‘অসহায় শ্রমিকের সাহায্যের ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার কর’

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে উত্তোলিত অসহায় শ্রমিকের সাহায্যের অর্থের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপের নিন্দা জানিয়ে এবং প্রত্যাহার দাবির পাশপাশি শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের খাদ্য চিকিৎসা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের জন্য বিবৃতি দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন ও চৌধুরী আশিকুল আলমসহ স্বপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, আব্দুল কাদের হাওলাদার, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, শাহ মো. জাফর, মুজিবর রহমান ভুঁইয়া, সাইফুজ্জামান বাদশা, কামরুল আহসান, শামীম আরা, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাদল খান, নইমুল আহসান জুয়েল, সাকিল আক্তার চৌধুরী, রিপন চৌধুরী, শহিদুল্লাহ বাদল, কুদরতে খোদা, ফয়েজ হোসেন, আহসান হাবিব বুলবুল, নুরুল আমিন প্রমুখ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি দেন সংবাদমাধ্যমে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার তিন শুন্য ত্বত্ত্বের শুন্য দারিদ্র্য, শুন্য বেকারত্ব প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন নেই। সরকার গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের কোন নীতি প্রতিফলিত হয়নি। অগ্রাধিকার ১১ টি খাতের তালিকায় শ্রম খাতকে রাখা হয়নি। দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড যে শ্রমশক্তি সেই শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ প্রস্তাব নেই। উপরন্তু রোগগ্রস্ত বা দুর্ঘটনায় বিপদগ্রস্ত অসহায় শ্রমিকের নামে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ প্রাপ্ত সাহায্যের অর্থের উপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করা অমানবিক। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, পূর্বের সরকারের মালিক তোষণ, বেসরকারীকরণ ও কর্মসংস্থান শুন্য অবকাঠামো উন্নয়ন নীতির বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। বর্তমান সরকারের কাছেও শ্রমজীবী মানুষের কাজ, ন্যায্য মজুরি, সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যদার আকাঙ্খা যে উপেক্ষিত, প্রস্তাবিত বাজেট তার প্রমাণ। যে প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করছে তাদের কল্যাণে ব্যয় বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রিয় পাটকল, চিনিকল, স্টীল মিলসমূহ চালু ও নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে কর্মসংস্থানের জন্য বাজেটে বরাদ্দ নেই। যার অর্থ বিবিএসের হিসাবের ২৭ লক্ষ বেকারের পাশাপাশি কর্মবাজারে প্রবেশ করা নতুন ২০-২২ লক্ষ শ্রমশক্তির কর্মসংস্থানের প্রশ্নে সরকার দায়িত্ব অস্বীকার করছে। সরকার একদিকে কর্মক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমানের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার কথা বলছে বিপরীতে শ্রম অধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর পরিবর্তে কমানো হয়েছে। রাষ্ট্র ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম বিলুপ্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অথচ, প্রস্তাবিত বাজেটে শ্রমজীবী পরিবারের শিশুদের বিকাশে প্রয়োজনীয় আয়োজন এবং তাদের পরিবারগুলির পূনর্বাসন নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নেই। নেতৃবৃন্দ, প্রস্তাবিত গতানুগতিক বাজেট সংশোধন করে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে শ্রমজীবীদের কর্মক্ষেত্রের অধিকার এবং খাদ্য, চিকিৎসা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও অসহায় শ্রমিকের সাহায্যের অর্থের উপর আরোপিত কর প্রত্যাহার করার দাবি জানান শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এই জোটটি।
প্রথম পাতা
‘২০ বছর লে মজুরির কথাই বলছি’
গণতন্ত্র কায়েমের লড়াইয়ে বাম গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব অপরিহার্য
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট নানা কর্মসূচি পালন করবে সিপিবি
বাংলাদেশে বেড়েছে ধর্ষণ-গণপিটুনিতে হত্যা
ফদলস্ফজ
দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিসহ ১০ দফা দাবি চা-শ্রমিকদের
‘মুরাদনগরের ঘটনা প্রমাণ দিচ্ছে সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ’
‘পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখুন’
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সম্বলিত দেয়াল ভেঙে ফেলায় বামপন্থিদের ক্ষোভ
বাংলাদেশ এখন কোথায়?
‘ভালোমানুষ’
শ্রমিক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিন
জুলাইয়ের ৩ দিনে হাজারের বেশি রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..