পরের ধনে পোদ্দারী

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : শ্রম ছাড়া এই পৃথিবীতে কোন কিছুই সৃষ্টি হয় না। কিন্তু এই শ্রমের বিনিময়ে বিশ্বের ধনী দেশগুলো হাত খুলে অর্থ খরচ করার যে স্বাধীনতা ভোগ করে, তা কেবল সম্ভব হচ্ছে গরিব দেশগুলোকে শ্রমের ন্যায্যমূল্য না দেয়ার কারণে। ধনী দেশগুলো তাদের প্রতি ঘণ্টার শ্রমের বিনিময়ে গরিব দেশগুলোর কাছ থেকে ১১ ঘণ্টার শ্রম আদায় করে। দাবি করেছেন স্পেনের ইউনিভার্সিটি অটোনোমা দে বার্সেলোনার ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকরা। ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে শ্রমের অসম বিনিময়’ শিরোনামে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি ২৯ জুলাই নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। গবেষণার অংশ হিসেবে ১৯৯৫-২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে উৎপাদিত মোট বাণিজ্যিক পণ্যের মূর্ত শ্রম পরিমাপ করেন। এর মধ্যে ২০২১ সালের হিসাবে দেখা যায়, গ্লোবাল সাউথ থেকে ৯০ হাজার ৬০০ কোটি ঘণ্টার শ্রম আমদানি করে গ্লোবাল নর্থ। এর বিনিময়ে গ্লোবাল নর্থকে পরিশোধ করতে হয়েছে মাত্র আট হাজার কোটি শ্রমঘণ্টা। অর্থাৎ, গ্লোবাল নর্থের প্রতি ১ ঘণ্টার শ্রমের বিপরীতে গ্লোবাল সাউথকে পরিশোধ করতে হয় ১১ ঘণ্টা। হিসাব বলছে, ২০২১ সালে গ্লোবাল নর্থের তুলনায় গ্লোবাল সাউথকে প্রায় ৮২ হাজার কোটি ঘণ্টা বেশি শ্রম পরিশোধ করতে হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এক বছরের মোট শ্রমঘণ্টার চেয়ে বেশি। গবেষকরা বলছেন, গ্লোবাল নর্থে মজুরির হিসাবে ২০২১ সালের এ বাড়তি শ্রমের মূল্য ১৮ দশমিক ২৮ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়নে ১ লাখ কোটি) ডলার। পৃথিবীর ধনী দেশ বলে পরিচিত দেশগুলো গরীব দেশগুলোকে নানাভাবে শোষণ করছেন। শ্রম শোষণ তার অন্যতম। এছাড়া অসম বাণিজ্য তথাকথিত মুক্ত বাণিজ্যের নামে গরীব দেশকে শোষণ করে তাদের জীবন চলে বিলাশীভাবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..