সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও ঊধ্বমুখি দাম অনেক পণ্যে
একতা প্রতিবেদক :
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংকটের মধ্যে বাজারে তেলের বোতলজাত সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে এবং সুপারশপের পাশাপাশি বিভিন্ন মুদিদোকানে এক লিটার, পাঁচ লিটার এবং আট লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও এই সরবরাহ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবুও বাজারে পুরোপুরি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি এবং বিভিন্ন বাজারে এখনো তেল পাওয়া যাচ্ছে সীমিত পরিসরে। শুধু একটি বা দুটি ব্র্যান্ডের তেল বাজারে দেখা যাচ্ছে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোয়। কারণ, ঢাকার অধিকাংশ বাজারে খোলা তেলের তুলনায় বোতলজাত তেলের চাহিদা অনেক বেশি। দীর্ঘ সময় ধরে এই সংকট চলার কারণে খোলা তেলের দাম বেড়ে গিয়ে ২০০ টাকা লিটারেও পৌঁছেছিল। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর এবং মানিকনগরের মতো বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তীর, রূপচাঁদা, ফ্রেশ ও বসুন্ধরা সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে, যদিও আগের মতো পুরোপুরি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বাজারের কিছু দোকানে দুটি ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে, তবে চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
সেগুনবাগিচা বাজারের এক মুদিদোকানি বলেন, আগে তেল পাওয়া যেত না, তবে এখন আমরা তীর ও বসুন্ধরা এই দুটি ব্র্যান্ডের তেল পাচ্ছি। তবে চাহিদা অনুযায়ী এখনো সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। পাঁচ কার্টনের চাহিদা থাকলেও কোম্পানি দুই কার্টন তেল পাঠাচ্ছে এবং ঈদের আগে হয়তো সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হবে।
তবে তেলের সরবরাহ বাড়লেও দাম নিয়ে সমস্যা রয়ে গেছে। খোলা তেলের দাম এখনো ১৮৫-১৯০ টাকা লিটার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারের নির্ধারিত ১৫৮ টাকার চেয়ে বেশি। এতে সাধারণ ক্রেতারা বিশেষভাবে সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই দাম বাড়ার জন্য বিক্রেতাদের অভিযোগ করছেন, কিন্তু কোনো কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি ঠিক করা যাচ্ছে না।
এদিকে ভোজ্যতেলের সংকট কাটলেও তরল দুধের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা লিটার হয়েছে, যা বিশেষ করে শিশুসম্পন্ন পরিবারগুলোর জন্য চাপ বাড়িয়েছে। রাজধানীর শান্তিনগরের এক বাসিন্দা জানান, রোজায় প্রতিদিন ১ লিটার দুধের দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের ১০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে, যা মাসে ৩০০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে দাম বাড়ানো উচিত হয়নি এবং কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বাজার মনিটরিং করা।
প্রথম পাতা
সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি
সরকারের বোরো ধান সংগ্রহ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করবে
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে বিনিয়োগকারীদের লাগাম টানার চেষ্টা করছে সরকার
নির্বাচন নিয়ে বিলম্ব দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে
লেনিনের একটি দিন
রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের একযুগ, শ্রমিকের জীবন...
শ্রমিকনেতা আবু তাহেরের মুক্তি দাবি সিপিবির
তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের তোষণ করছে
আশা-নিরাশার বর্ষবরণ
‘রঙ্গ’
চাল-আটাসহ বাড়তি দাম সবজির
Login to comment..