অ্যাসাঞ্জ এবং পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের খপ্পড় থেকে তথ্যের মুক্তি

প্রবীর পুরকায়স্থ

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

মুক্ত জুলিয়ান। ৫২ বছরের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। উইকিলিক্স প্রতিষ্ঠাতা। আমেরিকার ‘গোপন তথ্য ফাঁস’ করায় হতে পারত ১৭৫ বছর জেল! দীর্ঘ চৌদ্দ বছর আইনি লড়াই শেষে আইনি যুদ্ধের অবসান। দোষ কবুল করে জেল থেকে মুক্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক ‘কালো দিন’। মার্কিন প্রশাসন জুলিয়ানকে দিয়ে সেই অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য করিয়েছে, যে-অপরাধ তিনি করেননি। আর আমেরিকা এভাবে নিজেই নিজেকে নিন্দা করেছে, যে-ভূখণ্ডে সত্য বলা এক অপরাধ! ‘তথ্য চায় মুক্ত হতে’, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দিবসে জুলিয়ানকে মনে করে এ শিরোনামে লিখেছিলেন লেখক। তখনও সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউএপিএ (আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট) আইনে একতরফাভাবে গ্রেপ্তার হননি ‘নিউজক্লিক’-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রধান সম্পাদক প্রবীর। এখন মুক্ত। সেই লেখাটিই প্রকাশ করা হলো। মে মাসের তিন তারিখ বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সংবাদ সংস্থাগুলির কাজ হল ক্ষমতার সামনে সত্যকে উপস্থিত করা। চমস্কি যেমন বলেছিলেন, শাসকশ্রেণি ও সরকারের সম্মতি নির্মাণ করা তার কাজ নয়। সেই কাজ করতে গিয়ে, আমি দু’জন মানুষকে স্মরণ করতে চাই, যাঁরা সত্যকে উত্থাপন করার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ তুলে ধরেছেন, পেন্টাগন পেপার ফেমে’র ড্যানিয়েল এলসবার্গ আর উইকিলিকসের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, সেইসঙ্গে, চেলসি ম্যানিং, যিনি না-থাকলে আমেরিকা, শুধু ইরাক এবং আফগানিস্তানে নয়, সারা বিশ্বজুড়ে কী করছে তার প্রমাণ আমরা পেতাম না। আজকের সময় এবং বিশ্বে আমাদের জীবন ও কাজকর্মের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারি অবিশ্বাস্য রকমভাবে বেড়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে এনএসএ-র প্রিজম এবং এনেসো-র পেগাসাসের কথা বলা চলে, কিন্তু এর সঙ্গে খবর প্রকাশ হওয়াও বেড়ে গেছে। এলসবার্গের পেন্টাগন পেপারস্ ছিল ৭০০০ পৃষ্ঠার, তিনি হাতে লিখে নিয়েছিলেন গোটাটাই! (ড্যানিয়েল এলসবার্গ, দ্য ডুমস ডে মেশিন: কনফেশনস অফ আ নিউক্লিয়ার ওয়ার প্ল্যানার) ম্যানিংয়ের ‘পেপার্স’, যেটা অ্যাসাঞ্জ প্রকাশ করেন, এবং করতে গিয়ে আমেরিকা সরকারের বিরাগভাজন হন, সেটা ছিল ৭৫০,০০০ টি নথিপত্র। (ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের তথ্যাবলী আর মার্কিন কূটনৈতিক কেবলস্) ম্যানিং নিজের কম্পিউটার ব্যবহার করে এই বিশাল পরিমাণ তথ্য কপি করে নেন। আর, এলসবার্গের কাছে ছিল মার্কিন সরকারের নিরাপত্তার কবল থেকে বার করে আনা সর্বাধিক তথ্য। ম্যানিং সেনাবাহিনীর বেশ নীচু পদেই ছিলেন, কর্পোরাল। আর, অ্যাসাঞ্জ আমাদের