ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রুহিন হোসেন প্রিন্স

উপকূলীয় প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

একতা প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার পাইকগাছা এলাকা পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্তদের ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল অন্যান্য ঝড়ের চেয়ে অনেক বেশি স্থায়ী হয়েছে। এ জন্য অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবিকাকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এখানকার মানুষ আঁধামরা হয়ে বেঁচে আছে। উপকূলীয় এ জনপদের পাশাপাশি গাছ—পালা ও বন্য প্রাণি মারা গিয়ে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ সব কিছুর সমাধান নয়। বেড়িবাঁধ মেরামতের নামে হরিলুট হয়। বাঁধ মেরামতে যে টাকা বরাদ্দ হয় তার সবটা কাজ হয় না। এতে সরকারি অর্থ অপচয় হয়। শুধু টেকসই বেড়ি বাঁধ নয়, উপকূলীয় জনগণের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীবনজীবিকা ঠিক রেখে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, টেকসই বাঁধ প্রয়োজন কিন্তু এটাই কি চূড়ান্ত সমাধান? শুধু বাঁধ নয়, দুর্যোগের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব পুনর্বাসন করতে হবে। উপকূলীয় প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় মাস্টার প্লান করতে হবে। গত ৪ জুন ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন। উপজেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. প্রশান্ত কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য এসএ রশীদ, জেলা কমিটির সহকারী সম্পাদক শেখ আব্দুল হান্নান, কয়রা উপজেলা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান, পাইকগাছার সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, অমল মন্ডল, বৃষ্টি মন্ডল প্রমুখ। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের ননীয়া পাড়ার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্থানীয়রা বলেন, ‘নোনা জল আমাদের জীবন শেষ করে দিল। রাস্তা, ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে এসবে আগে পানি উঠা ঠেকান।’ সভা থেকে নিরাপদ খাবার জল, কাজের দাবির জানান ননীয়াবাসী।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..