ভারতজুড়ে বন্যা ও ভূমিধস মৃত্যু তিন শতাধিক

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

একতা বিদেশ ডেস্ক : মেঘভাঙা বৃষ্টি, প্লাবন, ভূমিধস ও মৃত্যুর মিছিলে গোটা ভারত বিপর্যস্ত। দক্ষিণ থেকে উত্তর, পশ্চিম থেকে পূর্ব, সর্বত্র এক ছবি। দিনকয়েক আগে দাক্ষিণাত্যের ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ কেরালায় যা শুরু হয়েছিল, তার রেশ ধরে এখন জেরবার উত্তরের দুই পাহাড়ি রাজ্য উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশ, রাজধানী রাজ্য দিল্লি, মরুরাজ্য রাজস্থান ও গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল। কেরালার ওয়েনাড, যেখান থেকে রাহুল গান্ধী লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন, কয়েক দিন ধরেই খবরে। প্লাবন ও ভূমিধসে সেখানে ঠিক কতজন মারা গেছেন, এখনো সেই হিসাব সরকারের কাছে নেই। উদ্ধারকারী দল প্রায় ৩০০ মরদেহ খুঁজে পেয়েছে। বড় বড় পাথরের নিচে এখনো কত মরদেহ আটকে আছে, কেউ জানে না। আহত মানুষের সংখ্যা দুই শতাধিক। নিখোঁজ আড়াই শ। নিঃস্ব হয়েছেন আরও তিন শতাধিক। তাঁদের পুনর্বাসনের চিন্তা এই মুহূর্তে কেরালার বামপন্থী সরকারের মাথাব্যথা। পাহাড়ভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে ওয়েনাডের মুন্ডাক্কাই, চূড়ালমালা, নুলপুঝা ও আত্তামালা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ‘ইসরো’ থেকে প্রচারিত এক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, ধস নেমেছিল ৮৬ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে। সেই ধস ও বৃষ্টির তোড়ে ভেসে যাওয়া গাছপালা, পাথর, কাদামাটির তলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ওই চার গ্রাম। আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই ধ্বংসলীলা থামে এক নদীতে। প্রায় সাত দিন ধরে সেখানে যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিপর্যয়রোধ বাহিনী (এনডিআরএফ), নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা। অবিরাম বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার দরুন উদ্ধারকাজ বারবার ব্যাহত হলেও পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আনা সম্ভব হয়েছে। এ অবস্থায় কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা উপদ্রুত এলাকা ঘোরেন। উদ্ধারকারী দলকে উৎসাহ দেন। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় পাওয়া মানুষের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেন। এই বিপর্যয়কে তাঁরা জাতীয় বিপর্যয় বর্ণনা করে বলেন, কেন্দ্রের উচিত রাজ্য সরকারকে সর্বাত্বকভাবে সহায়তা করা।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..