যুগের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক চিহ্নিত করেছেন: যে ডিজিটাল বিপ্লবের মানে হল তথ্যের চরম কেন্দ্রীভবন, আবার চাইলেই প্রকাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। ১৯৮৪-র একটা সম্মেলনে, একজন লেখক, স্টুয়ার্ট ব্র্যান্ড, অ্যাপেল কোম্পানির সহ নির্মাতাদের একজন, স্টিভ ওজনিকের সাথে কথোপকথনের সময় ডিজিটাল সময়ের এই দ্বিমুখী দিকটি আলোচনা করেছিলেন– একদিকে চরম কেন্দ্রীভবন যা শাসকদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে প্রতিলিপি তৈরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং শাসকদের থেকে তথ্যের মুক্তি। এজন্যই অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকস গড়ে তোলেন– যাদের কাছে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে, যাতে তারা সরকারি সুরক্ষাবলয় পেরিয়ে উইকিলিকসের মাধ্যমে জনতার কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। লক্ষ করার বিষয় যে দু-পক্ষই ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষমতা ব্যবহার করছে প্রতিলিপি প্রকাশের জন্য, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য একেবারে আলাদা। ১৯৭১ সালে, পঞ্চাশ বছরের কিছু আগে, ড্যানিয়েল এলসবার্গ মার্কিন সামরিক বিভাগে করা একটি গবেষণা প্রকাশ করেছিলেন– সেটাই পেন্টাগন পেপারস্– ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিষয়ে এই গবেষণা নিউইয়র্ক টাইমস এবং অন্যান্য আরো সংবাদ সংস্থা প্রকাশ করে। এসময় আমেরিকায় ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন ফুটছিল, আমাদের প্রজন্মকে এই আন্দোলন ভাসিয়ে নিয়ে যায় আর এলসবার্গ আমাদের চোখে হয়ে উঠেছিলেন বিপ্লবী। সেই মতো আমরাও অনেকেই আমেরিকার বিরুদ্ধে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। ভিয়েতনাম যুদ্ধ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অসারতা প্রমাণ করে দিয়েছিল, আর জন্ম নিয়েছিল একটা বিপ্লবী-প্রজন্ম, যার গর্বিত নেতা ছিলেন ড্যানিয়েল। পেন্টাগন পেপারস্ এটা প্রমাণ করে দেয় যে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ইতোমধ্যেই হাতের বাইরে চলে যাওয়া একটা ঘটনা, এ-ব্যাখ্যাও দেয় যে কেন ভিয়েতনাম নগো দিনজ দিমের নয়া-ঔপনিবেশিক পুতুল সরকারকে পরাজিত করতে পারে। আর দক্ষিণ ভিয়েতনামের এই সরকার ছিল আমেরিকার মদতপুষ্ট। যদিও গবেষণা ১৯৬৮ সালেই বলে দেয় যে আমেরিকা এ-যুদ্ধ জিততে পারবে না, তবুও আমেরিকা মাটি এবং আকাশে যুদ্ধ চালিয়ে যায় ভিয়েতনাম মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ চলতে থাকে উত্তর ভিয়েতনাম থেকে কাম্বোডিয়ায়। এলসবার্গ বিশ্বাস করতেন যদি আমেরিকার জনগণ সত্যি কথাগুলো জানতে পারেন তাহলে তাঁরা যুদ্ধ থামাতে সাহায্য করবেন। সেকারণেই তিনি পেন্টাগন পেপারস্ সংবাদমাধ্যমকে প্রকাশ করে দেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল ভিয়েতনাম-যুদ্ধ বিষয়ে আমেরিকার অধিবাসীদের বিশেষভাবে অবহিত থাকা উচিত, কারণ যুদ্ধটি তাদের নাম করেই লড়া হচ্ছে। পেন্টাগন পেপারস্ যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনকে