
পৃথিবীতে এখন যে পরিমাণ প্লাস্টিক উৎপাদন করা হচ্ছে এবং তা থেকে যে পরিমাণ দূষণ ঘটছে–তা বন্ধ করতে না পারলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে পৃথিবীতে মহা-বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। স্টকহোম রেজিল্যান্স সেন্টার-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া (৮ নভেম্বর ২০২৪) তথ্যানুসারে পৃথিবীতে বছরে ৫০ কোটি মেট্রিক টনস প্লাস্টিক উৎপন্ন হচ্ছে। আর ‘নেচার’ (৬৩৩: ২০২৪)-এ প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুযায়ী পৃথিবীতে বছরে ৫.২১ কোটি মেট্রিক টনস প্লাস্টিক–বর্জ্য হিসেবে জমা হচ্ছে।
এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের (৫ জুন ২০২৫) প্রতিপাদ্য করা হয়েছিল, ‘এন্ডিং প্লাস্টিক পলিউশন’। এর বাংলা ভাবার্থ করলে দাঁড়ায়, ‘প্লাস্টিক দূষণের অবসান’। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০২৫ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে এটি ঠিক হয় এবং বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি উদযাপনের জন্য স্বাগতিক দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াকে নির্বাচিত করা হয়।
এবারের এই প্রতিপাদ্যসহ বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে তাৎপর্যপূর্ণ বলতে হবে এই কারণে যে, এই দিবসের দুমাস পরে (৫–১৪ আগস্ট ২০২৫) প্লাস্টিক দূষণ অবসানকল্পে ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি’ চূড়ান্তভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও নানা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ জেনেভায় একত্রিত হবেন। কাজেই, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্যের সূত্র ধরে ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি’ সম্পাদনে গতি সৃষ্টির জন্য দিবসটি একটি কৌশলগত উপস্থাপন মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে। এ ধরনের একটি বৈশ্বিক চুক্তি সম্পাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক চাপ তৈরি, কর্পোরেট সম্পৃক্ততা ইত্যাদি যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়–তার আলোকে বলা যায় যে, এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবস–আসন্ন ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি’ সম্পাদনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। উল্লেখ্য যে, চুক্তির খসড়াটি এখন ‘চেয়ার’স টেক্সট’ (আন্তর্জাতিক বৈঠকে আলোচনার সুবিধার্থে চেয়ারম্যান কর্তৃক উপস্থাপিত খসড়া) হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০২২ সালে জাতিসংঘের ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান/পরিবেশ মন্ত্রী ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেম্বলিতে (ইউএনইএ-৫) মিলিত হয়ে প্লাস্টিক দূষণের অবসানকল্পে একটি ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি’ সম্পাদন করার জন ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল নেগোসিয়েটিং কমিটি’ (আইএনসি) গঠন করে। এই কমিটি ৫টি (২০২২–২০২৪) অধিবেশনের মাধ্যমে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করে। আগামী ৫-১৪ আগস্ট ২০২৫ আইএনসি-র ২য় পার্ট (আইএনসি–৫.২) জেনেভাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তিটি সেই সভায় পাস হবে। মূলত সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্লাস্টিক বর্জ্য এখন পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় (খাল-বিল, পুকুর, নদী-নালা, সমুদ্র, ভূমি, বন, পাহাড়, অ্যান্টার্কটিকাসহ বরফাচ্ছাদিত স্থান ইত্যাদি) জমা হচ্ছে। এমন কি ভূগর্ভস্থ পানিতেও মাইক্রোপ্লাস্টিকস পাওয়া যাচ্ছে। আসলে, প্লাস্টিক দূষণ একটি ক্রমবর্ধমান গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)’ আশংকা করছে যে, আগামী ২০৬০ সালের মধ্যে বছরে প্লাস্টিক-বর্জ্য উৎপাদন ১০০ কোটি মেট্রিক টনেরও বেশি হবে। এর ফলে সৃষ্ট প্লাস্টিক দূষণের সেই চরম অভিঘাত পৃথিবী কি সইতে পারবে?
