ফরিদপুরে জনসমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ফরিদপুর সংবাদদাতা :
গত ২৫ নভেম্বর সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, গ্রাম শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতিসহ নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ গণমিছিল ও জনসমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ফরিদপুর জেলা কমিটি।
শহরের ঐতিহাসিক জনতা ব্যাংকের মোড়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশেটি জেলা কমিটির সভাপতি আযাদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার শীলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন জনগণের বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে চেপে বসেছিল। ছাত্র-জনতার অপ্রতিরোধ্য লড়াইয়ে সেই দুঃশাসনের অবসান ঘটেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে মানুষ মরণপণ লড়াই করেছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শ্রমিকেরা অকাতরে জীবন দিয়েছেন। সহস্রাধিক মানুষের বীরোচিত আত্মদানের বিনিময়ে দেশে এখন কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উন্মেষ ঘটেছে বৈষম্যবিরোধী চেতনার। মানুষ পেয়েছে মুক্তির স্বাদ।
বক্তারা আরো বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত জনতার বিজয়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এর জন্য কালক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তিন মাস পার হলেও সিন্ডিকেটের হাত থেকে দ্রব্যের দাম কমাতে পারেনি এই সরকার। দেশের জনগণ কী চায় সরকারের বুঝতে হবে। জনগণের চাওয়া-পাওয়ার ওপর ভিত্তি করে সংস্কার করতে হবে। নেতৃবৃন্দ রাস্তায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক বন্ধের পায়তারা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
জনসমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।