সমাজের সহিংসতা অহেতুক নয়
মিজানুর রহমান সেলিম
সরকারি চাকুরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং নির্বিচারে গ্রেফতার নির্যাতনে দেশবাসী এখন উদ্বিগ্ন। একটি চরম অস্বস্তিকর ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে মানুষ দিন কাটাচ্ছে। একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর কয়েক দিন পরে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যে আগুনে ঘৃতাহুতি দেয় এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রলীগকে উস্কে দেয়ার পরেই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে।
আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে রুখে দাড়ায়, ফলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সংঘর্ষে লাশ পড়তে থাকে। ফলে তুমুল গতি পায় প্রতিরোধ সংগ্রাম। যার পরিণামে ছাত্রলীগ মার খেয়ে মাঠ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এ সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যাও দুই শতাধিক ছাড়িয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে ১৯ জুলাই সরকার কারফিউ জারি করে নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও দেশের নানা স্থানে সংঘর্ষে আরও অনেক নিহত হয় এবং ক্রমান্বয়ে আহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। দৃশ্যত এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে একটু শান্ত মনে হলেও সরকারের নির্বিচারে মানুষ হত্যা ও গ্রেফতার-নির্যাতনের জন্য মানুষের মনের ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কোটা সংস্কার আন্দোলন হঠাৎ করে, কি কারণে মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞে রূপ নিল। শুরুতে এ আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন ও সহানুভুতি ছিল এবং এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই অগ্রসর হয়েছিল কিন্তু সরকার এ আন্দোলনের তীব্রতা না বুঝে একদিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালক্ষেপন, অনিয়ন্ত্রিত শক্তি প্রয়োগ এবং অগণতান্ত্রিক বেপরোয়া মনোভাবের কারণেই দেশের ছাত্র সমাজের ন্যায়সঙ্গত দাবিটি শান্তিপূর্ণভাবে ফয়সালার পথ হারিয়ে সংঘর্ষ ও ধ্বংসযজ্ঞে রূপ নেয়। এক কথায় সরকারের দায়িত্বহীন আচরণের কারণেই দেশে এভাবে এ ধরনের গভীর সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের এত ক্ষোভ ও ঘৃণা হঠাৎ করে শুধু কোটা আন্দোলনের এক দফা দাবিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়নি বরং পর পর বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী গণতন্ত্রকে বরবাদ করে দেয়া, বেপরোয়া ঘুষ-দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বক্ষেত্রে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব মানুষের মনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে ক্ষোভ, অনাস্থা ও তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে, যা এই সময়ে দেশে এ ধরনের বিপদ ডেকে এনেছে। ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের স্বাভাবিক পথকে অসম্ভব করে দেয়ার পরিণতি হয় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাত অথবা দেশে নিয়ন্ত্রণহীন নৈরাজ্য ও অরাজকতা সৃষ্টি হওয়া। যা এখন দেশের মানুষ সর্বত্রই প্রত্যক্ষ করছে।
বর্তমানে দেশে বিরাজমান অরাজকতা ও নৈরাজ্য বন্ধের লক্ষ্যে যখন দরকার আন্দোলনের মাঠে যেসব কমিউনিস্ট-বাম ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে তাদের সাথে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। এক্ষেত্রে সরকারকেই এগিয়ে এসে সবচেয়ে বেশি ধৈর্য্য-প্রজ্ঞা ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু সরকার সে পথে অগ্রসর না হয়ে রাজধানীতে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি দিয়ে পুরো মহল্লা ঘিরে রেখে অভিযান পরিচালনা করছে। ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি করে পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে একটু হেরফের হলেই তাকে গ্রেফতার করছে। অভিযানকে দুটো ভাগ করে একদল বিরোধীদের অন্যদল শিক্ষার্থীদের ধরছে। এমন অভিযান সম্পর্কে প্রশ্ন করলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার অপারেশন বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে যারা সহিংসতা চালিয়েছে এবং তাদের যারা মদদ দিয়েছে তাদের ধরতেই এ অভিযান। ইতিমধ্যেই এ অভিযানসহ সারাদেশে ছয় হাজারের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার আরও বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা যাবে ততদিন অভিযান চলবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে অবশ্যই অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা জরুরি কর্তব্য। তাহলে কি সহিংস কর্মকাণ্ড এবং তাদের মদদ দাতাদের অপরাধের চেয়ে যারা সাধারণ শিক্ষার্থী, নিরপরাধ মানুষ এবং শিশুদের হত্যা করেছে এবং যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অমানুষিক নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে তারা কি কম অপরাধী? দেশে ন্যায় বিচারের স্বার্থে একই সাথে এই অপরাধীদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করার দায় রয়েছে। সে অপরাধী পুলিশ, ছাত্রলীগ, জঙ্গী সন্ত্রাসী, বিএনপি, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির যেই হোক। ইতিমধ্যেই সারাদেশে প্রায় হাজার খানেক মামলা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ মামলার বাদী পুলিশ। তাদের মামলার এজাহারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার কোন তথ্য নেই। সহিংস ঘটনায় মৃতদের ভুক্তভোগীরা মামলা করতে পারছে না। এজাহারে গুলির তথ্য না থাকার বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা মুখ খুলছেন না। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন অনেক ধৈর্য্য ধরার পরে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৭ জন উল্লেখ করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা ২৬৬ জন উল্লেখ করে তাদের প্রত্যেকের নাম, পরিচয়, পেশা ও বয়সের পাশাপাশি কে কখন কোথায় নিহত হয়েছেন সে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