প্লাস্টিকের তৈরি নানারকম দ্রব্য সূর্যালোক, তাপমাত্রা, মাটির সাথে ঘর্ষণ, পানির ঢেউ, স্রোত ইত্যাদি কারণে ছোট ছোট খণ্ড/কণায় পরিণত হয়। অবশ্য কিছু কিছু উৎস যেমন সিনথেটিক রং, প্রসাধনী, পরিষ্কারক দ্রব্য ইত্যাদি থেকে এসব ক্ষুদ্র খণ্ড/কণা সরাসরি পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায়। এই ক্ষুদ্র খণ্ড/কণার সর্বোচ্চ বিস্তার (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, ব্যাস)-এর ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এ ব্যাপারে অবশ্য বিজ্ঞানীদের মধ্যে মত-বিভেদ আছে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র একটি প্রকাশনায় (২০২৪) প্লাস্টিকের সর্বোচ্চ বিস্তার (দৈর্ঘ্য/প্রস্থ/ব্যাস)-এর ওপর ভিত্তি করে প্লাস্টিককে ন্যানোপ্লাস্টিক (১ মাইক্রোমিটার/০.০০১ মিমি থেকে ছোট), মাইক্রোপ্লাস্টিক (১ মাইক্রোমিটার থেকে ৫ মিমি), মেসোপ্লাস্টিক (৫ থেকে ১০ মিমি) এবং ম্যাক্রোপ্লাস্টিক (১ সেমি থেকে বেশি)–এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সব ধরনের প্লাস্টিক জীব তথা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক তবে, তুলনামূলকভাবে ন্যানোপ্লাস্টিক এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ, অণুজীব ও পরিবেশের বেশি ক্ষতি করে বলে জানা গেছে।
এ কথা এখন প্রমাণিত যে, মানুষের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সব ধরনের বাস্তুতন্ত্র (ভূমি, মিঠাপানি, বন, সমুদ্র ইত্যাদি) এবং জলবায়ুর জন্য প্লাস্টিক এখন মহা হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। প্লাস্টিকের উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে, ব্যবহার এবং এর বর্জ্যরে দ্বারা উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোর ওপর নেতিবাচক অভিঘাত সৃষ্টি হয়। ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি-র দেওয়া তথ্যানুযায়ী প্লাস্টিক প্রকৃতিতে অবমুক্ত হলে তা নষ্ট/পচা (ডিগ্রেডেশন)-র জন্য অবস্থাভেদে একশ থেকে এক হাজার বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। সাধারণত একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি প্লাস্টিক পণ্য (শপিং ব্যাগ, খাবার প্লেট, চামচ, সিগারেট ফিল্টার, নল, খাবারের মোড়ক ইত্যাদি) থেকেই সব থেকে বেশি সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
বিগত ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের (নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়) একজন গবেষক মানুষের মস্তিষ্ক থেকে ১০ গ্রাম ন্যানোপ্লাস্টিক পৃথক করেছেন। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মানুষের মস্তিষ্কে ক্রমাগতভাবে ন্যানোপ্লাস্টিক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন (নেচার মেডিসিন: ৩১: ২০২৫)। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে (২০২০–২০২৪) মানুষের কিডনি, লিভার, ফুসফুস, রক্ত, হৃৎপি-, প্লাসেন্টা, মাতৃদুগ্ধ এবং মস্তিষ্কে ন্যানোপ্লাস্টিক/মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়ার কথা প্রকাশিত হয়েছে (নেচার: ৬৩৮, ৬৩৯: ২০২৫)। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডেনমার্কের মতো একটি উন্নত দেশে ঘরের মধ্যেই দিনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক কনা মানুষের নাক-মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করছে। ন্যানোপ্লাস্টিক/মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের শরীরে জমা হওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনির অসুখ, আলজাইমার্স, প্রজনন ক্ষমতা হারানোসহ নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ (নেচার: ৬৩৮: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)।
পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, ন্যানোপ্লাস্টিক/মাইক্রোপ্লাস্টিক উদ্ভিদের শেকড় নষ্ট করছে কিংবা শেকড়ে জমা হয়ে উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কাজে বাধার সৃষ্টি করছে। গাছের কাণ্ড ও পাতাতেও ন্যানোপ্লাস্টিক যেয়ে জমা হচ্ছে এবং তার জন্য গাছের ক্ষতি হচ্ছে। স্প্রিংগার গ্রুপের একটি জার্নালে (এনভায়রনমেন্ট সায়েন্সে-স ইউরোপ: ৩৫, ১৩:২০২৩) প্রকাশিত একটি রিভিউ পেপারে বলা হয়েছে যে, মাটি বাস্তুতন্ত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উচ্চ ঘনত্ব–মাটিতে বসবাসকারী অণুজীবদের স্বাস্থ্য ও তাদের এনজাইমেটিক ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত করছে। মাটির গঠন এবং পানি ধারণ ক্ষমতাকে পরিবর্তন করে মাটির গুণমান এবং উর্বরতাকেও প্রভাবিত করছে। উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ফসলের গুণমানও নষ্ট হচ্ছে।
