ঘোলাজলে মাছ শিকারের খেলা নাতো!

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : গেল দিন দশেক ধরে বৈষম্যমূলক কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে এক তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল। যার রেশ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কোথাও কারফিউ শিথিল তো কোথাও কারফিউ জারি আছে। এই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে আগুন, ভাঙচুর হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ আর কতিপয় মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ, যথারীতি আগুন সন্ত্রাস হয়েছে। কিন্তু কোটাবিরোধী ছাত্ররা জোর দিয়ে দাবি করেছে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছাত্ররা নেই। তবে কারা এই সংঘাত সংঘর্ষে জড়ালো? সরকার বলছে ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামাত-শিবির ও বিএনপি এই নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিছে। কিন্তু কারা যে আসলে এই ঘোলা জলে মাছ শিকারে নেমেছে, তার হদিস কিন্তু রাষ্ট্র এখনও সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার করতে পারেনি। তারা এতো এতো তাণ্ডব চালিয়ে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে কি একটা কিছু ঢাকা দিতেই আরেকটা কিছুর জন্ম হয়েছিল! এটা আমজনতার ধারণা। তবে আমজনতার ধারণা দিয়েতো আর রাষ্ট্রের কাজ চলে না। আবার তাদের ধারণাকে অমূলক বলেও ফেলে দেওয়া যায় না। কারণ আমাদের দেশে একটা ইস্যু আসে, আবার আরেক ইস্যুতে সবকিছু ঢাকা পড়ে যায়। এবারো যে এমনটি হয়নি তা কিন্তু করে বলা যাচ্ছে না। পোশাক কারখানার অস্থিরতা, বেনজির কাণ্ড, মতিউর কাণ্ডে যখন দেশ টালমাতাল। তখনে ছাত্রদের অহিংস কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিং হয়ে উঠে দেশ। শুরু হয় জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি। দেশকে স্তব্ধ করে দেওয়ার পাঁয়তারা। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এর থেকে মুক্তি চায়। সাধারণ একজন মজুর একবেলা কাজ না পেলে একবেলা খেতে পায় না। একজন রিকশাওয়ালা একবেলা রিকশা না চালালে একবেলা খেতে পায় না। তাই আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ হাঙ্গামা চায় না। তারা চায় শান্তি। তারা রাজনীতির প্যাচ গোচ বুজে না। তারা চায় শান্ত, সুন্দর মাতৃভূমি।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..