যদিও ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের একটি অংশ এ মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে উল্লেখ করেছেন। পত্র-পত্রিকায় হতাহতদের তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কারীকে ডিবি পুলিশ নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে এসেছে। নিরাপত্তা হেফাজতে থেকে ভিডিও বার্তায় তারা আন্দোলনের কর্মসূচী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু এ আন্দোলনের নেতৃত্বের একটা অংশ এ ঘোষণার প্রতি দ্বিমত পোষণ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যাক্ত করেছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, সমন্বয়কদের নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে জোরপূর্বক এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করলেও পুলিশের করা মামলার এজাহারে তা অস্বীকার করা হচ্ছে অথচ গণমাধ্যমে ধারণ করা ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরা শত শত ভিডিও আর ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ প্রমাণ করছে আন্দোলনকারীদের ওপর বেশিরভাগ জায়গাতেই গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যে গুলিতে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে হাজার খানেক মানুষ এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যে ঘটনাগুলো লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখের সামনে ঘটেছে। যার স্বপক্ষে হাজারও তথ্য প্রমাণ আছে, তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার অপচেস্টা চালিয়ে এর দায় থেকে সরকার ও পুলিশ এড়াতে পারবে না। কারণ মানুষ ইতিমধ্যেই যা সত্য তাকে সত্য এবং যা মিথ্যা তাকে মিথ্যা বলেই গ্রহণ করেছে। এ মুহুর্তে দেশের পরিস্তিতিকে শান্ত করে মানুষের মনে আস্থা, বিশ্বাস ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সত্য কে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা ধরে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে যে যেখানে যে দলের বা যে বাহিনীরই হোক না কেন বিচারের আওতায় আনার কোন বিকল্প নেই। হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের দায়ে প্রকৃত দোষীদের বিচার এবং এতদিন যে সব রাজনৈতিক দল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধের জন্য, ঋণ খেলাপিদের অর্থ ও পাচারকারীদের টাকা উদ্ধার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে সে সব রাজনৈতিক শক্তির সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা ও সমাধান প্রতিষ্ঠা করা এই মূহুর্তে জরুরি কর্তব্য।
দেশের এমন পরিস্থিতি ও সংকটকে মোকাবেলার জন্য যখন দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংকটের রাজনৈতিক সমাধান করা জরুরি তখন দেশের শাসকশ্রেণির উভয় অংশের বড় দুটো দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতার বাইরে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে। সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান থেকে আওয়ামী সরকারের পতনের একদফা দাবীতে বিএনপি সব গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে এবং বিপরীতে আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে এবং দেশ বিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করার প্রয়োজনের কথা বলে গত ২৯ জুলাই ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের নীতি-আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনাকে বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী লীগ এতদিন শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকদের প্রশ্রয় দিয়ে আপোষ করে আসছে। এখন নিজেদের অস্তিত্বকে উপড়ে ফেলার উপক্রম হওয়ায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করছে। যে সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেয়া উচিত ছিল।
আওয়ামী লীগ বিএনপির নীতিহীন, ক্ষমতাশ্রয়ী, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি দেশে আজ এই সংকটের কারণ হলেও দেশের বর্তমান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে আপাতত নিয়ন্ত্রণ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সকল আন্দোলনরত গণতান্ত্রিক শক্তির সমঝোতার মাধ্যমে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের নিকট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
দেশের বর্তমান অসহনীয় পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা গভীর সংকটে। একদিকে তাদের আয় কম, এখন সেটাও প্রায় বন্ধ। অন্যদিকে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে তাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। দেশের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষের জীবন জীবিকার সংকট দূর করার কোন উদ্যোগ এখন চোখে পড়ছে না। বরং পরিস্থিতির বর্তমান সময়ে দেশের বড় বড় লুটেরাদের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র, পাচারের টাকা ও ব্যাংক ডাকাতদের খবর মানুষের চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জনজীবনের নানা সংকট মোচনের লক্ষ্যে বামপন্থীদের চলমান আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়েছে এবারের দেশের শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকুরীতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন। বামপন্থীরা এ আন্দোলনের সমর্থন দিয়ে আসছে। এ আন্দোলন সংঘর্ষে রূপ নিয়ে দেশ অচলাবস্থায় পতিত হওয়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাসদ, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও জাতীয় গনফ্রন্ট উদ্ভুত জটিল পরিস্থিতির রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের নিকট শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে। এ প্রক্রিয়ায় দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে দেশের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। মানুষের অভিজ্ঞতাই বলে দেয়, সমাজ অহেতুক সহিংস হয়ে ওঠে না। সমাজে সহিংসতার বাস্তব ভিত্তি না থাকলে শুধু উস্কে দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে রাস্তায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নামানো যায় না। জীবন যন্ত্রণার কষ্টে ক্ষোভের আগুন মানুষের বুকের গভীরে ধিকি ধিকি জ্বলে, একটু উত্তাপ পেলেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। কাজেই সহিংসতার কারণ দূর না করে শুধু আহাজারি করে লাভ হবে না।
লেখক : সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, সিপিবি
Login to comment..