সাহায্য করলেও, যুদ্ধ থামেনি। চলেছিল আরও চার বছর ১৯৭৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত– যতক্ষণ না সায়গনের দখল ভিয়েতনামী মুক্তিযোদ্ধারা নিতে পারে। আমেরিকার লজ্জাজনক হার, মার্কিন দূতাবাসের ছাদ থেকে হেলিকপ্টারে পলায়ন, এসব ছবি যা আমরা কাবুলে (আফগানিস্তানে) যা দেখেছি তার খুবই কাছাকাছি। ইরাক যুদ্ধের সময়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে তথ্যের পৃথিবী বদলে গেছে। তথ্য আর কাগজে থাকে না। প্রতিলিপিও কাগজে হয় না। ডিজিটাল তথ্য মানে বিপুল তথ্য জোগাড় করা, সঞ্চিত রাখা, এবং যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা: তথ্যের শারীরিক গতিময়তার বৈচিত্র্য এবং তথ্য যুদ্ধ- দু’দিকই। মার্কিনীদের পূর্ণ ক্ষমতা, তথ্য, টাকা, যুদ্ধের যন্ত্র- সবমিলিয়ে যা নির্মিত হয়েছে তা হল নজরদারির রাষ্ট্র। শুধু মানুষের জীবনের প্রতিটি ব্যাপারে তাদের খবরদারি নয়, পাশাপাশি নতুন সত্যির অদৃশ্য হাত লম্বা হয়েছে। এই তথ্য যুদ্ধ কিন্তু এলসবার্গের পেন্টাগন পেপারস্-এর প্রতিলিপি বানানোর চাইতে অনেকটাই আলাদা। অ্যাসাঞ্জ এই পৃথিবীকে দেখেছিলেন এবং বুঝেছিলেন। এলসবার্গ যদি ক্ষমতার দুনিয়াকে বুঝে থাকেন, অ্যাসাঞ্জ বুঝেছেন তথ্যের পরিবর্তনশীল চরিত্র, কীভাবে প্রতিনিয়ত সরকার কর্তৃক তা তৈরি হয়, জমা রাখা হয়, এবং স্থানান্তরিত হয়। প্রযুক্তি প্রায় বিনা খরচে প্রতিলিপি তৈরি করতে দেয় এবং তথ্যের যাতায়াত একে করে তোলে অসুরক্ষিত, জনতার সামনে উন্মোচিত। এবার কয়েকটা সংখ্যার দিকে তাকানো যাক। এলসবার্গের আমলে কয়েকশো, খুব বেশি হলে হাজারখানেক লোক পেন্টাগন পেপারস্ পেয়েছিল, এবং এলসবার্গের মতো হাতে লিখে প্রতিলিপি বানিয়েছিল। জিএস-১৮ স্তরের নিরাপত্তা তাঁর ছিল, মানে যদি কোনো সিভিলিয়ানকে মেজর জেনারেল এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেলের মাঝামাঝি স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। চেলসি ম্যানিং ছিলেন বিশেষজ্ঞ, মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্পোরাল স্তরের পদ। প্রযুক্তির পরিবর্তনশীল চরিত্রের জন্যই, একজন বিশেষজ্ঞ ইরাক এবং আফগানিস্তানে লড়তে পেরেছিলেন। বিশ্বের তথ্য কাঠামোর খুঁটিনাটি চালু অবস্থায় রাখতে গেলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দরকার। পদ তাদের নিচু হতে পারে, কিন্তু বিশাল সেনাবাহিনীর ও কূটনৈতিক বিভাগের জাল, যা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন- সেই তথ্যের কাছাকাছি থাকার সুবাদে সমস্ত কিছুই তাদের হাতের নাগালে থাকে। তথ্যের প্রতিলিপি বানানোর জন্য কম্পিউটারও খুবই কার্যকর যন্ত্র। তাছাড়া সে-সব ডিস্কে আজকাল আমরা তথ্য প্রতিলিপি রাখি, সেগুলো শত শত হাজার হাজার পৃষ্ঠা জমিয়ে রাখতে পারে। অ্যাসাঞ্জ এবং উইকিলিকসই জনগণের সামনে ম্যানিং’য়ের তথ্য উপস্থাপন করেন। সেজন্য তিনি এবং ম্যানিং- গ্রেপ্তার হন, জেলে যান, তাঁদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, কিন্তু তবুও উইকিলিকসের তথ্য আমরা দেখতে বা ব্যবহার করতে পারি। এমনকি এখনও। বাগদাদে কোল্যাটারাল হত্যার ভিডিও, যা