২১ অক্টোবর দুপুরে বিএনএস গ্রুপের শ্রমিকরা শ্রম মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ পালনকালে পুলিশী বাধার মুখে পড়লে সচিবালয়ের সামনে এসে অবস্থান সমাবেশ করেএকতা প্রতিবেদক :
কারখানা চালু ও বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে গত ২০ অক্টোবর বেলা ১২টায় বিএনএস গ্রুপের ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং কোং. লি. শ্রমিক ইউনিয়ন এবং এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লি. শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যাগে শ্রম ভবন ঘেরাও এবং লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি রাজধানীর পল্টন ও জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে বিজয়নগরস্থ শ্রম ভবনের সামনে গিয়ে ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান, বিক্ষোভসহ নানাবিধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং কোং লি. শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, শ্রমিক নেতা জালাল হাওলাদার, রাসেল মিয়া, আ. আলী, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
দীর্ঘদিন আন্দোলনের চাপে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা বি.এন.এস গ্রুপের শ্রমিকরা। গত ৯ এপ্রিল গাজীপুরে অবস্থিত বি.এন.এস গ্রুপের ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং লি. ও এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লি. কারখানা দুটি লে-অফ ঘোষণা করেন। আন্দোলনের চাপে তিন মাসের বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য হোন মালিক। গত জুলাই মাসে শ্রমিকদের ছাটাই করে কিন্তু আইনানুগ পাওনা পরিশোধ করেনি। গত ২১ অক্টোবর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকরা।
পরবর্তীতে পুলিশী বাধার মুখে সচিবালয় গেটের প্রবেশ মুখে অবস্থান সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র অর্থ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, কে.এম মিন্টু, জালাল হাওলাদার, মাফুজুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রাসেল, মো. রাসেল মিয়া, আ. আলী প্রমুখ।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল শ্রম সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরের দিন ২২ অক্টোবর মালিকের গুলশানের বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় সভা এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।