হিটওয়েভ, রেমাল ও লু হাওয়ার রাজনীতি

ভাষ্যকার

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
এ বছর এপ্রিল মাসজুড়ে সিলেট ও চট্টগ্রামের দু-একটি এলাকা ছাড়া সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, সারা দেশে তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তি, তীব্রতা ও স্থায়িত্ব বিবেচনায় গত ৭৬ বছরের মধ্যে গত এপ্রিল মাস নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এর আগে ১৯৯২ সালে ৩০ দিন তাপপ্রবাহ থাকলেও তা শুধু দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল। এ বছর সারা দেশেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তাপপ্রবাহের সময় বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকায় মানুষের কষ্ট বেশি হয়েছে। হিট স্ট্রোকে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোথাও কোথাও গরমে রেলপথের পাতও বাঁকা হয়ে যায়। ওই তাপপ্রবাহের দুর্ভোগ কাটতে না কাটতেই আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। গত ২৬ মে রাতে রেমাল আঘাত হানে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে। দীর্ঘ সময় নিয়ে এটি উপকূল অতিক্রম করে। ওই সময় তিনটি জোয়ারের প্রভাবে ১০-১২ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয় ভোলায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড অবশ্য জানিয়েছে, ভাটায় পানি না নামায় জোয়ারের উচ্চতা ১২ ফুট ছাড়িয়ে যায়। মনপুরার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সংবাদমাধ্যমকে জানান, মনপুরা দ্বীপের বাসিন্দারা ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর এমন জলোচ্ছ্বাস দেখেননি। এটা ঠিক যে, শক্তিমত্তা আর সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির বিচারে ১৯৭০ তো দূরের কথা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়েরও ধারেকাছে ছিল না রেমাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয় সত্তরের এবং একানব্বইয়ের ঘূর্ণিঝড়কে। গবেষকদের অনেকে এরপরে স্থান দিয়ে থাকেন সিডরকে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রামে আঘাত হানা প্রবলতম ঘূর্ণিঝড়ে ১০-৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। যে হিসাব পাওয়া যায় তাতে ওই ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। অনেকে মনে করেন, প্রাণহানির সংখ্যা আসলে পাঁচ লাখেরও বেশি ছিল। ১৯৯১ সালের ২৯-৩০ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২২৫ কিলোমিটার। ১২-২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে অনেক মাছ ধরার ট্রলার সাগরে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন কত জেলে তার প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায়নি। সরকারি হিসাবে, ওই ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এক কোটি মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে তেলের ট্যাংকার পর্যন্ত ওপরে উঠে গিয়েছিল। আর ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর আঘাত হানা সিডরে বাতাসের গতিবেগ ছিল ২২৩ কিলোমিটার। খুলনা-বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। জোয়ারের সময় না হওয়ায় প্লাবন কম হয়েছিল, ফলে তুলনামূলকভাবে কম মানুষ মারা গিয়েছিল; কিন্তু অবকাঠামোগত ক্ষতি ছিল ব্যাপক। সরকারিভাবে ছয় হাজার মানুষের প্রাণহানির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রেডক্রিসেন্টের হিসাবে ১০ হাজার মারা গিয়েছিল। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবার রেমালের প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রচুর সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণসহ দুর্যোগ মোকাবিলার নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকখানি কমেছে। তবে রেমালে মানুষের প্রাণহানি কম হলেও বন্যপ্রাণী ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারে সুন্দরবনে ১৩৪টি হরিণ এবং বেশ কিছু বন্যশূকর মারা গেছে। প্রাথমিক হিসাবে, রেমালের আঘাতে ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির। উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মতে, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় ১৩ হাজার ৩১৪টি গবাদি পশুপাখির মৃত্যু হয়েছে। এই ঝড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার পর প্রায় ৫০ ঘণ্টা পর্যন্ত অবস্থান করছে বাংলাদেশে। রেমালের তাণ্ডব এত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এর কারণ খুঁজছেন গবেষকেরা। কেউ কেউ বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি ভূমির তাপমাত্রাও বেড়েছে। সে কারণে ঘূর্ণিঝড়ও শক্তি পাচ্ছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দেশের ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে এই রেমালের আগ পর্যন্ত সরকারকে তেমন বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়নি। ফনী, নার্গিসের মতো বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত হয় দিক বদল করে যায় অথবা নানা কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংকটগুলোও নানাভাবে উতরে গেছে ক্ষমতাসীনেরা। এ বছরেরই শুরুতে হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনটি আদৌ হবে কি না বা হলেও আওয়ামী লীগ জিততে পারবে কি না, সে নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেকের মধ্যেই ব্যাপক সন্দেহ ছিল। কিন্তু নানা কৌশলে বড় বিরোধী দলসহ অনেক দলকে বাইরে রেখে ভোটের বৈতরণী পার হয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। এমন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অনেকে রসিকতা করে আবার কেউ কেউ হতাশা থেকে বলে আসছেন, আওয়ামী লীগপ্রধানের ভাগ্যের নাকি অনেক জোর! এমনকি যে যুক্তরাষ্ট্র গত নির্বাচনের আগেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ঘোষণা দিয়ে ডোনাল্ড লু নামের অনেক অঘটন ঘটন পটিয়সী কর্মকর্তাকে দফায় দফায় বাংলাদেশে পাঠানোসহ সরকারকে কব্জায় নেওয়ার জন্য নানামুখী তৎপরতা চালিয়েছিল, নির্বাচনের পর তাদেরও অনেকটা নিস্পৃহ মনে হয়েছে। প্রকাশ্য তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপও নিয়েছিল তারা; যা দুই দেশের সরকারের মধ্যে একধরনের উত্তেজনা তৈরি করেছিল। নির্বাচনের পর ঢাকায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু অকপটে তা স্বীকারও করেছেন। