবে যেতে সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে ২.৬ গুণ, মালয়েশিয়ায় যেতে ২.৫ এবং সিঙ্গাপুরের জন্য ২.২ গুণ বেশি ব্যয় করতে হয়। অভিবাসনের জন্য সব মিলিয়ে একজন পুরুষকে গড়ে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং নারীকে ১ লাখ ১০২ টাকা ব্যয় করতে হয়। আর এই খরচ তুলে আনতে একজন পুরুষ কর্মীর গড়ে প্রায় ১৯ মাস এবং নারী কর্মীর সাড়ে ৫ মাস সময় লাগে। জানা গেছে, বৈধ প্রক্রিয়ার চেয়ে অবৈধ পন্থায় বিদেশে যেতে খরচ করতে হয় বেশি টাকা। বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাতে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে দালালরা। দালালদের খপ্পরে পড়ে বিদেশে যাওয়ার প্রতিটি স্তরেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। বৈধ বা অবৈধ যে প্রক্রিয়াই হোক, হয়রানি ছাড়া কারও ভাগ্যেই বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার সুযোগ মেলে না। শুধু দেশ থেকে পাঠানো কর্মীরাই নন, জনশক্তি রপ্তানির নামে একশ্রেণির রিক্রুটিং এজেন্ট এবং তাদের নিয়োগকৃত সাব-এজেন্ট বা ‘আদম ব্যবসায়ী’ বিদেশি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গেও নানা ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এতে একদিকে বিদেশে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা, অন্যদিকে অনেক দেশের মালিকদের মধ্যেই বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। জানা গেছে, কিছু কিছু রিক্রুটিং এজেন্ট কম বেতনে দক্ষ বা আধাদক্ষ শ্রমিক সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে। পরে অদক্ষ শ্রমিকদের প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভার, কার্পেন্টার, ওয়েল্ডার ইত্যাদি কাজের জন্য ভিসা দিয়ে বিদেশে পাঠায়। এসব শ্রমিক বিদেশে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই তাদের অদক্ষতা ধরা পড়ে এবং কাজ হারিয়ে বিদেশে বিপদে পড়তে হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সাধারণত বিদেশ থেকে চাহিদাপত্র কিনে এনে এর ভিত্তিতেই লোক পাঠায়; কিন্তু বিদেশ থেকে চাহিদাপত্র আনতে গিয়ে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শুধু অন্য দেশের সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করে না, নিজেদের মধ্যেও কম বেতনে লোক পাঠানোর প্রতিযোগিতা করে। এ সুযোগ গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। যেসব এজেন্সি কম বেতনে শ্রমিক সরবরাহ করতে পারে, তাদের সঙ্গেই প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তি করে। এর ফলে একদিকে যেমন দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বাংলাদেশি শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারিভাবে একজন শ্রমিকের সৌদি আরবে ন্যূনতম বেতন ৪০০ রিয়াল নির্ধারিত। নিয়ম অনুযায়ী, এর চেয়ে কম বেতনে সরকার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে শ্রমিক পাঠানোর অনুমতি দেবে না; কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এ নিয়মও অনুসরণ করা হচ্ছে না। মন্ত্রণালয়কে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে যথাযথভাবে শর্ত পূরণ না করেও এজেন্সিগুলো শ্রমিক পাঠানোর অনুমতি আদায় করে নিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বেতন নিয়ে এজেন্সিগুলো নানা জালিয়াতিরও আশ্রয় নিচ্ছে। সরকারের অনুমতি নেওয়ার কাগজপত্রে ৪০০ রিয়াল ন্যূনতম বেতন লেখা থাকলেও, বিদেশে যাওয়ার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা দেখেন, তাদের বেতন ২০০ বা ২৫০ রিয়াল। এসব ব্যাপারে দূতাবাসগুলোতে অভিযোগ করেও শ্রমিকরা কোনো সুবিচার পান না। অন্যদিকে বিদেশে গিয়ে সব শ্রমিকই যে সারা মাস কাজ পাবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। একটি কোম্পানিতে যে পরিমাণ জনবল দরকার, অনেক ক্ষেত্রে নানা কারসাজির মাধ্যমে