নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
কল্লোল বনিক
ঈদুল আজহার ঠিক আগ মুহূর্তে সাধারণ মানুষজন যখন প্রধান উপদেষ্টার নিকট হতে শুভেচ্ছা বার্তা পাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিতভাবে মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা দিলেন। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে তিনি নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমদিকে। একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনের সময় ঘোষণা শোনার জন্য আপামর জনগণ ১০ মাস ধরে অপেক্ষা করছিলো। অধিকাংশের মধ্যে একটি ধারণা ছিল সহস্রাধিক মানুষের জীবনদানের বিনিময়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকারের প্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস সমাজের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে অগ্রাধিকার দিয়ে জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মপরিকল্পনা অগ্রসর করবেন। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের সামনে ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। ঈদের ঠিক আগের দিন মানুষ শুনলো আমাদের বন্দর বিদেশিদের ব্যবস্থাপনায় তুলে দেওয়া কেন জরুরি। এই বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূস শুধু জনমত গঠনেই নিজেকে নিয়োজিত করলেন না, উপরন্তু বন্দর হস্তান্তর প্রক্রিয়ার যারা প্রতিবাদ জানাবে তাদের তিনি প্রতিরোধের আহ্বান জানানোর মতো রুক্ষতা প্রদর্শন করলেন। এ যেন রীতিমতো নিজের এখতিয়ার এড়িয়ে ক্ষুদ্র ঋণ বিশেষজ্ঞ ব্যবসায়ীর বন্দর ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠা এবং বিদেশি কোম্পানির পক্ষে শুধু ওকালতিতে নিজেকে আটকে না রেখে বিদেশি কোম্পানির পক্ষ নিয়ে বিরোধিতাকারীদের প্রতিহত করার প্রস্তুতি। সার্বিক পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত এই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশার জন্ম দিচ্ছে।
ঈদের পূর্ব মুহূর্তে মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের তাৎপর্য উপলব্ধির আগে আমরা একবার ফিরে তাকাতে চাই সরকারের সংস্কার কর্মকাণ্ড ও বাজেট পরিকল্পনার দিকে। বিগত ১০ মাস ধরে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সংস্কারকেই তাদের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে জনগণের মধ্যে প্রচার করে আসছে। সংস্কার কমিশনের মূল মূল দায়িত্ব যাদের হাতে তুলে দেয়া হলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিদেশি নাগরিক, এনজিও কর্মকর্তা। সমালোচনা উঠলো যে সংস্কারের জন্য যে কমিটিগুলো গঠিত হলো সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে এবং সকল শ্রেণিপেশা, সকল জাতিগোষ্ঠী ও লিঙ্গের উপস্থিতি সেখানে নিশ্চিত করা হয়নি। সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধানকে সার্বিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ করার এবং উত্তরাধিকার সূত্রে নারী-পুরুষের সমান সম্পত্তি প্রাপ্তির বিধান প্রস্তাব করার সাহসিকতা দেখতে পারেননি, যা কি না গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম পূর্বশর্ত। সাধারণ জনগণের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই সরকার সংস্কারের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও শিল্পাঞ্চলে তাঁদের নিরাপত্তা বিষয়কে অগ্রাধিকার দেবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুরের প্রতিনিধি উপেক্ষা করে তাদের জীবনমান উত্তরণকে বিবেচনায় না নিয়ে যে লোকদেখানো সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া সরকার পরিচালনা করছে তা অন্যায্য, অগণতান্ত্রিক এবং এই প্রক্রিয়া অধিকাংশ জনগণের কোনো কাজে আসবে না। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ মেহনতি জনগণের প্রতিনিধি ব্যতীত এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ মানুষের মূল সঙ্কটকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিগত সরকারের পতন ঘটেছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া কার্যকর করা এবং এর সুরক্ষা প্রদানকারী শক্তি হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেহনতি জনগণ। মেহনতি জনগণ বর্তমানে এতটাই কঠিন সময় পার করছে যে দুই বেলা অন্ন জোগানোর জন্য তাকে প্রাণান্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। তাঁদের জীবনযাত্রার মানের উত্তরণ ঘটিয়ে তাদের অধিকার সচেতন করতে না পারলে সমাজের গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব নয়।