আগামী বাজেটে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পৃথক বরাদ্দের দাবি
একতা প্রতিবেদক :
আগামী বাজেটে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পর্যাপ্ত, পৃথক বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির নেতৃবৃন্দ। গত ৯ মে সন্ধ্যায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের নির্বাহী কমিটির এক সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছর বিশাল অংকের বাজেট হয় এবং সেখানে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্যও কিছু বরাদ্দ রাখা হয়। যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় অপ্রতুল। এ বরাদ্দের বেশীর ভাগই সুবিধাভোগীদের ঘরে পৌছায় না। এসব বরাদ্দ লুটপাট-দুর্নীতি হয়ে যায়। অথচ সরকার বিদেশ থেকে ঋণ করে মেগা প্রকল্প করার কারণে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের লক্ষটাকা দেনার দায়ে আছে। নেতৃবৃন্দ গ্রামীণ অবকাঠামো ও শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হবে না। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রামীণ বরাদ্দ লুটপাট বন্ধের জোর দাবি জানান।
সভায় ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য রেশনিং চালু, বিনা জামানতে ষাটোর্ধ্ব মজুরদের মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশন প্রদান, ক্ষেতমজুরসহ গরিব মানুষদের জন্য বিদ্যুৎ বিল ১০০ ওয়াট পর্যন্ত ফ্রি করে দেওয়া, ‘১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি’ পুনরায় চালু ও মজুরি বৃদ্ধি, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার নিশ্চয়তা, ক্ষেতমজুরের সন্তানের লেখাপড়া ও চাকুরির নিশ্চয়তা, ইউনিয়ন ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র/হাসপাতালগুলো আধুনিকায়নক করে সার্বক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য আসন্ন বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিতে আগামী ২৫ মে ঢাকায় এবং ২৭ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. সোহেল আহমেদ, অর্ণব সরকার, রমেন্দ্র বর্মন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় সংসদের পর বর্তমানের উপজেলা নির্বাচনও একতরফা ও জনবিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। এতে জনগণের কোন আগ্রহ নেই।
Login to comment..