করোনা-ডেঙ্গু একই গতিতে আগাচ্ছে
একতা প্রতিবেদক :
সারা দেশে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৮ জনের। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৫ জনে।
গত ২৬ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৬৫ জন, যার মধ্যে পাঁচ হাজার ৩৪৭ জন পুরুষ ও তিন হাজার ৭১৮ জন নারী।
নিজেদের নিরাপদ রাখতে কেউ নজর দিচ্ছেন মশারির দিকে; কেউবা মশা নিধনে, আবার কেউ-বা মাস্ক ব্যবহারে।
এদিকে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খুব প্রয়োজন না হলে ভারতসহ আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ না করতে জনগণকে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সারা দেশের সব স্থল, নদী এবং বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নজরদারি ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব প্রবেশপথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানার বা ডিজিটাল হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার (নন-কন্টাক্ট পদ্ধতি) ব্যবহার করে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে, জনসাধারণকে সচেতন করতে এবং ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে সংক্রমণ প্রতিরোধ নির্দেশিকা প্রচার করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে- প্রয়োজনে দিনে অন্তত সাতবার, প্রতিবার কমপক্ষে ২৩ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহার, সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় কনুই, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক এবং মুখ ঢেকে রাখা।
স্বাস্থ্য বিভাগ- যথাসম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলা, মাস্ক ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু হাতেগোনা কিছু মানুষ ছাড়া কেউই মাস্ক পরিধানের মতো সাধারণ নির্দেশনাও মানছেন না। এ অবস্থায় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস সাধারণত শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত করে। মহামারির সময়ে কেএন-৯৫ মাস্ক, কাপড়ের মাস্ক বা ফেস শিল্ড ইত্যাদি ব্যবহার করে শ্বাসতন্ত্রে রোগগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধিতে করোনা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদেরা।
চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৪৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৮ জনের। করোনায় ২০২৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫১৮ জন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এ বছর ডেঙ্গু-কোভিড মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক ওষুধ না থাকায় সচেতনতাই এর প্রধান প্রতিরোধ। যথাসময়ে বিশ্রাম, তরল খাবার ও সুষম পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলা যায়। পাশাপাশি প্লাটিলেটের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানান পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা।
একদিকে ডেঙ্গু অন্যদিকে করোনা ভাইরাস দেশবাসীকে অস্থির করে তুলেছে। আবারও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড। সেই সঙ্গে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে শিক্ষার্থীদের সতর্কতা লক্ষ্য করা গেছে।
প্রথম পাতা
‘মুরাদনগরের ঘটনা প্রমাণ দিচ্ছে সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ’
‘২০ বছর লে মজুরির কথাই বলছি’
গণতন্ত্র কায়েমের লড়াইয়ে বাম গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অপরিহার্য
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট নানা কর্মসূচি পালন করবে সিপিবি
বাংলাদেশে বেড়েছে ধর্ষণ-গণপিটুনিতে হত্যা
ফদলস্ফজ
দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিসহ ১০ দফা দাবি চা-শ্রমিকদের
জুলাইয়ের ৩ দিনে হাজারের বেশি রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে
‘পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখুন’
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সম্বলিত দেয়াল ভেঙে ফেলায় বামপন্থিদের ক্ষোভ
বাংলাদেশ এখন কোথায়?
‘ভালোমানুষ’
শ্রমিক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিন
Login to comment..