অপরিকল্পিত খাল খননে রাস্তায় ধস
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
কুমিল্লার তিতাসে অপরিকল্পিত খাল খনন করে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে শিবপুর-লালপুর ভায়া শাহপুর সড়ক। বর্ষার পানি কমতে শুরু করায় সড়কটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাইপাস হিসেবে ব্যবহৃত সড়কটি দিয়ে কুমিল্লার ৪টি উপজেলার যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি ধসে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, গৌরীপুর-হোমনা সড়কের শিবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লালপুর পর্যন্ত একটি পাকা সড়ক রয়েছে। লালপুর গ্রামসংলগ্ন গোমতী নদীতে সেতু পার হয়ে এটি দিয়ে অল্প সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াত করা যায়। গৌরীপুর বাজারে দীর্ঘ যানজটের কারণে তিতাস, হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর উপজেলার পরিবহন চালক ও যাত্রীরা বাইপাস হিসেবে সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। শিবপুর থেকে শাহপুর অংশের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা। গত বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটি উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে মানুষ। এর মধ্যে শিবপুর অংশে খাল-সংলগ্ন সড়কের একপাশ ধসে যাচ্ছে।
শাহপুর গ্রামের সামছুল হুদা বলেন, শিবপুর থেকে শাহপুর-লালপুর সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটিতে ধস শুরু হয়েছে। মূল সড়কের পাশ ঘেঁষে খাল খনন করায় এমন ধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে শাহপুরবাসীকে উল্টো লালপুর ও শোলাকান্দি হয়ে গৌরীপুর-হোমনা সড়কে উঠতে হবে। উপজেলা সদরে যেতে হলে অতিরিক্ত পাড়ি দিতে হবে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।
শিবপুর গ্রামের আব্দুল সালাম ভূঁইয়া জানান, অনেক দিন ধরে রাস্তাটি ভাঙচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। এরই মধ্যে রাস্তাটির একপাশ খালের দিকে নেমে যাচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, মাইক্রোবাস এ পথে যাতায়াত করে। সড়কটি সংস্কার না করায় বিশেষ করে বৃদ্ধ ও রোগীদের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে বেশি।
সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক মিরাজ হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আমরা ভাড়া নিয়ে অনেক জায়গায় যাই, এ রাস্তার মতো খারাপ রাস্তা আর কোনো জায়গায় দেখি নাই। স্থানীয় অটোরিকশা চালকদের সহযোগিতায় আমরা একাধিকবার রাস্তাটির খানাখন্দ নিজেরা মেরামত করেছিলাম। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় সেই সুফলও আমরা পাইনি।’
উপজেলা প্রকৌশলী সহিদুল ইসলামের ভাষ্য, উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে খারাপ শিবপুর-লালপুর সড়ক এটি অস্বীকার করা যাবে না। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা পাঠানো হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে যদি কোনো রাস্তা সংস্কার কাজ অনুমোদন হয়, তাহলে এটি সবার আগে হবে।
Login to comment..