আমৃত্যু মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম করে গেছেন ডা. শিশির
সিপিবিসহ গণসংগঠনসমূহের শ্রদ্ধা নিবেদন
একতা প্রতিবেদক :
আমৃত্যু মেহনতি মানুষের মুক্তির আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন কমরেড শিশির। তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৬২ সালে তিনি পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজীবন তিনি চিকিৎসা আন্দোলন এবং মানবমুক্তির আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমেরও শিকার হয়েছেন।
গত ২৩ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় সিপিবি কার্যালয়ে ডা. শিশির কুমার মজুমদারের মরদেহ আনা হয়। সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তার মরদেহ পার্টির লাল পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন এবং এরপর মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
সিপিবির কন্ট্রোল কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিস্ট নেতা, চিকিৎসক আন্দোলনের সংগঠক, সদা হাস্যোজ্জ্বল ডা. শিশির কুমার মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সিপিবিসহ বিভিন্ন গণসংগঠন।
তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান, বাসদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সিপিবির থানা-শাখা এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সিপিবি নেতারা বলেন, কমরেড ডা. শিশির মজুমদার মৃত্যুতে দেশ একজন নিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমিককে হারালো। তার স্মৃতি সচেতন মানুষের মধ্যে অমর হয়ে থাকবে। তিনি আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িকতা মুক্তিযুদ্ধ ও শোষণমুক্ত সমাজের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। সারাদশের পার্টির সদস্য শুভাকাক্সক্ষীবৃন্দ তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ডা. আবু সাঈদ ও প্রয়াত ডা. শিশির মজুমদারের ভাই সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিহির কান্তি মজুমদার।
এরপর কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশল গাওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে তার মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর ৫ মাস।
উল্লেখ্য, কমরেড ডা. শিশির কুমার মজুমদার ২৩ জুন ২০২৫ সকাল ৬ টা ২২ মি: এ ঢাকার হেল্থ এন্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Login to comment..