শিক্ষক আন্দোলনে আংশিক দাবি পূরণ যেতে হবে আরো দূর
আকমল হোসেন
সম্প্রতি তিন দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে এই আন্দোলনে শিক্ষকদের মূল দাবি ছিল–বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা। দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন এবং সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি দেন। আসে জাতীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনের ডাক। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া দুই ধাপে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলনের ১০ দিনের মাথায় গত ২১ অক্টোবর কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা করেন শিক্ষকরা। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, বাড়ি ভাড়া ভাতা আগামী নভেম্বর থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং আগামী বছরের জুলাই থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে অপর দুটি দাবিসহ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের বাস্তবায়নে ইতিবাচক কোনো খবর নেই। যদিও থোক বরাদ্দের স্থলে শতকরায় বাড়িভাড়া-এটিই আপাতত বড় অর্জন।
গত ১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ চলাকালীন জনগণের চলাচল এবং জানমালের নিরাপত্তার অজুহাতে শিক্ষকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রঙিন এবং গরম পানির স্প্রে করার ঘটনাকে শিক্ষকরাই শুধু নন, সচেতন মানুষও নিন্দা করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণাসহ হামলাকারী পুলিশের বিচার দাবি করেছেন। দাবির প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেলেও সরকার দাবি বাস্তবায়নে ততোটা আন্তরিক নয় বলে মনে হয়েছে। তবে দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে তার বাইরে যেতে পারছে না চব্বিশের জুলাই আন্দোলন-উত্তর গঠিত অরাজনৈতিক বর্তমান সরকারও। সংস্কারের কথা বললেও শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ‘মব’ সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের শারীরিকভাবে হেনস্থা জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার কোনো বিচার হয়নি। এমপিওভুক্ত ৬ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মূল বেতনের ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ করেছে উৎসব বোনাস, গভর্নিং বডিকে দলীয়করণ থেকে মুক্ত করা প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের দলীয়ভাবে ও বৈষয়িক সুবিধা মুক্তভাবে নিয়োগের নীতিমালা জারির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো তার কার্যক্রম শুরু হয়নি, সরকারের এ কাজগুলো সাধারণ শিক্ষক ও সচেতন মানুষের কাছে পজেটিভ মনে হলেও দলনির্ভর শিক্ষক সংগঠন ও কিছু রাজনৈতিক দলের কাছে খুশির বিষয় বলে মনে হয়নি। যার আলামত দেখা গেছে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনের একজন নেতার বক্তব্য থেকে, তার বক্তব্য- সৈ¦রাচার আওয়ামী লীগের লোকজন এটা করছে। আন্দোলনকারীরা তার এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাংলাদেশে ৫৩ বছরে সরকারগুলো তাদের অনুগত শিক্ষক সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষকদের বিভ্রান্ত করেছেন এটা তারই অংশ বলে অনেকেই মনে করছেন। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে অনেক আগে থেকেই থানা, জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এবং সরকারকে চূড়ার্ন্ত আন্দোলনের কর্মসূচি জানিয়েছিলেন শিক্ষকরা। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় সর্বশেষ ভরসা হিসেবে তারা ঢাকায় এসেছিলেন, কর্তাব্যক্তিদের নজরে আনার জন্য মিডিয়ার বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। কারণ মফস্বলের মানুষেরাও যে মানুষ, তাদের অভাব, সমস্যা আছে বা থাকতে পারে সেটা এসি রুমের নীতি নির্ধারকদের কানে পৌঁছানো নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। আমলাদের বয়ান- শিক্ষার সংকট দূরীকরণে জাতীয়করণ অন্যতম প্রধান শর্ত, তবে সেটি করা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় এবং সেটি করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দল এবং সরকারের। এটি করতে জাতীয় বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করার প্রয়োজন। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি, নির্বাচনী ইস্তেহার এবং এবং সরকারের নীতিগত প্রতিশ্রুতির বিষয়টি পরিষ্কার থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক অনেকগুলো সমঝোতা স্মারকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার স্বাক্ষর করলেও সে অনুযায়ী তাদের দলীয় কর্মসূচি এবং নির্বাচনী ইস্তেহারে শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেনি। বরং বামপন্থিরা ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল সেবাখাত উদারীকরণের নামে শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ করার পক্ষে। এমনতর বাস্তবতায় সকল শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল রাজনৈতিক দলের নিকট থেকে শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি নিতে পারলে কিছু একটা হতে পারে। শিক্ষক সংগঠনগুলোকে স্বাধীন অবস্থান থেকে কর্মসূচি গ্রহণ এবং সেই আলোকে শিক্ষকদের সংগঠিত করে আন্দোলন করতে হবে। পেশাজীবী সংগঠনের বৈশিষ্ট্যকে ত্যাগ করে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কাজ করে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়। ৫৩ বছর তার প্রমাণ। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের এই দাবীটি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রথম করলেও আজ সেটি সকল শিক্ষক সংগঠনের কমন দাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকার নির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই বিক্ষিপ্তভাবে জাতীয়করণের তকমা দিয়ে যেটি করছে সেটি স্রফে সরকারিকরণ, যা শিক্ষকদের একাডেমিক ফ্রিডম হরণ করে সরকারি কর্মচারী হিসেবে তল্পিবাহকে পরিণত করবে। যার মাধ্যমে শিক্ষার মূল কাজই ব্যাহত হচ্ছে বা হবে। