সরকারের পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা বন্ধের দাবি

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অপহরণ, নির্যাতন বন্ধ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ৮ দফা দাবির প্রতি পুনরায় সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সারাদেশে চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করে নির্যাতন ও জিম্মি করে গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের দিয়ে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি আদায় করা হয়েছে। ছাত্র সমাজ জবরদস্তিমূলক এই বিবৃতি প্রত্যাখান করেছে। গত ২৯ জুলাই সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা বলেন, দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষ পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত এবং আহত হয়েছে। শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ বিক্ষোভে মধ্যে দিনযাপন করছেন। একদিকে প্রশাসন বলছে যারা নাশকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বের হলে তাদের ফোন চেক করা হচ্ছে, গ্রেফতার করে মামলা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এত কিছুর মধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেমে নেই। একইসাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৮ দফা দাবির প্রতি আমরা আমাদের সমর্থন ব্যক্ত করছি। আমরা মনে করি, আন্দোলন দমাতেই সরকার তড়িঘড়ি করে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অংশীজনদের মতামত ছাড়া কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন নিয়ে ভবিষ্যতে আবারও জটিলতা তৈরি হওয়ার শঙ্কা থেকে যায় এবং সরকার এটিকে আবারও রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। অবিলম্বে টাস্কফোর্স গঠন করে সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতেই কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি আদায়ে ছাত্র ইউনিয়ন সর্বাত্মকভাবে মাঠে থাকবে। ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।’ নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগণ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতাসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন বন্ধ, তাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং অবিলম্বে ছাত্র হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারের দাবিতে ২৯ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্র হত্যা, হামলা-মামলা নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২৭ জুলাই বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন। সমাবেশের পূর্বে রাজধানীতে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..