তার চেয়ে বেশি শ্রমিককে সেখানে পাঠানো হয়। এর মধ্যেও অনেকেই শিকার হন নানা প্রতারণার। সামান্য মজুরির একাংশ দালালদের হাতে তুলে দিয়ে কিংবা দিনের পর দিন কাজ না পেয়ে বেশিরভাগ শ্রমিককেই বিদেশের মাটিতে এক রকম মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ওইসব দেশের সরকারের কাছ থেকে ভিসা আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কোনো চাকরির ব্যবস্থা না থাকলেও, অসাধু কর্মকর্তারা কমিশনের বিনিময়ে ভিসা সংগ্রহ করে দেয়। বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে এসব ভিসা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে লোক পাঠানো হয়। উচ্চ বেতনে ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসব শ্রমিককে বিদেশে পাঠানো হয়; কিন্তু ভিনদেশে গিয়ে তাদের পড়তে হয় মহাবিপদে। ভালো চাকরির লোভে বিদেশ গিয়ে তারা দেখেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য কোনো কাজই নেই। সর্বস্ব হারানো এসব শ্রমিক বিদেশে টিকে থাকার আশায় নতুন কোনো দালালের শরণাপন্ন হন। অনেক ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্টরাই তাদের নতুন দালালের হাতে সমর্পণ করে ফিরে আসে। বেশিরভাগ দেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যে মজুরি পান, তা এক কথায় অতি সামান্য। ফলে বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে আনতেই একজন শ্রমিককে দু-তিন বছর কাজ করতে হয়। আর অধিকাংশ শ্রমিকেরই ভিসার মেয়াদ থাকে দু-তিন বছর। আর এ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নবায়নের ব্যবস্থা না থাকলে বাধ্য হয়েই অন্যত্র পালাতে হয় তাদের। ফলে বৈধভাবে বিদেশে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ‘অবৈধ’ হয়ে পড়েন তারা। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবৈধ হয়ে যাওয়া এসব শ্রমিকের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থান করে কাজ পেতে গিয়ে শরণাপন্ন হতে হয় নতুন কোনো ‘এজেন্ট’ বা ‘দালালের’। সাপ্তাহিক বা মাসিক বেতনের একটি অংশ তাদের হাতে তুলে দিয়ে কেউ কেউ নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে একশ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশিই এই দালাল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিদেশি মালিক ও কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এরাও বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানি ও শোষণ করে থাকে। বিভিন্ন দেশে কর্মে নিয়োজিত বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈধভাবে যারা চাকরির জন্য ভিসা নিয়ে এসেছেন অধিকাংশ দেশেই তাদের ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা নেই। পরিশ্রম করে বিনিময়ে সন্তোষজনক মজুরি পান তারা। তবে যেসব বাংলাদেশি অবৈধভাবে বিদেশে গেছেন কিংবা অবৈধভাবে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ বা অন্য কোনো কারণে অবৈধ হয়ে পড়েছেন, তাদের সমস্যার শেষ নেই। চাকরিচ্যুতি, গ্রেপ্তার আতঙ্ক, কাক্সিক্ষত কাজ না পাওয়ায় অনেকের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়েন অভিবাসীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসীদের নানামুখী সংকট সমাধানে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ, তাদের ন্যূনতম মজুরি ও অধিকার-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিতে হবে। লেবার উইংয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে। দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলরের কাছে প্রবাসীরা যাতে তাদের অবস্থার কথা তুলে ধরতে পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন দেশে ‘অবৈধ’ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধতা দিতে পরিকল্পিত ও কার্যকর কূটনৈতিক এবং মানবিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..