‘লক্ষণ’
Posted: 22 জানুয়ারী, 2023
একতা প্রতিবেদক :
শিক্ষকরা নীরিহ মানুষ, তাদের মারলে কারও কোনো ক্ষতি হয় না। বরং পরিত্রকায় নাম উঠে, এতে নিজেরও ওজন বাড়ে, দলেরও সুনাম হয়। ফলে শিক্ষক পেটানোর একটা সংস্কৃতি এই সময়ে বেশ ভালভাবেই চালু হয়েছে। কিছুদিন আগে রাজশাহীর এক অধ্যক্ষকে পিটিয়েছেন সেখানকার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। এরপর বেশ কিছুদিন উনার নামধাম পত্রিকায় এসেছে। কিন্তু শিক্ষক পেটানোর দায়ে উনার কিছু হয়নি।
নেতাদের দেখানো পথে কর্মীরা চলবে এটাই তো স্বাভাবিক। নাহলে কর্মীরা হাত মশকো করবে কীভাবে, বড় নেতা হবে কীভাবে! শিক্ষককে পেটানো তো বড় নেতা হয়ে ওঠার লক্ষণ।
গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক শিক্ষককে তুলে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রোকনোজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে। উপজেলার সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটেছে। এই দৃশ্য ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে।
ভুক্তভোগী নুরুন্নবী উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর অভিযুক্ত রোকন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী জানান, বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রোকন তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রার অফিসে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা রোকন অবশ্য বলেছেন, ‘নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে দালাল বলায় তাকে চড় মেরেছি।’
রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রার বলেন, ‘রোকন ওই প্রধান শিক্ষককে আমার অফিস কক্ষে নিয়ে এসে মারধর করেন। এটা মোটেও ঠিক করেননি তিনি।’