অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করুন
Posted: 30 নভেম্বর, 2025
একতা প্রতিবেদক :
কড়াইল বস্তিতে প্রায় দেড় হাজার পরিবার গতকাল থেকে খোলা আকাশের নীচে এবং রাস্তায় অবস্থান করছে। সরকারকে খুবই দ্রুততার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান, পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাতে হবে। কেন বারে বারে বস্তিগুলোতে আগুন লাগে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে। এখানে বস্তি উচ্ছেদের কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত ২৬ নভেম্বর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মহাখালীর কড়াইল বস্তি পরিদর্শনকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
নেতৃবৃন্দ আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তিবাসীদের সাথে কথা বলেন, তাদের দুর্দশায় সমবেদনা জানান। পরিদর্শনকালে পুড়ে যাওয়া মায়ের দোয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিষয় জানেন।
পরিদর্শন শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, কড়াইল বস্তিতে প্রায় দেড় হাজার পরিবার খোলা আকাশের নীচে এবং রাস্তায় অবস্থান খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের ঘরে যা ছিল সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গরীব শ্রমজীবী মানুষ, গৃহশ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নিন্ম আয়ের মানুষেরা এ বস্তিতে বসবাস করে। তাদের বাঁচার বিকল্প কোন পথ নাই। খোলা আকাশের নীচে অবস্থানকারী দেড় হাজার পরিবারকে খাবারের ব্যবস্থা করে বাঁচাতে হবে এবং ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য নগদ টাকা প্রদান করতে হবে।