চিকিৎসক-নার্স সংকটে চলছে ভোলা জেনারেল হাসপাতাল
ভোলা সংবাদদাতা :
জনবল সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।
ভোলা সদরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ২০১৯ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সেই ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে এর কার্যক্রম। ৬ বছরেও হাসপাতালটির শূন্য পদে চিকিৎসক-নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত এ জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
জানা গেছে, জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষ সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ সেখানে চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শূন্য রয়েছে ৩৭টি পদ। এর মধ্যে একটি তত্ত্বাবধায়ক, সাতটি সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ১০টি জুনিয়র কনসালট্যান্ট, দুটি আরএস/আরপি/আরএমও, চারটি অ্যানেসথেটিস্ট, একটি রেডিওলজিস্ট, একটি মেডিকেল অফিসার, দুটি ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, দুটি সহকারী সার্জন/সমমান, সাতটি রেজিস্ট্রার/সহকারী রেজিস্ট্রারসহ ৩৭টি পদ শূন্য রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, সৃজনকৃত ৬০টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২৩ জন চিকিৎসক। তত্ত্বাবধায়কসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩৪টি পদই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর মেঝে ও এক বেডে একাধিক শিশুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে সংক্রমিত হচ্ছে নতুন নতুন রোগে। এতে বাড়তি বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। পাশেই বহুতল ভবন রেখে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগীর স্বজনেরা। তাঁদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল সংকট দূর করে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার।
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম সাংবাদিককে দেওয়া এক সাক্ষাতে বলেন, লোকবল স্বল্পতার কারণে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম চালাতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে এই লোকবল দিয়েই কার্য উদ্ধার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় লোকবলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিনিয়ত অবগত করছি।
সিভিল সার্জন মু. মনিরুল ইসলাম বলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পদায়ন করা ব্যক্তিরা যোগদান করলে তাঁদের দিয়ে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে।
এ ছাড়া সিভিল সার্জন অফিসের দুটি, বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের একটি, সদর উপজেলার ১৪টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২১টি, দৌলতখান উপজেলায় ২৫টি, খায়ের হাটে সাতটি, লালমোহন উপজেলায় ২২টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ২০টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় সাতটি, মনপুরা উপজেলায় ১২টি, দক্ষিণ চর আইচায় চারটিসহ মোট ১৩৫টি চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
এদিকে ১০০ শয্যার পুরোনো ভবনে প্রতিদিন গড়ে ৩৬০ জন করে রোগী ইনডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ২৫ শয্যার শিশু ইউনিটে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় বিপুলসংখ্যক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দার মেঝেতে। একেক বেডে রাখা হচ্ছে ৪-৫টি শিশু। চিকিৎসক-নার্সরা এত রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এ হাসপাতালের ইনডোরে প্রতিদিন সাড়ে ৩০০ ও আউটডোরে পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শেষের পাতা
গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে জাতিসংঘকে উপযুক্ত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদের মুক্তি দাবি
কমরেড বিষ্ণু চ্যাটার্জীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আলী আহম্মদ সমাহিত
অতিরিক্ত লোকসানের কারণে পরপর দুজন পেঁয়াজ চাষীর আত্মহত্যা
গাইবান্ধায় সিপিবির ব্যতিক্রমী পহেলা বৈশাখ উদযাপন
‘মূল্যবৃদ্ধির আঘাত জনজীবনকে অসহনীয় করে তুলবে’
জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে বিভিন্ন উপজেলায় ক্ষেতমজুর সমিতির তৎপরতা
ড. গোলাম মহিউদ্দিন সাংস্কৃতিক উৎসবে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ
ওয়াসার পানি নিয়ে ভোগান্তিতে নগরবাসী
৭ দিনের সংবাদ...
Login to comment..