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের কিছুটা আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত হলেও মর্যাদাগত দিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বিশ্বায়নের আলোকে সকল স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীরা পিছিয়ে আছে। এর আগে জাতীয়করণমুখী আন্দোলনকারীদের সাথে মাউশির ডিজি, পরে শিক্ষামন্ত্রী অনেকগুলো শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে বৈঠক করেছিলেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। শিক্ষা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার হিসেবে পৃথিবীর দেশে দেশে গৃহীত হলেও বাংলাদেশে সেই স¦ীকৃতি পায়নি, সংবিধানের ১৫ ধারায় রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ২৬ ধারায় নাগরিকের জন্য শিক্ষালাভের অধিকার ঘোষণা করা হয়েছে। অন্ততপক্ষে প্রাথমিক ও মৌলিক পর্যায়ে শিক্ষা (১৮ বছর বয়স পর্যন্ত) অবৈতনিক হবে। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে, ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন সম্মেলনে সেটারই প্রতিধ্বনি হয়েছিলো। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সাধারণভাবে সহজলভ্য থাকবে, এবং উচ্চতর শিক্ষা মেধার ভিত্তিতে সকলের জন্য সমভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণের পর জাতিসংঘ সকল সদস্য রাষ্ট্রকে ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানায়। সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে সবারই এগুলো বাস্তবায়নের কথা, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানে সেটা কার্যকর হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে তা কার্যকর হয়নি।
১৯৭২ সালের আলোকে সংবিধানের ১৭ এর খ ধারার আলোকে একই ধারার সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় বাজেটে জিজিপির প্রাথমিকভাবে ৫% (ক্ষুদা কমিশন ১৯৭৪ সাল) এবং পর্যায়ক্রমে ইউনেস্কোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৭% করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে ১৯৭২ সালে একবারে ৩৫১৭০টি এবং বিগত সরকারের আমলে ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুলকে সরকারিকরণ করা হয়েছিলো। ১৯৭২ সালে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাহেবের সময় শিক্ষায় জিডিপির ২.২% বরাদ্দ করা হয়েছিলো। মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯০ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত। শিক্ষায় অর্থায়ন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাড়েনি, শিক্ষা প্রশাসনে দলীয়করণের ভুত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে দলীয়করণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি বাদে সবগুলোতে দলীয়করণের ভুত চেপে বসেছে, ফলে দলীয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলায় তুলনামূলক কম যোগ্যতার লোক অগ্রাধিকার পাচ্ছে, ফলে শিক্ষার গুণগত মানের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের টাকার কমিশন বণ্টনে সমঝোতা করতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালীদের। সৃজনশীল আর এমসিকিউ পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে এ+ আর গোল্ডেনের সংখ্যা বাড়লেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা প্রদর্শন করতে পারছে না। তবে পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমছে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য শিক্ষায় অর্থায়ন বৃদ্ধি করা জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে দিন দিন সেটা কমছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে যেখানে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বরাদ্দ ছিলো ১.৮০ শতাংশ, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে ১.৭৬ শতাংশ হয়েছে, চলতি অর্থবছরে সেটি নেমেছে ১.৬৭ শতাংশে।
২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব ১২ বছরের শিক্ষা রাষ্টীয় খরচে করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে কোয়ালিটি ইকুইটি ও ইনক্লুসিভ এডুকেশন বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক জিডিপির ৪.৪% বরাদ্দ প্রয়োজন বললেও বাজেট কমে ১.৬৭% হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বা টাকার অবমূল্যায়ন, শিক্ষার্থীর ও শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন করে প্রতিষ্ঠানকে এমপিওকরণ, নতুন প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ, অবকাঠামোর উন্নয়ন, সব মিলিয়ে শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি হওয়ার কথা, কিন্তু কমেছে। যে টাকাই বরাদ্দ হয় তারও একটা অংশ অব্যবহৃত থেকে যায়, আরেকটি অংশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্যাডেট শিক্ষায় চলে যায়, প্রকল্পের নামে আরেকটি অংশ তছরুপ হয়, সব মিলিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থও ব্যয় হয় না। একাডেমিক বিষয়টি রাজনীতি আর ভোট ব্যাংকের সাথে মিলাতে গেলে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেই কারণেই খাদ্য, শিক্ষা আর স্বাস্থ্য বিষয়ে দলমত নির্বিশেষে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। শিক্ষা প্রশাসনে একই কায়দায় পদায়ন করলে ‘জি-হুজুর’ বলা অতি আনুগত্যশীল মানুষ পাওয়া যাবে, তবে জাতি বঞ্চিত হবে। গুণগত শিক্ষার জন্য গুণগত মানের শিক্ষক নিয়োগে বিকল্প নিয়োগ সংস্থা করায় অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। তবে প্রতিষ্ঠানসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আদলে একটি নিয়োগ কমিশন করলে গুণগত মানের শিক্ষক পাওয়া সম্ভব। সেইসাথে গভর্নিং বডির অযাচিত খবরদারি কমবে এবং শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোরপূর্বক ছাত্র কর্তৃক শিক্ষক পদত্যাগের ঘটনা কলঙ্ক থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবে। এইসব বিষয় বিবেচনা করে শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবিটি বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।
লেখক : কলেজ অধ্যক্ষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
Login to comment..








প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন