কোটা আন্দোলন, এতো মৃত্যু, দায় কার?

এ এন রাশেদা

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
২০১৮ সালের মীমাংসিত কোটা প্রথা ২০২৪ সালে আবার সরব হয়ে উঠল। কারণ, সবার জানা। তবে ২০১৮ সালে কীভাবে শেষ হয়েছিল তা স্মরণ করা যাক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন– ‘কোটা নিয়ে যখন এতো কথা, তাই কোটা রাখবোই না।’ এই কথা যে উনি রাগতস্বরে বলেছিলেন তা দেশবাসী দেখেছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী যেমন রাগ করে শপথ ভঙ্গ করেছেন, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই’ বলে অজ্ঞতার পরিচয়ও দিয়েছেন এবং তা সুপ্রিম কোর্টের রায়েই প্রমাণ হলো– কোটা বিরোধী আন্দোলনের যৌক্তিকতা ছিলো। আপনার সুরে সুর মিলিয়ে আপনার সকল মন্ত্রী, এমপি টেলিভিশনের টকশো’তে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন ‘হাইকোর্টের রায় হয়েছে, সরকারের কিছু করার নেই, ৭ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে’– সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য। শিক্ষার্থীরা বারবারই বলেছে তারা সরকারের কাছেই এর সুরাহা চায় নির্বাহী আদেশে, অর্থাৎ হাইকোর্টের দরকার নেই। অথচ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ‘আমার ছাত্রলীগ কর্মীরাই যথেষ্ট’ বলে ‘দায়িত্বশীল’ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ যে এ কাজে পারদর্শী তা কে না জানে? সারা বাংলাদেশব্যাপী সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হল হোস্টেলে যে ব্যাপক অত্যাচার, নির্যাতন করে চলেছে ছাত্রলীগ, তা তো কারও অজানা না। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাকান্ড কী ছাত্রলীগ ঘটায়নি? ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও বিভিন্ন কলেজসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রী হলসমূহে ছাত্রলীগের তা-বের কাহিনী কি পত্রপত্রিকায় আসে না? ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি এবং আওয়ামী লীগের পাহাড়, পর্বত, নদী-নালা দখল, বালু উত্তোলন, গাছ কাটা, নদী ভরাট করে পরিবেশ ধ্বংসসহ সকল ব্যবসা বাণিজ্য দখল, চাঁদাবাজি, ব্যাংক লুট, ঘুস বাণিজ্য, নানাবিধ অপকর্ম যে দেশের জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া করেছে–তা বুঝতেও তো পিএইচডি ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না। বলা হয় ‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ’, অথচ চাল, ডাল, তেল, চিনির মত দ্রব্য যা দেশেই উৎপাদন হওয়ার কথা ছিল তা আমদানিনির্ভর করা হচ্ছে– ওই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বাণিজ্যিক লেনদেনের স্বার্থেই– এতে কারও সন্দেহ নেই। ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের অমানবিক, অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ প্রায় প্রতিদিন পত্রিকার শিরোনাম হয়। গত ৪ অক্টোবর ২০২৩ দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল– ‘কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হলে চলছে ছাত্রলীগের শাসন। ১১টি উপগ্রুপের ১৭ নেতার দখলে রয়েছে ১ হাজার ৮০টি কক্ষের সব। ২৮ হাজার শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলছে তাদের দাপট’–ইত্যদি। আর ২৪ অক্টোবর ২০২৩ দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অবৈধভাবে অবস্থান করছে। রুম জবরদখল ও অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে হলগুলোতে।’ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ দৈনিক সমকালের রিপোর্ট–‘আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশ্রয়ে বেপরোয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। হল দখল, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, সাংবাদিক লাঞ্ছনার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।’ ১৩ মে ২০২৪ সমকাল-এ প্রকাশিত হয়েছে–‘হলের গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে রাতভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।’ অন্য কেউ নেই তাই নিজেদের মধ্যেই এই সংঘর্ষ– এই হলো সারাদেশে ছাত্রলীগের চেহারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও একই চেহারায় ছাত্রলীগ দেদীপ্যমান। এতোদিন অত্যাচারিত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবার গেটে নোটিশ দিয়েছিল ‘ছাত্রলীগের হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ’। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হল থেকে নেতাদের বালিশ তোষক শিক্ষার্থীরা নিচে ফেলে দিয়েছে। অমনি পুলিশ ও ছাত্রলীগ দিয়ে রাতে ব্ল্যাক আউট করে পাকিস্তানী মিলিটারি কায়দায় শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও আসতে দেওয়া হয় নাই। ১৭ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদসহ দেশব্যাপী বহু শিক্ষার্থীর রক্তের দাগ না শুকাতেই ২২ জুলাই আহ্বান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরার। অথচ দেশব্যাপী সকল সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী সবাই ধর্মঘটে। এ এক আজব দেশের আজব রাজনৈতিক দল, আজব শাসক দল। যার বিন্দুমাত্র নেই বিবেক, নেই আদর্শ, নেই কর্মীদের নৈতিকতাবোধে উদ্বুদ্ধ করার কোনো সিলেবাস। এতো গেল ছাত্রলীগ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সরকার কী বলছে এবং কী করছে তার ২/১টি নমুনা দেয়া যাক। ২ জুলাই দৈনিক সমকাল হেড নিউজ করেছে– ‘নিয়ম না মেনে চার গ্রুপের ৬৪৯৭ কোটির সুদ মাফ : দেশের চার ব্যবসায়ী গ্রুপকে নিয়ম লঙ্ঘন করে বড় অংকের সুদ মওকুফ সুবিধা দিয়েছে দুটি ব্যাংক। এস আলম, নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স গ্রুপকে এ সুবিধা দেওয়া হয়। এসব গ্রুপের ১৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংক– নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স গ্রুপকে ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে। আর বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের ৩ হাজার ৬১৮ কোটি স্থিতির বিপরীতে ২ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়েছে। ব্যাংক খাতে গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। আবার আর এক খবরে দেখা যাচ্ছে– চাহিদা না থাকার পরও বারবার রেন্টাল কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে এবং সরকার পছন্দের ব্যবসায়ীদের বিনা টেন্ডারে বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছে। আবার বারবার চুক্তির মেয়াদও বৃদ্ধি করে দিচ্ছে? আওয়ামী লীগ দ্বারা সম্পাদিত এমন হাজার হাজার দেশের স্বার্থবিরোধী খবর দেওয়া যায়– যা বিভিন্ন দৈনিকেই প্রকাশিত হচ্ছে। আবার এই দুঃসময়ের মধ্যেই ২৪ জুলাই প্রথম আলোর রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে– ‘চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিতে ৪ লাখ টাকা চুক্তি, শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার’। এখন আসা যাক, কোটা সংস্কার নিয়ে এত জল ঘোলা করার পর সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দিলেন? বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের রায় সবার জানা– যা দেওয়া হয়েছে ২১ জুলাই। রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট সরকারের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়ে বললেন– ‘৯৩% মেধার ভিত্তিতে, ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আর বাকি ১% তৃতীয় লিঙ্গ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’ তাহলে সরকার তাদের নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা বুঝে নিতে পারছিল না কেন? সুপ্রিম কোর্টের রায় ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার’– অথচ এই সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরও আইনমন্ত্রী বললেন– ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর আমরা দাড়ি, কমা, সেমিকোলন কোনো কিছুর ওপর হাত দিতে পারি না, দেই নাই।’ অথচ সুপ্রিম কোর্ট সে অধিকার তো দিয়েই দিয়েছে। এসব নানা প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের বক্তব্য শোনা যাক– যিনি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক আমন্ত্রিত ছিলেন। তিনি বলছেন, ‘আমাদের সংবিধানে অনগ্রসর গোষ্ঠীর কথা বলা আছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কোনোক্রমেই অনগ্রসর গোষ্ঠী হতে পারে না। যারা সংবিধান প্রণয়ন করেছেন, তারা এটা জানতেন। সেজন্য তাদের বিষয়টি সেভাবে সুনির্দিষ্ট করে আমাদের সংবিধানে নেই। আমাদের সংবিধান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সনদগুলোর আলোকেই বিষয়টি বুঝতে হবে।’ অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কেন করা হয়? এটা করা হয় স্বল্প মেয়াদে সবার অবস্থানে সাম্য আনতে। এটি অনন্তকালের জন্য নয়। কিন্তু আমরা দেখলাম, কোটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে বংশ পরম্পরার জন্য। এটি সংবিধানসম্মত না, বরং অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যে প্রস্তাব সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০% দেওয়া হচ্ছিল, তা আমাদের রিপাবলিকান ক্যারেক্টারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমাদের রাষ্ট্র জনগণতান্ত্রিক। এ রাষ্ট্রে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকার কথা।’ ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর আরো বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় বক্তব্য ছিল, হাইকোর্টে যারা এসেছিলেন তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম। তারা এসেছিলেন রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যাটাগরিতে। আমার জানামতে বাংলাদেশে এই ক্যাটাগরিতে কোনো রিট পিটিশন বা মামলা চলে না। এটা আমেরিকাতে হয়। আমাদের এখানে জনস্বার্থে মামলা হয়। এখানে প্রশ্ন উঠে, তারা প্রতিনিধিত্ব করছে কার?– এখনও যাদের জন্ম হয়নি তাদের পক্ষে কি তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন? এ ধরনের রিট করার সুযোগ তাদের নেই। অর্থাৎ হাইকোর্টে তাদের মামলা চলার কথা না।’ তাহলে তো প্রশ্ন করতেই হয় এই মামলা হাইকোর্টে চলল কীভাবে? এভাবেই কি বাঙ্গালকে হাইকোর্ট দেখানো হলো? তাহলে এই আন্দোলনকে এতদিন চলতে দেওয়ার মানে কী ছিল? চীন সফরে যাওয়ার আগে আবারও অহংকার করে ‘আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই’ বলে প্রশ্ন তোলা হলো কেন? সবই সংবিধান বর্ণিত শপথের লংঘন। যেমন সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির ২০(১) ধারায় বলা হয়েছে; ‘কর্ম হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয় এবং ‘প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেকের কর্মানুযায়ী’– এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন।’ সংবিধান যেখানে অধিকার দিয়েছে সেখানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অর্থনীতিবিদরা এই আন্দোলনকে কীভাবে দেখছেন? প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মঈনুল ইসলামের বক্তব্য শোনা যাক, তিনি বলছেন : ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে জনসাধারণের সম্পৃক্ততার নেপথ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতির অভূতপূর্ব বিস্তৃতি, আয় বৈষম্য বৃদ্ধিও কাজ করেছে। নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিয়ে স্বল্প মেয়াদে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ক্ষতিও হয়তো দীর্ঘ মেয়াদে সামাল দেওয়া যাবে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি ও আয় বৈষম্য কমাতে না পারলে কোনো একটি উপলক্ষে মানুষের মধ্যে বিস্ফোরণের আশঙ্কা সবসময় থেকেই যাবে।’ গত ১৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত শত শত মৃত্যু। এক হিসাবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ২০৩ জন নিহত এবং লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার যে সম্পদ ধ্বংস হয়েছে তার দায় কি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে না? ৫২ বছরে দেশকে আজ যেখানে নেয়ার কথা ছিল মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন বিবেকবান সাক্ষর জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার, যে অঙ্গীকার ছিল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ষোষণা– মুক্ত সমাজ গড়ার কথা ছিল সংবিধানে চার মূলনীতি ঘোষিত– তার বাস্তবায়ন দরকার। দরকার অর্থনৈতিক মুক্তি। পথশিশু, কিশোর গ্যাংতো থাকার কথা না। সেই সমাজ গড়তে না পারার দায় কার, কাদের? বলা যায় না কি ‘তোমার আমার সকলের’। লেখক : শিক্ষাবিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিপিবি

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..