গর্ভপাতবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে মামলা

Posted: 12 সেপ্টেম্বর, 2021

একতা বিদেশ ডেস্ক : টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে মামলা করল দেশের আইনবিভাগ। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। মেয়েদের নিজের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে। অ্যামেরিকার আইন এবং সংবিধান সেই অধিকার দেয়। টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইনের সমালোচনা করতে গিয়ে এই ভাষায় কথা বলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ওই আইন যাতে বাস্তবায়িত না হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। দেশের আইনবিভাগ বা জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট টেক্সাসের ওই আইনটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। স্বয়ং দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মামলাটি লড়ছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গার্লল্যান্ড জানিয়েছেন, টেক্সাসের আইনটি সংবিধানসম্মত নয়। কোনো রাজ্য সংবিধানের মূল ভাবনা থেকে সরে গিয়ে আইন জারি করতে পারে না। মার্কিন সংবিধান দেশের মানুষের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কিন্তু টেক্সাসের আইন নারীর অধিকারকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। সে কারণেই ওই আইনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। টেক্সাস সম্প্রতি গর্ভপাতবিরোধী আইন জারি করেছে। আইনে কার্যত নারীদের গর্ভপাতের বিষয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইনের ব্যাখ্যায় আদালত জানিয়েছে, সম্প্রতি চিকিৎসকদের একটি দল এক পরীক্ষা চালায়। তাতে দেখা যায়, ছয় সপ্তাহের মাথাতেই ভ্রূণের হার্ট সচল হয়ে যায়। যারা গর্ভপাত করাতে চান, ছয় সপ্তাহের মধ্যে তারা অধিকাংশ সময় বুঝতেও পারেন না যে তারা গর্ভবতী। সে কারণেই গর্ভপাত কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, এই আইন সংবিধানবিরোধী। নারীর অধিকার খর্ব করছে এই আইন। দেশের একেকটি রাজ্য একেকরকম ভাবে এধরনের আইন তৈরি করতে পারে না। সে কারণেই মামলা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আইনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, আইনটি অমার্কিনি। এর আগে বেশ কিছু এনজিও ওই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। তবে ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের মামলা সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে দেখে, সেটাই এখন দেখার। এদিকে আগামী ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ফ্রান্সে ২৫ বছর বয়স থেকে সব নারী জন্মনিয়ন্ত্রণের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন বিনামূল্যে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, জন্মনিরোধক যন্ত্রসহ (আইইউডি) ও অন্যান্য সুবিধা থাকছে এই বিলে। এ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা স্বল্প পরিসরে জন্মনিয়ন্ত্রণ খরচ বহন করে। বর্তমানে ফ্রান্সে ১৮ বছর বয়সী নারী এবং এর চেয়ে কম বয়সীরা বিনামূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। দেশটিতে এক হাজার জনে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে গর্ভপাতের সংখ্যা ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৬ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ফ্রান্সে ২৫ বছরের পর বাবা-মার সঙ্গে হেলথ ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পান না তরুণরা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সেটি বাতিল করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক তরুণীর মধ্যে গর্ভনিরোধের ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে এবং এর প্রধান কারণ হলো অর্থ। এতে অনেক বেশি খরচ হয়। এটা অগ্রহণযোগ্য যে নারীরা নিজেদের রক্ষা করতে পারে না, গর্ভনিরোধ করতে পারে না যদি তাদের পছন্দ হয়, শুধু খরচ বহন করতে না পারার কারণে। যদিও পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।