কারখানাভিত্তিক রেশন চালু ও ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সমাবেশ ও মিছিল একতা প্রতিবেদক :
অবিলম্বে গার্মেন্ট শ্রমিকের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ ঘোষণা, বাজার দর অনুসারে মজুরি বৃদ্ধি করে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ, কারখানাভিত্তিক রেশন ব্যবস্থা চালু এবং ১৮ দফা ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
গত ২৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ করে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট টিইউসির উপদেষ্টা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, সহ-সভাপতি জলি তালুকদার, জিয়াউল কবীর খোকন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা প্রমুখ।
সমাবেশে সংগঠনের উপদেষ্টা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, শ্রমিকের সীমাহীন আত্মত্যাগ ও জীবনদানের মধ্য দিয়ে দেশে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে তার সুফল থেকে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে গত বছর অক্টোবর মাসে পতিত স্বৈরাচারের গুলিতে চারজন শ্রমিকনেতা প্রাণ হারিয়েছেন। গণ-অভ্যুত্থানের পরেও ন্যায্য দাবি উত্থাপন করে এখন পর্যন্ত দুইজন শ্রমিক রাষ্ট্র বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাজারদরের সঙ্গে সংঙ্গতিপূর্ণ হারে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করা না হলে সেটা গণ-অভ্যুত্থানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ বলেন, শ্রমিকরা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিকে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপে শ্রমিকের প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখতে চাই।
সমাবেশে সংগঠনের সহ-সভাপতি শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার বলেন, শ্রমিকের জীবনের সংকটকে আড়াল করে রাখার কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নাই। শ্রমিকের দাবির মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজা পুরাতন স্বৈরাচারী অপকৌশল। সরকারকে দায়িত্ববোধ থেকে শ্রমিকের সমস্যার সুরাহা করতে হবে। শ্রমিকরাও দায়িত্বশীলতার সাথে সকল দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী চক্রান্ত মোকাবিলা করবে।
সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম বলেন, সরকার টিসিবির কার্ড বিতরণের কথা বলছে। অতীতেও আমরা দেখেছি কারখানাভিত্তিক রেশন ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ গৃহীত হয়নি। তিনি অবিলম্বে কারখানাভিত্তিক রেশন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কদমফুল ফোঁয়ারা ঘুরে নগরীর বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।