মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

দুর্ঘটনা পরবর্তী চিকিৎসা সংকট

ডা. শাকিল আখতার

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে গত সোমবার (২১ জুলাই ২০২৫) দুপুর ১ টার পর পর যে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে তাতে তাৎক্ষণিকভাবে মারা যায় ২৭ জন। যার মধ্যে ২৫ জন স্কুলের ছাত্রছাত্রী। প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট মারাত্মকভাবে আহত হয়ে অল্প কিছুক্ষণ পরেই মারা যান। আহত হয়েছে ১৭০ জনের বেশি। যাদের বেশিরভাগ শিশু বা কিশোর স্কুল পড়ুয়া। স্থানীয় জনগণ ও উদ্ধারকর্মীদের সহায়তায় প্রথমেই কয়েকটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে। পরে ঢাকার কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ মারাত্মক দগ্ধ রোগীকে বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মোট ৫১ জন ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে আটজন মৃত্যুবরণ করেছেন। (এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত তথ্য) জীবন সংকটে অনেকে আইসিইউতে আছে। বিশেষভাবে কার্যকর অ্যালোগ্রাফট স্কিন (অন্য মানুষের চামড়া মরোণত্তর দেহদানকারী ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত) বা জেনোগ্রাফট স্কিন (পশুর চামড়া থেকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাতকরণ) বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্কিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে মরণোত্তর দেহ দানের সংস্কৃতি তৈরি না হওয়ায় এই স্কিন ব্যাংক এখনই কাজে আসছে না। পুড়ে যাওয়া রোগীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ফিজিওথেরাপি বা পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রয়োজন। আশা করব আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যথাযথ অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। সর্বশেষে উল্লেখ করা প্রয়োজন- দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থা সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ নগর পরিকল্পনা বিমান-নৌ-সড়ক ও রেল পরিবহনে নিরাপত্তা কর্মসূচি নিশ্চিত করতে হবে। গণ দুর্ঘটনা বা ম্যাস ক্যাজুয়ালিটি সমানভাবে শহর ভিত্তিক ও প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কর্মসূচি চালু করা ফলপ্রসূ হবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..