
একতা প্রতিবেদক :
সুস্থ্য শরীরে বেশি দিন বাঁচার জন্য আমাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার দরকার। প্রবীণদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ১২ বছরের তথ্যভিত্তিক একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা বই পড়েন তাঁরা প্রায় দুই বছর বেশি সুস্বাস্থ্যে বাঁচেন, যারা বই পড়েন না, তাঁদের চেয়ে। যারা নিয়মিত বই পড়েন, তাঁরা অন্তত ২৩% বেশি বাঁচেন।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত বই পড়েন, তাঁদের স্মৃতিভ্রংশ রোগের ঝুঁকি আড়াই গুন কম যারা পড়েন না তাঁদের তুলনায়। মানে, বই পড়ার অভ্যাস স্মৃতিভ্রংশ রোগ প্রতিরোধ করে। বই পড়ার কারণে আপনার মগজের নানা অংশের ব্যায়াম হয়, ফলে মানসিক শক্তি অব্যাহত থাকে। মস্তিষ্কের ব্যায়ামের জন্য বই পড়া খুব উপকারী।
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বই আপনার ওষুধ হতে পারে। সবাই জানেন মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার একটি চিকিৎসার নাম ‘কগনিটিভ থেরাপি’। মনস্তত্ত্বের বই শুধু নয়, উপন্যাস, কবিতা ইত্যাদিও আপনাকে নিজের অনেক সমস্যা বুঝতে সহায়তা করে। ফলে, বিষণ্নতাসহ অনেক সমস্যার সমাধান আপনি নিজেই খুঁজে পাবেন।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে একটি বই পাঠের নিদানপত্র দেয়া হয়, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য। এই চিকিৎসার নাম বিবলিওথেরাপি।
বই পড়ার সময় আপনি অনেক ধরণের ভাবনা দুর্ভাবনা থেকে মুক্তি পান, ফলে আপনি মানসিক চাপমুক্ত হতে পারেন। মানসিক চাপ মুক্তির জন্য বই পড়া সবচেয়ে সহজ উপায়।
দক্ষ, যোগ্য ও মানবিক মানুষ হয়ে উঠার ক্ষেত্রে বই আপনার বন্ধু। হ্যাঁ, একমাত্র বই আপনাকে জ্ঞানের রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে। আপনার তথ্যের, জ্ঞানের যোগান দেয়। আপনাকে দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বই এর বিকল্প নেই।
আপনি মানুষ হিসেবে কেমন? নিজেকে শ্রদ্ধা করতে হলে যে আত্মবিশ্লেষণ সক্ষমতা দরকার এবং নিজের দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার পথ জানা দরকার, বই আপনাকে সেই পথ দেখাবে।
সবশেষে, কেন আপনি বই পড়বেন? অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে আলোর জগতে আসার জন্য। আত্মমুক্তির আনন্দের জন্য। বই পড়া উপভোগ করুন। অন্যদের বই পড়তে উৎসাহিত করুন।