পর্তুগালে নিকাব নিষিদ্ধের বিল পাস, বামপন্থিদের আপত্তি

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

একতা বিদেশ ডেস্ক : পর্তুগালে অধিকাংশ উন্মুক্ত স্থান বা জনসমক্ষে ‘লিঙ্গভিত্তিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে’ নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে। অতি দক্ষিণপন্থী চেগা পার্টি এ বিল উত্থাপন করেছিল। মূলত মুসলিম নারীদের বোরকা ও নিকাবের ব্যবহার লক্ষ্য করে বিলটি পার্লামেন্টে তোলা হয়েছিল। সম্প্রতি পাস হওয়া বিলটিতে জনসমক্ষে নিকাব পরার জন্য ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কাউকে তা পরতে বাধ্য করলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে উড়োজাহাজ, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ ও উপাসনালয়ে নিকাব পরা যাবে। পর্তুগালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সাংবিধানিক বিষয়–সম্পর্কিত আইন পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিটিতে এখন বিলটি নিয়ে আলোচনা হবে। পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে ভোটো দিতে পারেন কিংবা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন। তবে বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও ইউরোপের সেসব দেশের তালিকায় নাম লেখাবে, যারা জনসমক্ষে নিকাব পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে উন্মুক্ত স্থানে নিকাব পরা আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও ইউরোপের সেসব দেশের তালিকায় নাম লেখাবে, যারা জনসমক্ষে নিকাব পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে উন্মুক্ত স্থানে নিকাব পরা আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পার্লামেন্টের অধিবেশনে চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা যখন এ বিল উত্থাপন করেন, তখন বামপন্থী দলগুলোর কয়েকজন নারী আইনপ্রণেতা এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মধ্যদক্ষিণপন্থী জোটের সমর্থনে বিলটি পাস হয়। ‘আজ আমরা পার্লামেন্টের নারী সদস্যদের, আপনাদের মেয়েদের, আমাদের মেয়েদের এই দেশে একদিন বোরকা পরার হাত থেকে রক্ষা করছি’, বলেন আন্দ্রে ভেনচুরা। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের জন্য এবং আমাদের মূল্যবোধ, পরিচয় ও নারীর অধিকার রক্ষার জন্য আজ ঐতিহাসিক একটি দিন।’ ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা আন্দ্রেয়া নেটো পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে বলেন, এটা নারী ও পুরুষের সমতা নিয়ে বিতর্ক। কোনো নারীকে তাঁর মুখ ঢেকে রাখতে বাধ্য করা উচিত নয়। পার্লামেন্টে ১০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২টি ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এরা হলো পিপল-অ্যানিমেলস-নেচার পার্টি ও টুগেদার ফর দ্য পিপল পার্টি। দলগুলোর মতে, এ প্রস্তাব বৈষম্য উসকে দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পার্লামেন্টে ১০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২টি ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এরা হলো পিপল-অ্যানিমেলস-নেচার পার্টি ও টুগেদার ফর দ্য পিপল পার্টি। দলগুলোর মতে, এ প্রস্তাব বৈষম্য উসকে দিয়েছে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..