জামাত-শিবির তকমা আতঙ্কে হকাররা

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি পুলিশ ও আওয়ামী লীগের

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : জামাত-শিবির নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত এখন আওয়ামী লীগের অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজির পন্থায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্নজনকে জামাত-শিবির ট্যাগ লাগিয়ে তাদের কাছে নিদিষ্ট অংকের টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে তাদের জামাত-শিবির চিহ্নিত করে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। সম্প্রতি এমন বিভিন্ন স্থানের হকাররা এই অভিযোগ করেছে। এই প্রসঙ্গে সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী এর প্রতিবাদ জানান। চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিরীহ হকার ও শ্রমজীবী মানুষের ওপর সরকার দলীয় নেতাদের জুলুম-নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। পুরানা পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম উত্তর ও দক্ষিণ গেইট, ক্রীড়া পরিষদ ভবন, দৈনিক বাংলাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হকারদের রুটি-রুজি বন্ধ করে তথাকথিত জামাত-শিবির তালিকার নামে চাঁদাবাজি-জুলুম, মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সরকারদলীয় নেতাদের ‘জামাত-শিবির থেকে নাম কাটা প্যাকেজ’ শিরোনামে হকারদের নিকট থেকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা আদায় অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, কামাল, মান্নানসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ বহু বছর ধরে হকারি পেশায় যুক্ত বিপুল সংখ্যক হকারের দোকান বন্ধ করে সীমাহীন চাঁদাবাজি পরিচালনা করে আসছে। সহিংসতা ও অপরাধমূলক কাজে জড়িত অথবা জড়িত নন মর্মে সার্টিফিকেট প্রদান করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইতিহাসের নজিরবিহীন সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির পর সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের চলমান এই জুলুম-নির্যাতন শত শত হকার ও শ্রমজীবী মানুষকে সীমাহীন হয়রানির শিকার করছে। ইতোমধ্যে অনেকেই চাঁদার অংক পরিশোধ করতে না পারায় গ্রেপ্তার, এলাকাছাড়া হয়েছে। দিন এনে দিন খাওয়া এসব মানুষের পরিবার-পরিজন ভয়াবহ অভাবে দিন কাটাচ্ছে। রাজধানীর হকাররা বলেন, দেশের এই সংকটময় সময়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। অনেক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ আমাদেরকে জামাত-শিবির বলে ট্যাগ দিচ্ছে। এবং চাঁদাবাজদের টাকা না দিলে আমাদের পুলিশি ধরিয়ে দিবে বলেও ভয় দেখায়। বিবৃতিতে অবিলম্বে সকল হয়রানি, নির্যাতন, মিথ্যা অপবাদে আটক, মিথ্যা মামলায় গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়ে বলা হয়, এসকল অত্যাচার অব্যাহত থাকলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..