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন কিংবা মানবাধিকার পরিস্থিতির আদৌ কোনো উন্নতি হলো কি না- এসব বিষয় পাশে সরিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে গেছেন লু। নির্বাচনের আগে লুর সফর ঘিরে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে যে উল্লাসের আবহ দেখা যেত, এবার হয়েছে তার একেবারে উল্টো। ডোনাল্ড লু আগে যতবার ঢাকায় এসেছিলেন, ততবারই সরকারবিরোধীরা সেই সফরকে সরকারের জন্য লু হাওয়া হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এবার লু বিএনপিসহ বিরোধী শিবিরের কারও সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেননি। এমনকি সুধীসমাজের যারা মার্কিনপন্থি হিসেবে পরিচিত তাদেরও কেউ লুর ধারেকাছে ঘেঁষার সুযোগ পাননি। এমন প্রেক্ষাপটে দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছিল, ডোনাল্ড লুর এবারের সফরের মধ্য দিয়ে এটা প্রতিফলিত হয়েছে যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মনোযোগী যুক্তরাষ্ট্র। অতীতের তিক্ততা সরিয়ে রেখে নতুন করে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় দেশটি। সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এখন যেসব বিষয় দেশটির অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে, তার শীর্ষে রয়েছে অর্থনীতি। সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডোনাল্ড লুর আলোচনায়ও অর্থনীতির বিষয়গুলো এসেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার মাস পর গত ১৪ মে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। তার এবারের সফর নিয়ে কূটনীতি বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন হচ্ছে, এমনিতেই এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে নিজেদের অস্বস্তির কথা গোপন করে না যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক বছর ধরেই চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। এখন চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের ৫০০ কোটি ডলারের সমমানের চীনা মুদ্রার ঋণ নিয়ে আলোচনা করছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ও সুশাসনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মতপার্থক্য আরও বেড়ে যাক, এটি চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ভূ-রাজনীতি এবং ভূ-অর্থনীতির নতুন প্রেক্ষাপটও আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার বিষয়টিকে বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টি এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তবে ডোনাল্ড লুর সফরের পর থেকেই দেশে এমন সব ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে যার সঙ্গে ওই সফরের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। একদিকে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার বিষয়টি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যদিও বেনজীরের সপরিবারে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতেই সরকার দুদককে দিয়ে বেনজীরের বিরুদ্ধে এই লোকদেখানো অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে। খোদ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কোনো কোনো নেতাও মনে করছেন, আগামী দিনগুলোতে বেনজীরের মতো আরও কিছু ব্যক্তির অনিয়ম-দুর্নীতি সামনে আসতে পারে। এদিকে আজিজ-বেনজীর কাণ্ড ঘিরে সৃষ্ট আলোচনা-সমালোচনার পালে হাওয়া দিচ্ছে ভারতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড। ওই হত্যকাণ্ডের পরপরই সামনে এসেছে অপরাধ জগতের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গ। টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দলীয় সংসদ সদস্য আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদে থেকে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের জন্য মারাত্মক ‘ভাবমূর্তির সংকট’ হিসেবে দেখছেন অনেকে। কারণ যাদের বিরুদ্ধে এখন অভিযোগ উঠেছে তাদের প্রত্যেকেই যার যার জায়গায় বাংলাদেশের ক্ষমতা কাঠামোর প্রভাবশালী পদে অবস্থান করেছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য খুন হওয়ার পর তার ব্যাপারে চোরাচালানে সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ আসছে তা ছিল স্থানীয় মানুষের কাছে ‘ওপেন সিক্রেট’। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন শীর্ষ পদে কর্মরত থাকার সময় ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে। এসব বিষয় নিয়ে লোকমুখে আলোচনা ছিল আরও অনেক আগে থেকে। অন্যদিকে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন থেকে। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাইদের নানা সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কয়েক বছর আগে কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রচারিত হয়েছে। সরকার আলোচিত ঘটনাগুলোর দায় এড়াতে চাইলেও সরকারবিরোধীরা এখন আনার হত্যা-রহস্য, সাবেক আইজিপি এবং সাবেক সেনাপ্রধানের ইস্যু সামনে এনে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে যাচ্ছে। দলনিরপেক্ষ বিশ্লেষকেরাও মনে করেন, এসব ঘটনায় সরকার, দল ও প্রতিষ্ঠানের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের এমন পরিস্থিতিতেই আঘাত এলো প্রকৃতির দিক থেকেও। এটি পুরোপুরিই কাকতালীয় ঘটনা। তারপরও রসিকজনেরা বলতে ছাড়ছেন না- সরকার ও সরকারপ্রধানের সামনে সময় কি তবে সত্যিই খারাপ!

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..