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বর্তমান সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষিত বাজেট সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যে, এই বাজেটের ওপর আইএমএফ এবং ট্রাম্পের ছায়া প্রকট। আইএমএফের ছায়া পাওয়া যাবে দেশীয় শিল্পে করছাড় সুবিধা ও ভর্তুকি কমানোর মধ্যে। তাতে এগুলোর যাত্রা কঠিন হবে। আর ট্রাম্পের ছায়া পাওয়া যাবে শতাধিক আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক মওকুফ, ছাড় এবং সুবিধা বৃদ্ধির মধ্যে। ট্রাম্প এবং আমদানিকারকদের খুশি করার জন্য যে ক্ষতি হয়েছে তা পোষানোর জন্য দেশি শিল্প, পণ্য আর সেবার ওপর ভ্যাট ও শুল্কের চাপ বাড়াতে হয়েছে। এই বাজেটে তাই দেখি একদিকে দেশের বিভিন্ন পণ্যের দামবৃদ্ধি আর অন্যদিকে বিদেশের মাছ, মাংস, পাস্তা, প্লাস্টিক, চিনি, অস্ত্র, কাপড়, পোশাক, পুরস্কার ইত্যাদির জয় জয়কার! অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বিশ্লেষণ থেকেই আমরা বুঝতে পারি বিগত সরকারগুলোর সৃষ্ট বৈষম্য দূর করার পরিবর্তে এই বাজেটে ফুটে উঠেছে বিগত সরকারগুলোর অর্থনৈতিক নীতির প্রতিচ্ছবি। অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে প্রগতিশীল করব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধির নামে সাধারণ মানুষের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা না চাপিয়ে ধনিদের নিকট হতে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহকে জোরদার করার প্রস্তাব দয়া হয়। অথচ বাজেটে এই সুপারিশের কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ভ্যাট ও শুল্ক হিসেবে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে বিগত বাজেটে পরোক্ষ করের হার নির্ধারণ করে ছিল ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমান সরকার বাজেটে পরোক্ষ করের হার নির্ধারণ করেছে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের ১৫ শতাংশ বা জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের সুপারিশ করেছে। এছাড়াও ব্যয়বহুল চিকিৎসায় আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সামাজিক ‘স্বাস্থ্যকবচ’ নামে স্বাস্থ্যবিমা চালু করার সুপারিশ করেছে। সরকার বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ করেছে বাজেটের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ইউনেস্কোর পরামর্শ জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করার। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে এবং তার দুর্নীতিমুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে পরবর্তী সরকারগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সরকারের নিজের গঠিত কমিশন, কমিটি ও টাস্কফোর্সের বৈষম্যবিরোধী সুপারিশগুলোকে এই বাজেটে উপেক্ষা করা হয়েছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে জিডিপির অনুপাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির বদলে উল্টো কমানো হলো। অথচ এসব খাতে জনমুখী সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার কিংবা রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর মতো কোনো জটিলতা ছিল না।
