ঈদ পরবর্তী বাজারে সরবরাহ ঘাটতি
একতা প্রতিবেদক :
মুরগি, ডিম, সবজিসহ কাঁচাবাজারের বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহকারীদের অনেকেই দীর্ঘ ছুটিতে। ঈদের লম্বা ছুটি হওয়ায় ক্রেতাদেরও বড় অংশ এখনো গ্রামের বাড়ি। বহু মানুষ ঢাকায় ফেরার পথে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারের অনেক দোকান না খোলায় পণ্যের সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে কিছু পণ্যের দামও বেড়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে সরবরাহ এবং কেনাবেচা পুরোদমে চালু হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
গত ১৩ জুন রাজধানীর মানিকনগর, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও, মালিবাগসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেক মুদি ও সবজির দোকান খোলেনি। দুপুর ১২টায় তুলনামূলকভাবে ছোট সেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছয়টি মুদিদোকানের মধ্যে চারটি খোলা। বাজারের ১২টি সবজির দোকানের মধ্যে ৫টিই বন্ধ। অন্যান্য বাজারের চিত্রও প্রায় একই রকম।
রাজধানীর এ বাজারগুলোয় ঈদের আগে মুরগির দাম বেশ সহনীয় ছিল। দাম কমে ব্রয়লার মুরগি কোথাও কোথাও ১৫০ টাকা কেজিতে নেমেছিল। তবে ঈদের পর সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এসব বাজারে গতকাল ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকায়। ঈদের আগের সপ্তাহে তা ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ২৮০-৩০০ টাকায়; ঈদের আগে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। ডিমের দাম প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।
পেঁয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ঈদের আগে ছিল ৫৫-৬৫ টাকা। আদার কেজি মানভেদে ১২০ থেকে ২৮০ টাকা। আলুর কেজি ৩০ টাকা। রসুন মানভেদে বিক্রি হয় ১৫০-২৫০ টাকা কেজিতে।
মানিকনগর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শামীম হাসান বলেন, ঈদের পর অনেক আড়ত খোলেনি। কিছু কিছু আড়ত থেকে মালপত্র আসছে। তাই দাম কিছুটা বাড়তি। সবকিছু খুললে দাম কমে যাবে।
সবজিসহ পচনশীল পণ্যের বাইরে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানিকনগর বাজারের চাল ব্যবসায়ী মরিয়ম স্টোরের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘চালের দর দাম ঈদের আগের মতোই। দাম আর কমবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। নাজিরশাইল, মিনিকেটসহ সরু চাল ঈদের আগে ২৫ কেজির প্যাকেট ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করছি। এখনো সেই দামই আছে। বিক্রি কম হওয়ায় পরিচিত কাস্টমারকে ১০-২০ টাকা কমেও দিয়ে দিচ্ছি।’
বৃষ্টি ও ঈদের বাজারের আবহের কারণে ঈদের আগেও রাজধানীতে কিছু কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে যায়। গতকাল বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে করলা বিক্রি হয় ৮০ টাকা কেজিতে। ঢ্যাঁড়স ও চিচিঙ্গার দাম ছিল ৬০ টাকা। পটোল ৬০-৮০ ও ধুন্দুল বিক্রি হয় ৭০ টাকায়।
কাঁকরোল ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৯০ থেকে ১০০, সজনে ডাঁটা ১০০ থেকে ১২০ ও ঝিঙা আগের মতোই ৬০ টাকা কেজিতে মিলছে।
এ ছাড়া টমেটো ৫০ টাকা, গাজর ৫০-৬০, মুলা ৫০ ও শসা ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কাঁচকলার হালি আগের মতোই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা এবং মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল।
প্রচুর সরবরাহের কারণে লেবুর দাম ঈদের সময় বাদ দিয়ে কিছুদিন ধরে বেশ কমই ছিল। গতকাল এক হালি লেবু প্রকারভেদে মিলেছে ১০-২০ টাকায়। ধনেপাতার কেজি আগের মতোই ২৫০-২৮০ টাকার মধ্যে আছে।
সেগুনবাগিচা বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদের আগে শসা আর কিছু সবজির দাম অনেক বাইড়া গেছিল। আমরা শসা বেচছি ১২০ টাকা কেজি। ঈদের কারণে এগুলার দাম বাড়ছিল।
প্রথম পাতা
বাংলাদেশে বেড়েছে ধর্ষণ-গণপিটুনিতে হত্যা
ফদলস্ফজ
দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিসহ ১০ দফা দাবি চা-শ্রমিকদের
‘মুরাদনগরের ঘটনা প্রমাণ দিচ্ছে সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ’
‘২০ বছর লে মজুরির কথাই বলছি’
গণতন্ত্র কায়েমের লড়াইয়ে বাম গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অপরিহার্য
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট নানা কর্মসূচি পালন করবে সিপিবি
বাংলাদেশ এখন কোথায়?
‘ভালোমানুষ’
শ্রমিক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিন
জুলাইয়ের ৩ দিনে হাজারের বেশি রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে
‘পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখুন’
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সম্বলিত দেয়াল ভেঙে ফেলায় বামপন্থিদের ক্ষোভ
Login to comment..