মশার উৎপাতে নাকাল নগরবাসী
একতা প্রতিবেদক :
আশঙ্কাজনকভাবে আবার বেড়েছে মশার উৎপাত। শুধু রাজধানী সারা দেশে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মশা নিধন কার্যক্রমে ঢিলেমির কারণে সামনের দিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে মশা নির্মূলে পদক্ষেপের ঘাটতি, রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। এখনো এডিস নির্মূলে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি সরকার।
মশকনিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বছরে কমবেশি ২০০ কোটি টাকা বাজেট আছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন আজকের পত্রিকার দেওয়া এক সাক্ষাতে বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মশকনিধন কার্যক্রমের জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ১১১ কোটি টাকা। মশার নিধনে অনেকটা সমান অর্থ ব্যয় করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি)।
অথচ মশার পেছনে দুই সিটি করপোরেশনের এত বিপুল ব্যয়ের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী।
নিউ ইস্কাটন এলাকার বসবাস করেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল হক কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মশারি টানানোর পরও মশার ভন ভন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। রমজান শুরু হওয়ার পর যখন মশারি থেকে বের হয়ে রাতে সেহরি খেতে বসি, তখন দেখা দেয় বড় বিপত্তিটা। দল বেঁধে মশা চারদিক ঘিরে ধরে।’
তবে মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা বা সীমাবদ্ধতা মানতে নারাজ ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ।
এডিস মশাবাহিত সংক্রামক ভাইরাসটিতে এখন সারা বছরই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। নগর থেকে শুরু করে প্রান্তিক অঞ্চলেও সংক্রমণ ঘটছে দ্রুত। ফলে সারা বছরই এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বছরজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনাকে জোর দেওয়ার কথা বলছেন রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রমের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, তারা ডেঙ্গুবিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। তবে গত জুলাই থেকে ওপি চালু না থাকার কারণে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মোট দেড় সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২ মার্চের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জনের বিপরীতে মারা গেছে ৩ জন।
শেষের পাতা
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি
৭ দিনের সংবাদ...
বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি ও রাষ্ট্রের ব্যর্থতাই আছিয়াদের মৃত্যুর কারণ
হত্যার ৫২ বছরেও বিচার পায়নি গোপালগঞ্জের ৪ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার
‘মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চাই’
২০ রমজানের মধ্যে ঈদ বোনাস ও সকল বকেয়া চায় শ্রমিকরা
কমরেড ফিরোজ আহমেদের স্মরণসভা
নারী ও শিশুর ওপর অব্যাহত সহিংসতার দায় অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না
‘ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরি কার্যকর কর’
Login to comment..