বকেয়া মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। শ্রমিকদের সাথে সরকার যে ১৮ দফা চুক্তি করেছিল তা কার্যকর হয়নি এখনো। এই বছর সরাসরি কৃষক এর কাছ থেকে ধান ক্রয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল সেই পরিমাণ ছিল বিগত মেয়াদে স্বৈরাচার সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক। আমলাতন্ত্র, পুলিশ, বিচার বিভাগ সবকিছুই চলছে আগের মতো। ঢালাও মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত আছে। পাইকারি গ্রেপ্তার চলছে। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যখন ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি তুলছে তখন অধিকাংশের মতামতকে উপেক্ষা করে অর্থাৎ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছর এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন। কথায় কথায় রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান জানালেও নিজেরাই তা মানছেন না। কর্পোরেট লিডাররা যেমন মুখে যাই বলুক বাস্তবে কোম্পানি চালায় স্বৈরাচারি কায়দায়, মুহাম্মদ ইউনূস যেন রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। এমনকি বন্দর ও করিডোর নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ না হওয়ার পরও এই সকল বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আমাদের সন্দেহকে আরো গভীর করছে। একদিকে মুহাম্মদ ইউনূস একের পর এক নিজ প্রতিষ্ঠানের অধীনে ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লাইসেন্স নিচ্ছেন, নিজ প্রতিষ্ঠানের কর মওকুফ করিয়ে নিচ্ছেন অপরদিকে আগামীতে যে রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি তাদের সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে একধরণের বৈরী সম্পর্কে জড়াচ্ছেন। তার কোনো পদক্ষেপই সামগ্রিক পরিকল্পনার বাইরে নয়। সার্বিক পরিস্থিতি যে আশঙ্কা আমাদের মধ্যে জন্ম দিচ্ছে তা হলো ইউনূস সাহেব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্তে লিপ্ত। নির্বাচন এপ্রিলে গেলে একটি বড় সংখ্যক তরুণ ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো সম্ভব হবে। হয়তো তিনি ধারণা করছেন এই ভোটাররা এনসিপি এর ভোট বাড়াবে। তার সাথে যদি জামাত ও সমমনাদের নির্বাচনী সমঝোতা করা সম্ভব হয় তাহলে হয়তো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা সম্ভব হবে। যেহেতু তিনি অধিকাংশের মতামত কে মানছেন না, একটি নির্দিষ্ট দলের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তাই তার নেতৃত্বে নির্বাচন যে নিরেপেক্ষ হবে সেই কথাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। আর এরকম জনবিচ্ছিন্ন একটি সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয় বিদেশী প্রভু শক্তির সমর্থন। বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া ও করিডোর বিষয়ে তৎপরতা কি সেই প্রভুকেই সন্তুষ্ট করার জন্য?
১৯১৭ সালের জুন মাস, রাশিয়ায় তখন বুর্জোয়া বিপ্লবের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায়। শ্রমিক ও সৈনিক প্রনিতিধিদের কংগ্রেসে অন্তর্বর্তী সরকার কে উদ্দেশ্য করে লেনিন বললেন, “পুঁজিপতিরা জনগণের সম্পত্তি লুট করেই চলেছে। সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চলছেই। অথচ আমাদের দেওয়া হচ্ছে সংস্কার, সংস্কার আরও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি, এই পরিস্থিতে সেসব সংস্কার আদৌ হাসিল করা যায় না, কেননা যুদ্ধ সবকিছুকে পিষে দিচ্ছে, নির্ধারণ করছে। যারা বলে পুঁজিবাদী মুনাফার কারণে যুদ্ধটা চালানো হচ্ছে না, তাদের সাথে আপনাদের মতান্তর কেন? মানদণ্ডটা কী? সেটা হলো, সর্বপ্রথমে, ক্ষমতাসীন রয়েছে কোন শ্রেণি, কোন শ্রেণি প্রভুত্ব চালিয়ে যাচ্ছে, ব্যাংকিং আর ফিন্যন্সের কাজ-কারবারের মধ্য দিয়ে শত শত কোটি মুদ্রা কামিয়ে চলছে কোন শ্রেণি? সেই একই পুঁজিপতি শ্রেণি, কাজেই যুদ্ধটা সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধই থেকে যাচ্ছে। কিছুই বদলায় নাই। গোপন সন্ধিচুক্তিগুলো গোপনই রয়ে গেছে।” আমাদের এখানেও কিছুই বদলায়নি। একাত্তরের পরাজিত শক্তির আস্ফালন বিস্তৃত হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন চেতনাকে কমিউনিস্টদেরই অগ্রসর করে নিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতি যত জটিল হচ্ছে অপরদিকে সম্ভবনাও তৈরি হচ্ছে। মানুষের কাছে যেতে হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে মেহনতি শ্রমজীবী মানুষকে শ্রেণিসচেতন ও রাজনীতি সচেতন করে, ঐক্যবদ্ধ করে সমাজের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আমাদের সামনে উপস্থিত।
লেখক : সহ-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি
Login to comment..