ট্রাম্পের হামলা মোকাবিলায় ৫০ হাজারের বাহিনী কিউবার

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা বিদেশ ডেস্ক : মাদক পাচার রোধের নামে লাতিন আমেরিকার সার্বভৌম দেশগুলিতে আগ্রাসনই লক্ষ্য আমেরিকার। সে কারণেই ভেনেজুয়েলা এবং কলম্বিয়ার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিদের নাম ধরে মিথ্যা ছড়াচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মর্মে সরব হয়ে কলম্বিয়ার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছেন সমাজতান্ত্রিক কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল ডিয়াজ কানেল। লাতিন আমেরিকার দেশগুলির জোট ‘আলবা’ বিবৃতি দিয়ে ওয়াশিংটনের সাম্রাজ্যবাদী নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকেলাস মাদুরোর পর কলম্বিয়া লক্ষ্য আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। ঠিক মাদুরোর মতো কলম্বিয়ার বামপন্থী রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রোকে ‘মাদক চক্রের মদতদাতা’ বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যারিবিয়ান সাগরে এর মধ্যে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে আমেরিকা। ভেনেজুয়েলার একাধিক সাধারণ নৌযানে গোলাও ছোঁড়া হয়েছে। নৌসেনাকে দিয়ে ধীরে ধীরে সামরিক অবরোধের লক্ষণ স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ‘বলিভ্যারিয়ান অ্যালায়েন্স ফর দ্যা পিপল অব আওয়ার আমেরিকা’ বা ‘আলবা’ গোষ্ঠীর সদস্য কিউবা, ভেনেজুয়েলা, অ্যান্টিগুয়া, ডমিনিকা, গ্রেনেডার মতো লাতিন আমেরিকান এবং ক্যারিবিয়ানের বিভিন্ন দেশ। গুস্তাভো পেট্রো সরাসরি আমেরিকার নীতির সমালোচনা করেছিলেন। মাদক পাচারের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ক্যারিবয়ানে যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর নীতির কড়া প্রতিবাদ জানান তিনি। এরপরই ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধেই মাদক পাচারের অভিযোগ তোলেন। এর আগে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। আমেরিকার ভেতরেই বিভিন্ন অংশ বলছে যে ট্রাম্পের আসল লক্ষ্য জোর করে শাসন বদলানো। ইরাকে বা আফগানিস্তানে এমনই মিথ্যা ছড়িয়ে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন সেনা। এদিকে কিউবা পুরোদমে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে। রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল ডিয়াজ জানিয়েছেন যে কিউবার ৫০ হাজার নাগরিককে ভেনেজুয়েলার পাশে থাকার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। কলম্বিয়ার মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে সই করেছেন কিউবার ৪৩ লক্ষ নাগরিক।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..