উইকিলিকস সামনে এনেছিল, তা সারা বিশ্বজুড়ে মানুষ দেখছেন, তাঁরা বুঝছেন যে আমেরিকা মিথ্যা বলছিল এবং যুদ্ধাপরাধকে আড়াল করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা তারা নিয়েছে। উইকিলিকসের কূটনৈতিক তার টিউনিশিয়ার জনগণকে বেন আলি পরিবারের স্বভাবচুরির শাসন সম্বন্ধে জানিয়েছে, শুরু করেছে তাই যাকে পরে বলা হবে আরবি বসন্ত। চাগো দ্বীপের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক আদালতের লড়াই, কারণ তাদের ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা বেআইনি ভাবে তাড়িয়ে দিয়েছে দিয়েগো গার্সিয়ায় মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটি তৈরির জন্য তা-ও অনেকাংশে উইকিলিকসের তথ্যের উপরেই নির্ভরশীল ছিল। খুবই কম তথ্য প্রতিবাদী জনগণের হাতে আছে, কিন্তু আমাদের স্মৃতি থেকে কিংবা ইন্টারনেট থেকে তা মোছা যাবে না। তাই, নজরদারির রাষ্ট্র যেমন আমাদের জীবনের প্রতিটি কোণে জবরদস্তিমূলকভাবে অনুপ্রবেশ করেছে, নজরদারি রাষ্ট্রের মনবৈকল্যপূর্ণ প্রয়োজনমাফিক তথ্য সঞ্চয় করে রাখা ও ব্যবহার করা সেভাবেই রাষ্ট্রকে করে তুলেছে ভেদযোগ্য ও ভঙ্গুর। ভঙ্গুরতার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল ২১ বছর বয়সী এয়ার ন্যাশনাল গার্ড, জ্যাক টেইস্কেইরা, পেন্টাগন ও সিআইএ’র ইউক্রেন বিষয়ক খুবই গোপন তথ্যাবলির সন্ধান পেয়েছে। সে এসব তথ্য গোপন গেম খেলার ডিস্কর্ড সার্ভার মারফৎ চালান করে দিয়েছে, যুদ্ধ থামানোর মহৎ উদ্দেশ্যে অবশ্য নয়, নেহাতই অন্য অভিপ্রায়ে। এটা কি সাধারণ কোনও তথ্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ঘটনা, অন্যরাও এরকম প্রকাশ করে যুদ্ধের ধোঁয়াশার ভিতর মানুষকে রাখতে চাইছে কি না- নাকি এটা অনেকগুলো ছিদ্রের সমাহার– সেসব যদিও আলাদা গল্প। এই গল্পটায় গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে টেইস্কেইরা, একজন বিমানবিভাগের কর্মী হয়েও চরম গোপন এসব তথ্য হাত করে নিল, যা সশস্ত্র বাহিনীর তাবড় চাঁইরা আর ইন্টেলিজেন্স বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়া কেউ দেখতেই পান না। সে ছিল কোর নেটওয়ার্ক ম্যানেজ করবার টিমের সদস্য, আরও পনেরো লাখ লোক তার সমতুল্য তথ্য, যা সে সাধারণভাবে দেখার অধিকারী, তা দেখতে পেত। হ্যাঁ, এ কথা ঠিকই যে নজরদারি রাষ্ট্র এমন এক গোলাকৃতি জেলখানা যেখানে আমাদের প্রভুরা আমাদের জীবনের প্রতিটি দিকই সব সময় দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু ম্যানিং আর টেইস্কেইরা দেখাচ্ছেন যে- প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতাশালীরা নজরদারি চালাচ্ছে আমাদের উপর, তা উল্টোদিকেও একই ভাবে কাজ করে। যতক্ষণ অবধি অ্যাসাঞ্জ, এলসবার্গ, ম্যানিং কিংবা এধরনের মানুষ আছেন, ক্ষমতাশালীরাও নজরে থাকবেন আমাদের। ইংরেজ কবি শেলি ১৮১৯ সালে পিটারলু হত্যাকাণ্ডের পর লিখেছিলেন: “Ye are maû, they are few”। অর্থাৎ, আমরা সংখ্যায় অনেক, ওরাই কম। সেই ব্যাপারটা এই ডিজিটাল যুগেও খুব বেশি বদলাচ্ছে না। সৌজন্যে : মার্কসবাদী পথ

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..