আমরা বিশ্বাস করি জনতায় ও জীবনে

কল্লোল বনিক

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
গুয়াতেমালার ফ্যাসিবিরোধী আন্দোলনে শহীদ বিপ্লবী কবি অতো রেনে কাস্তিলো তার তৃপ্তি কবিতায় লিখেছিলেন– ‘যারা সারাজীবন লড়াই করে গেছেন; তাদের জন্য সবচাইতে সুন্দর জিনিস হল; দিনের শেষে এসে বলা; আমরা বিশ্বাস করি জনতায় ও জীবনে; এবং জীবন ও জনতা আমাদের কখনই হতাশ করে না।’ জীবন ও জানতা আমাদের হতাশ করে নি। জুলাইয়ে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ দীর্ঘদিনের শোষণ, দুর্নীতি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শোষিত মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটার একটা সুযোগ করে দিয়েছিলো। ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার অভাবে ভুগতে থাকা জনগোষ্ঠী যেন আশার বসন্ত দেখতে শুরু করলো। যারা বিশ্বাস করে জীবন ও জনতায়, যারা মনে করে কেবল মাত্র সংগঠিত প্রতিবাদী জনতার উপর ভর করেই এই অন্ধকার সময় পাড়ি দেয়া সম্ভব, তারা যেন প্রাণ খুঁজে পেলো। সকল শোষণ ও ষড়যন্ত্রের জবাব দেবার জন্য রাজপথকেই বেছে নিলো জনগণ। রাজপথ কথা বলতে শুরু করলো ‘লাখো শহীদের রক্তে পাওয়া, দেশটা কারো বাপের না।’ জনতার জয় মানে তো স্বৈরাচারী শাসকের মৃত্যু। মনুষ্যত্ব বর্জিত শোষণের লিপ্সায় মত্ত শাসক কি এতো সহজে হাল ছেড়ে দিবে যখন তার কাছে আছে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র আর বুলেট? রীতিমত নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নেমে পড়লো যুদ্ধে। মুহুর্মুহু গুলি চললো ছাত্র জনতার উপর। রাজপথে নামলো ট্যাঙ্ক সহ আরো কত সাঁজোয়াযান। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ করেছে যে ছাত্র সমাজ তাদেরই অবস্থা হয়েছে যেন ফিলিস্তিনিদের মতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রদের উপর হামলা করে পুলিশ বিজিবি। সমগ্র বিশ্ব থেকে দেশবাসীকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। বহির্বিশ্ব তো দূরের কথা দেশবাসীই জানতে পারছিলো না দেশে কি হচ্ছে। এর পরই আমরা জানতে পারলাম ছাত্র জনতার বিক্ষোভকে দমন করার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের নির্মমতম গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত, তাদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ছাত্র জনতার ক্ষোভের এই তীব্রতা বুঝতে হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটটা অধ্যায়ন করা জরুরি। ১৭ কোটি মানুষের দেশে ৩.২ কোটি তরুণ-তরুণী বেকার। বেকারদের একটা বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা শিক্ষার্থী। অনেকেরই আগ্রহ থাকে উচ্চশিক্ষার অজুহাতে দেশের বাইরে পাড়ি জমানোর। কিন্তু তা কেবল স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের পক্ষেই সম্ভব হয়। আমরা পত্র পত্রিকায় দেখেছি যুবকদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অংশ অবৈধ পথে ইউরোপ পারি দিতে গিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ডুবে জীবন হারাচ্ছে। বেসরকারি চাকরিতে স্থায়িত্বের নিরাপত্তা সহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সর্বত্র নিশ্চিত হয় নি। চাহিদা অনুযায়ী সুযোগও তৈরী হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিকট সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ স্বভাবতই অনেকটা বেশি। কিন্তু স্বাধীনতার এতো বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সরকারি চাকরিতে বরাদ্দ। ২০১৮ সালে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী তীব্র আন্দোলন করে কোটা সংস্কারের জন্য। সরকার তখন সব কোটা বাতিল করে দিলো। কিছুদিন আগে হাইকোর্ট যখন সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিলো তখন কিন্তু হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তও দিয়েছিলো যে সরকার চাইলে কোটা সংস্কার করতে পারে। আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা স্পষ্ট করে বললেন স্বাধীনতার এতো বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা বরাদ্দ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা না, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা হলো সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা। সরকার সহজ পথে হাটলো না, উপরন্তু ছাত্র ছাত্রীদের হাইকোর্ট দেখাতে লাগলো। এমনি পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য যেন ছাত্র আন্দোলনের দাবানলে জ্বালানি সরবরাহ করলো। অনেকে বলছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কিভাবে এরকম দাম্ভিক আচরণ করতে পারে? দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতা দখল করে রাখার ফলে সৃষ্ট অতি আত্মবিশ্বাস এবং জনবিচ্ছিন্নতাই হচ্ছে ছাত্রসমাজের যৌক্তিক আন্দোলন কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করার অন্যতম কারণ। শাসকগোষ্ঠী চিরকালই জনগণকে বিভক্ত করে শাসন করতে পছন্দ করে। কিন্তু স্বাধীনতার এতো বছর পরও ছাত্রসমাজকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি হিসেবে বিভক্ত করার কৌশল ছাত্রসমাজ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে জবাব দিল আমাদের যে রাজাকার বলছো, তুমি কে? তুমি তো স্বৈরাচার? স্বৈরাচারের ভীত যখন ছাত্ররা নাড়িয়ে দিতে চাইলো সে তো তখন মরণ কামড় দিলো। জনগণের টাকায় কেনা বুলেট এবার ছাত্রদের দিকে ছুটে গেলো। ভুললে চলবে না দেশে এখন মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। বিরাজ করছে মাত্রাছাড়া আয়বৈষম্য। দীর্ঘদিন মানুষ সরকার গঠনে তার ভোটাধিকার প্রদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত। সবাই দেখছে তাদের টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু দায়ী ব্যক্তিরা ধরাছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলছে তার বাসার পিওন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমত প্রদানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে জেলে যেতে হয়েছে অথচ বাসার পিওন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলো, টের পায়নি। এসকল নাটক দেখতে দেখতে জনগণ যেন ক্লান্ত। ছাত্ররা যখন রাজপথে নেমে গেলো তখন দীর্ঘদিনের শোষণ বঞ্চনার জবাব দেয়ার একটা সুযোগও যেন জনসাধারণ পেয়ে গেলো। ছাত্রদের অভ্যুত্থানকে ঠেকানোর জন্য সরকার প্রথমে ব্যবহার করলো তার লেজুড় সংগঠন ছাত্রলীগকে। ছাত্র সমাজ ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস ছাড়া শুরু করলো। সরকার শহর গুলোতে বিজিবি মোতায়েন করলো। ছাত্ররা শ্লোগান দিলো ‘সীমান্তে মানুষ মরে বিজিবি কি করে?’ তারপর ছাত্র জনতাকে প্রতিহত করতে নামানো হলো র্যা ব ও আর্মি। হেলিকপ্টার থেকে গুলি, টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলো নিজ দেশের জনগণের উপর । বন্ধ করে দিলো ইন্টারনেট। এখন পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২১১ জন শহীদ হবার তথ্য আমরা পেয়েছি যেখানে ছাত্র ছাড়াও আছে শিশু, গার্মেন্টসের শ্রমিক, রিক্সাচালক, চিকিৎসক, দোকানের কর্মচারী, গৃহিনী থেকে শুরু করে আরো অনেকে। কিছুদিন আগে শ্রীলংকায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ছিল ১০ জন। ১০ টি জীবনের বিনিময়ে সেখানে সরকারের পতন ঘটেছিলো। ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যার মাধ্যমে সরকার গণঅভ্যুত্থানকে ঠেকানোর ষড়যন্ত্রের প্রথম পর্বটি শেষ করেছিল। তারপর শুরু হলো দ্বিতীয় পর্যায়। এতদিন সরকার যেই হাইকোর্ট দেখাচ্ছিলো ছাত্রসমাজকে, সেই কোর্ট এবার তড়িঘড়ি করে বসে ছাত্রসমাজের পক্ষে রায় দিলো। অনেকে মন্তব্য করলো ‘ঠেলার নাম বাবাজি’। এতগুলো ছাত্র হত্যার পর সরকার বললো ছাত্রদের সাথে কোনো বিরোধ নেই তাদের, সকল দাবি পর্যায়ক্রমে মেনে নেয়া হবে। অপরদিকে সকল নাশকতার জন্য দায়ী করলো বিরোধী শক্তিকে। ছাত্রদের থেকে জনতাকে বিচ্ছিন্ন করার এটা একটা কৌশলের অংশ। আমরা জানি পরবর্তীতে এই ছাত্রদেরকেই আবার তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানো হবে। তবে সাধারণ মানুষ সরকারের আর কোনো কথাই বিশ্বাস করতে চায় না। যারা দিনের ভোট আগের রাতে করে ফেলে, যারা ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে বলে সার্ভার পুড়ে গেছে তাদের কথা সাধারণ মানুষ কেন বিশ্বাস করবে? এদিকে চট্টগ্রামে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে শ্রমিকলীগ নেতা। তাই জনমনে সন্দেহ জাগে রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোতে কারা ধ্বংসযজ্ঞ চালালো, যা সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কাছে দুই শতাধিক জীবনের চাইতে মূল্যবান? গত দশ দিনে ১০ হাজারের মতো ছাত্র জনতাকে গ্রেফতারের খবর আমরা পেয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় আটক করে ঘুষ নেবার অভিযোগ এসেছে পুলিশ এর বিরুদ্ধে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আটক করে তাদের দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করার বিবৃতিও আমরা দেখেছি। তার পরদিনই এতো দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে ছাত্ররা আবার রাজপথে নেমে এসেছে। ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপনের পর আমরা জানতে পারি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা সরকারের এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। পাশের দেশেও ছাত্ররা স্লোগান দিয়েছে ‘মোদির পোষা হাসিনা, তোমায় ভালোবাসি না।’ আমরা মনে করি প্রতিটা হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রজনতার এই আন্দোলন শেষ হবে না, তা সে যতই সময় লাগুক না কেন। ছাত্রজনতার এই অভ্যুত্থান বৈশিষ্ট্য ও প্রেক্ষাপটের দিকদিয়ে তার কিছু নিজস্বতা তো ছিলই। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে এই আন্দোলন গড়ে উঠে নি। কিন্তু রাজনৈতিক দল গুলোর সমর্থন তো ছিলই। সিপিবিসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের অনেক কর্মী সমর্থকরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। শহীদ হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগরের নেতা মাহমুদুল হাসান রিজভি। আরো অনেকে গুলি খেয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকটা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই জনগণের ক্ষোভ কে বিক্ষোভে রূপদান করেছিল এই অভ্যুত্থান। জনতার শক্তিমত্তা সম্পর্কে একটি ধারণা শাসক গোষ্ঠীর নিকটও পৌঁছেছে যার জন্য সে প্রস্তুত ছিল না। স্বভাবতই অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে আগামী কিছুদিন জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন বেড়ে যাবে। এতকিছুর পরও পৃথিবীর যেসকল রাষ্ট্র লগ্নি পুঁজি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং যে সকল রাষ্ট্র বিভিন্ন ভাবে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের কাছে থেকে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে সেই সকল রাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করবে না। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির দাপটের এই যুগে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জনবিচ্ছিন্ন সরকার আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের খামখেয়ালিপনাকে সন্তুষ্ট করা এবং অন্যদিকে জনগণের ইচ্ছার প্রতি মর্যাদা দান এক সাথে করতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ আমরা দেখলাম সরকার আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ নেবার পর তাদের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে কিভাবে সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন কে দুর্বিষহ করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক পুঁজির আবর্তে আটকে পড়ে সরকারের একমাত্র চিন্তা থাকে কিভাবে আন্তর্জাতিক ফটকাবাজদের আস্থা অর্জন করা যায়। এই উদ্দেশ্যে সরকার ভর্তুকি কমিয়ে দেয়। অর্থনৈতিক কাজকর্ম ছাটাই করে এবং শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করে। করোনাকালে আমরা দেখেছি কিভাবে পাট ও চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হলো। যার ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হবার বদলে কমে যাচ্ছে। অপরদিকে সরকার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের তৈরি করো। অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড়াতে পারলেও বহু তরুণ উদ্যোক্তা হতে গিয়ে পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। সরকার তার শূন্য পদগুলোতেও যদি নিয়োগ দিতো তাহলে অনেক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হতো। অথচ জাতীয় স্বার্থ কে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, পুরাতন শিল্পগুলো পানির দরে বেসরকারিকরণ না করে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব ছিল। সেই ক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে এতো অনিশ্চয়তায় ভুগতো না। জীবন ও জনতার প্রতি আস্থাশীল বিপ্লবী কবি অতো রেনে কাস্তিলোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল গুয়াতেমালার ফ্যাসিবাদী সরকার কিন্তু তার সংগ্রামকে পোড়ানো যায় নি। অভ্যুত্থান ও গণহত্যা পরবর্তী বাংলাদেশ হয়তো আর কোনোদিন অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী বাংলাদেশের মতো হবে না। ওরা বাগানের শ্রেষ্ঠ ফুলগুলোকে ছিড়ে ফেললেও বসন্তের আগমনকে প্রতিহত করার ক্ষমতা ওদের নেই। শত নির্যাতনের স্বীকার হবার পরও ছাত্ররা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রতিটা হত্যার বিচার তারা নিশ্চিত করবেই। লেখক : সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..