রাজধানীতে সিপিবি ঢাকা উত্তর কমিটি আয়োজিত ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সএকতা প্রতিবেদক :
সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘আসিয়ার মৃত্যু আমাদেরকে লজ্জিত ও অপরাধী করে দেয়। রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘটনা, এমন মৃত্যু কিভাবে ঘটে চলেছে? সারাদেশে অব্যাহত খুন, ধর্ষণ, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস প্রমাণ করে দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু নতুন রাজনৈতিক দলকে উৎসাহ দিলেই গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে না। মব সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে রহস্যময় নির্লিপ্ততা, উদ্যোগ গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।’
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরো বলেন, ‘অবিলম্বে ন্যূনতম সংষ্কার সাধন করে, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করুন। জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে, জনগণের ম্যান্ডেটে সরকার গঠন না হলে, দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না এবং অব্যাহত নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না। গণমানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত ১৪ মার্চ সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির উদ্যোগে পল্টন মোড়ে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডাক্তার সাজেদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লুনা নূরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা হাসান হাফিজুর রহমান, ক্ষেতমজুর নেতা মোতালেব হোসেন, নারীনেত্রী রোকেয়া বেগম প্রমুখ।
সমাবেশের শুরুতে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের নারী সমাজ ভয়াবহ সময় পার করছে। শুধু যে ধর্ষণ ও নারীর প্রতিনিপীড়নের মাত্র বেড়েছে তা নয়। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংবিধানবিরোধী অবস্থান থেকে নারীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। সবচেয়ে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে এই অন্তর্বর্তী সরকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার খুন, ধর্ষণ কিংবা মব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তো পারছেই না উল্টো তাদের নাকের ডগাতেই দেশজুড়ে মব সন্ত্রাস চলছে। এসব নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান জানান এবং একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করেন।