জলচর ও স্থলচর–প্রায় সব ধরণের প্রাণী প্লাস্টিক দূষণের শিকার হচ্ছে। কেম্ব্রিজ ভিত্তিক একটি সংস্থা (ফণা অ্যান্ড ফলোরা)-র হিসাব অনুযায়ী–প্লাস্টিক-এর কারণে বছরে এক লক্ষ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংস্থা, ‘ওশান ক্রুসেডর’-এর দেওয়া হিসাবে–বছরে প্রায় ১০ লক্ষ সামুদ্রিক পাখি প্লাষ্টিকের কারণে মৃত্যু হয়। সাধারণত সমুদ্রসহ অন্যান্য স্থানের অসংখ্য বড় প্রাণী প্লাস্টিক দ্রব্যসমূহ জড়িয়ে কিংবা সরাসরি খাওয়াজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে। প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত বিসফেনল এ, ফথ্যালেটস, ফ্লেম রিটার্ডেন্টস ইত্যাদির মতো বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থসমূহ মাটি ও পানিকে বিষাক্ত করে তোলে। এমন কি, মাইক্রোপ্লাস্টিকের মধ্যেও এই বিষাক্ত পদার্থসমূহের অস্তিত্ব মেলে। ফলে, প্লাস্টিক দ্বারা দূষিত মাটি ও পানিতে বসবাসকারী অণুজীব থেকে শুরু করে ছোট-বড় জীব নানা মাত্রায় বিষক্রিয়ার শিকার হয়। মৃত্যু হয় অসংখ্য প্রাণী তথা জীবের।
এক সময় ধারণা করা হয়েছিল যে, পচনশীল (বায়োডিগ্রেডেবল) প্লাস্টিক তৈরির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান মিলবে। অনেক কোম্পানি জোর প্রচারও চালিয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক-এরও নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা (একশ শতাংশ প্রাকৃতিকভাবে পচে না, মাইক্রোপ্লাসটিক তৈরি হয়, ব্যবহৃত রাসায়নিক ক্ষতিকর, উচ্চ উৎপাদন খরচ, ইত্যাদি) রয়েছে এবং সেই কারণে এগুলোও কার্যকর সমাধান নয়। ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি’-র ‘‘চেয়ার’স টেক্সট”-এ তো এক ধরনের বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিককে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আসলে, প্লাস্টিক দূষণ জনিত শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সব কুল বজায় রেখে কার্যকরভাবে ‘প্লাস্টিক দূষণের অবসান’ হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। কাজেই বৈশ্বিক এই চুক্তি পাস হওয়া একান্তভাবে জরুরি। খসড়া এই চুক্তিতে সর্বমোট ৩২টি অনুচ্ছেদ ও প্রতিটি অনুচ্ছেদে বেশ কয়েকটি করে ধারা/উপধারা রয়েছে। মোটা দাগে প্রস্তাবিত চুক্তিটি প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যতামূলক চুক্তি–যার লক্ষ্য প্লাস্টিকের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ, ডিজাইন ও ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা। তবে, অনেক দেশ তাদের উৎপাদন হ্রাস এবং আর্থিক প্রণোদনা বিষয়ে সহজে একমত হবেন বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথিলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন এবং বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই হিসেবে বাংলাদেশ হচ্ছে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া পৃথিবীর মধ্যে প্রথম দেশ–যদিও এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীতে কার্যকর রাখা সম্ভব হয় নি। বাংলাদেশের জলে স্থলে প্রায় সব জায়গাতেই এখন প্লাস্টিক দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে। গবেষণায় বাংলাদেশের জীবদেহেও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, উল্লিখিত ‘বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি’ অনুমোদিত হলে–তার আলোকে বাংলাদেশকে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে নতুনভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা ভয়াবহ প্লাস্টিক দূষণের অবসান চাইছি। আশা করছি, বহুল কাক্সিক্ষত বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি সম্পাদিত হলে সে অনুযায়ী প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে প্রতিটি দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করবে।