শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে কারখানা চালুর দাবি

ন্যাশনাল কেমিক্যাল এবং এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লি.

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)’র সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান গত ২৯ জুন সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে গাজীপুরে অবস্থিত বিএনএস গ্রুপের দুটি কারখানা ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং কোং লি. এবং এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর শ্রমিকদের যথাক্রমে পাঁচ মাস ও তিন মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধসহ কারখানা চালুর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন গত ঈদুল ফিতরের ছুটির পর কারখানা দুইটির শ্রমিক কর্মচারীরা যথারীতি কাজে যোগদান করতে আসলে কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় শ্রমিক, শিল্প ও জাতীয় স্বার্থে অতিসত্বর বুভুক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। অপর এক বিবৃতিতে, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব মান্নান, যুগ্ম সমন্বয়ক জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নঈমুল আহসান জুয়েল, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘের সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ জাফর, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খানসহ স্কপ নেতৃবৃন্দ গাজীপুরে অবস্থিত বিএনএস গ্রুপের দুটি কারখানা ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফেকচারিং কোং লি. এবং এবিকো ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর আন্দোলনরত শ্রমিকদের যথাক্রমে পাঁচ মাস ও তিন মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধসহ কারখানা চালুর দাবি জানান। গত ৩ জুলাই সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ঈদুল ফিতরের ছুটির পর শ্রমিক কর্মচারীরা যথারীতি কাজে যোগদান করতে কারখানায় গেলে তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কেননা কারখানা বেআইনিভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তখন থেকে অদ্যাবধি মালিক কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে, আইনানুগ পাওনা ও বকেয়া মজুরি না দিয়ে শ্রমিকদের জীবনকে চরম সংকটাপন্ন করে তুলেছে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ ও মালিক বরাবর আইনানুগভাবে ইতোমধ্যেই আবেদন করে কারখানা চালু ও বকেয়া বেতন পরিশোধের অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় কেউই বিষয়টি সমাধান করেনি। শ্রমিকদেরকে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অনেক শ্রমিক পরিবারকে বাড়ীওয়ালা বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থে অতি সত্বর বুভুক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য জোর দাবি জানিয়ে স্কপ নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরও বলেন, মালিক দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে না। অথচ এই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের যে সকল সংস্থার তারা যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করছে না, যা নিন্দনীয়। ট্রেড ইউনিয়ন ধ্বংসের উদ্দেশ্য থেকে সংগঠিত এই আচরণ অসৎ শ্রম আচরণ বা এন্ট্রি ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশন হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং উক্ত সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের দাবি জানান।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..