বিএনপি ও যুবদলের সন্ত্রাসী হামলায় পল্লবীতে রিকশা শ্রমিকদের সমাবেশ পণ্ড
Posted: 27 অক্টোবর, 2024
একতা প্রতিবেদক :
রাজধানী পল্লবীর বাউনিয়াবাঁধ বাজার ঈদগাহ মাঠে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের ৫ দফা দাবিতে গত ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টায় শ্রমিক সমাবেশ ও উপ-পুলিশ কমিশনার মিরপুর জোন (ট্রাফিক) বরাবর স্মারকলিপি কর্মসূচিতে বিএনপি ও যুবদল সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে সমাবেশ প- করে দেয়।
সংগঠনের পল্লবী থানার সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিমের বক্তব্যের সময় পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাতালেবের নেতৃত্বে ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী বাদশা, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলিম রিয়াজ, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত, ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিলসহ ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী হামলা করে। হামলায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম, কেন্দ্রীয় সংগঠক মিথুন শর্মা, পল্লবী থানার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেলসহ ১০ জন আহত হন।
পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রাগীব আহসান মুন্না, সাবেক ছাত্রনেতা জহর লাল রায়, সংগঠনের পল্লবী থানার সহ-সভাপতি আব্দুল করিম, মোহাম্মদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলম চান, দপ্তর সম্পাদক ইমরান হাসান শিপলু প্রমুখ।
হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ খাঁ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় শ্রমজীবীসহ দেশের মানুষ তার অধিকারের কথা বলতে পারেনি। অধিকারের কথা বললেই নেমে এসেছে সন্ত্রাসী হামলা-মামলা-দমন-নিপীড়ন। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন পরও আজকের হামলা প্রমাণ করে দেশে শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর একই নিপীড়নের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হবে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুনরায় ফ্যাসিবাদী ধারায় পরিচালিত হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এখনই এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে শ্রমজীবী মানুষের জীবিকার সুরক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং ভিন্নমত দমনের প্রবণতা রোধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।